হোসাইন কবির
অগ্নি হে, বিহঙ্গ ডানা
আলোকচিত্রে বিদগ্ধ উন্মত্ততা
বিলাসকথনে কতিপয় কাপালিক
সদরে সীমান্তে ল্যাম্পপোস্টে
ঝুলন্ত শরীর এফোঁড়-ওফোঁড়
কাঁটাতারে বিভাজন এপারওপার
তবু বলি, হে অগ্নি কালের প্রতিভাস
বিহঙ্গ ডানায় উড়াও আমায়
সমুদয় সংসারের শাখা-প্রশাখায়
চৈতন্যগঙ্গায়
বিপ্রতীপ
চোখজুড়ে ক্লান্তি রাতের নীলে
কেউ ডাকলো কী!
নিঃসঙ্গে নিরালায় এ অবেলায়
আড়ালে সুগন্ধ ছড়ায় ভোরের হাওয়া
মাতাল মাতোয়ারা
তবু ছুটে যাই দূরে– মেঘে– ছদ্মবেশে
তালাশ কাহার!
পিছনে তাঁকিয়ে দেখি সময়চিহ্নে
বিষাদ স্মৃতিতে– বিপ্রতীপ অবয়ব
পেন্ডুলাম
দুলছে পেন্ডুলাম অবিরত সীমান্ত রেখায়
দোলে, দোল খায় বাড়িঘর বসতভিটা
জীবনের সকল আয়োজন
আমাদের প্রতিটি ক্ষণ মৃত্যুর
আমাদের প্রতিটি ক্ষণ জন্মের
ওই তো সড়ক, চলে গেছে দূরে
পথে আর প্রান্তরে সকল বাঁকে
ওই তো বাড়ি, ভেতরে চৌচালা ঘর
নিঃসঙ্গ বাতির আলোয়
ডুবছে, ডুবে যায় স্মৃতির সাগরে
অলৌকিক সবুজ টিকেট
মানুষটা আজও আমার নিকট অচেনা
মানুষটা নক্ষত্রের সব রঙে সাজাতে চেয়েছিল
তার পুরাতন গৃহ যাবতীয় আসবাবপত্র
মানুষটা অদেখা অস্তিত্বে সমর্পিত ছিল কিনা জানি না
তবে মানুষের ভেতরে আরেক মানুষ কিংবা
অশরীরি লাশ খুঁজে বেড়াত সারাক্ষণ
=================================