অনন্ত পৃথ্বীরাজের দু’টি কবিতা
দোজখের ওম
কল্পিত দোজখের ভয়ে কুঁকড়ে যাও কেন?
মনের মধ্যে সাহস সঞ্চার করো!
বেহেস্ত, দোজখ আসলে কাছাকাছি জায়গা,
কেবল মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ।
বাড়িতে ভুল করলে আব্বা যেমন শাস্তি দেন,
লোকের সাথে ঝামেলা হলে, বিচারক যেমন জেলে পাঠান ।
আমার ধারণা, দোজখও তাই-
দোজখকে আমি সংশোধনাগার বলি ।
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সবাই যেভাবে ফিরে আসে,
দোজখ থেকেও এক সময় সবাই ফিরে আসবে।
পৃথিবীর সন্তান আমরা স্বর্গলোকের আসায়
মর্ত্যলোকে কতই না বাহানা করি!
শেখ মুজিব
পথের ধুলোয় গড়াগড়ি খাও, তবু ভালো-
পড়ে পড়ে কাঁদো কিন্তু আর ফিরবে না
বন্ধ্যা সময়, উষর ভূমি, কালের কলস ফুটো হয়ে গেছে-
আজ বহিঃঅঙ্গে রাজ পোশাক নেই ,
চাটুকরের মুখে ছাই পড়ুক ।
একটি হত্যা,
এক নবীন দেশের নব্য স্বাধীনতাকে ম্লান করে দেয়।
না , ভুল বলা হল ।
কয়েকটি খুন ,
ওরা একটি পরিবারকে নিঃশ্চিন্ন করে দিতে চেয়েছিল ,
একটি দেশেকে এতিম করে দিয়ে ।
সেই এতিম দেশে একটি নাম মেজর জিয়া-
চিরভাস্বর হয়ে জ্বলে,
সেই অভাগা দেশে একটি নাম-
শেখ মুজিব চির উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ।
**********************
