দু’টি কবিতা || ওসমান গণি
অনুভবে
দিনান্তের ছবিগুলি সূর্যচাদরে ঢেকে যায়
একটি বিনম্রবোধ কিছু দৃশ্যমুহুর্ত নিয়ে
দক্ষিণে বনুড়িয়া মাঠে জোৎস্নার হাঁসগুলি ভিড়
বুঝি বাতাসে-উড়া…
দিন-রাত্রির সমস্ত অভিপ্রায় নতুনত্বের জন্য উন্মত্ত
সেই সন্তপর্ণে
উজ্জ্বল যাপনে আলুনি জীবন খুঁড়ে
ভীষণ ভাবনা গুলি বেঁচে আছে, সকল নির্মাণে
এভাবে জীবনের ছায়া চেনা যায়
পৃথিবীর কী-যেন হয়েছে
মানুষ মেঘের কাছে…
জল সুশীতল বদলে স্ব-স্ব শ্লোক প্রার্থণায়
নিহত
এ বসুন্ধরা বেড়াতে এসে
মৃত্যুই শুধু ধ্রুব দেখি।
ঈদগাহে শাদা একটা মিনারের পিছনে বসে
ইন্তেকাল হওয়া মানুষ দেখি —-
আতর ও আগর দিয়ে সেগুন খাঁটিয়া ভর্তি ঘ্রাণ
দাফন কালে তার শরীরের কাফন ওড়ে
কবরের উষ্ণ বাতাসে।
কিছু দূরে, পাহাড় টিলায় তার নিদ্রাঘর,
বাড়িতে দাঁড়িয়ে তার বউ বন্ধু স্বজন বেদনায় কাঁদে!
দাহকাল সমাপ্ত হলে
সেমুহূর্ত গোরস্থানের কথাই শুধু চতুর্দিকে ভাসে।
আর ভাবি, কেন তবে বেড়াতে এলাম?
এই পৃথীবিতে
যে-কোন প্রাণীর মৃত্যুই বড়ো দুঃখদায়ক।
মৃত্যুকে জানাই সেলাম।
********************************