ভূগোলের পাতা আর ম্যাপের
অনেক অনেক বাইরে দিয়ে
সাদা কালোয় তুমি নদী
আলো আলো সাদা পায়ে
হাঁটি হাঁটি পা পা করলেই বৃষ্টি নামে
তারপর ভরা শরীরে সোজা রান্নাচালায়
আগুনপারে জল চালের সংসারে
কালো মুখের রঙ ফেরাতে মুখর
আগুন তাপে
সাদা ভাতের সংসারের থালায়
সাদা কালো মা
ছাদ থেকে যতটুকু প্রদেশ দেখা যায়
ছাদ থেকে যতটুকু প্রদেশ দেখা যায়
তার থেকেও কোনো গভীরতর প্রদেশে
আমাদের সকালের যাবতীয় আলো মজুত
আমরা জানলার গর্ত দিয়ে একটি বায়স্কোপ দেখছি
যেখানে নায়ক একাই একটা ফুটবল নিয়ে
সারা মাঠ জুড়ে কোমর নাচিয়ে বেড়াচ্ছে
কে যেন আলোর কথা বললো আর
সঙ্গে সঙ্গে ফুটবলের বেলুন চুপসে গিয়ে নায়ক
গোলপোস্টের নীচে এসে দাঁড়ালো
কালবৈশাখীকে যেন বলা ছিল
টিনের চাল উড়ে যাওয়ার মতো একে একে উড়ে গেল
নায়কের ছাল চামড়া আর চোখের লাল রঙ
জানলা থাকুক, বায়স্কোপ থাকুক,
মাঠ থাকুক, নায়ক থাকুক, কোমর নাচানো থাকুক
শুধুমাত্র জল খাওয়ার না চান করার না ডুবে মরার
সেটা নিজেরাই ঠিক করে নিক।
ঘন্টা বাজলে
ঘন্টা বাজলেই মনে হয়
কোথাও যেন দৌড় শুরু হল
পর্দা সরে গেল
বেরিয়ে এলো সূর্যের আগুন শরীর
গলে গলে পড়ছে কালো রস
রাস্তার ধুলোর মতো জেগেছিল
যে সব ধূসর পোকা
আগুনে তাদের খোলা পুড়ে যাচ্ছে
গুটিয়ে যাচ্ছে যাবতীয় সাজানো দোকান
একটু পরেই শুরু হবে রঙ খেলা
আগুনের রঙ
গায়ের চামড়ায় ধরা পড়ে যাবে
কত গভীরে লুকিয়ে গান ।