মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী
ঘড়ি
……………………………….
হে নিদ্রাহত জীবনের দুঃখ
অস্তগামী যবনিকার ঘূর্ণিপাকে ঘুরে চলছে হরদম
হিসেবের আয়ূভুক তিনকাটা
তুমি আমি আর নিখিল;
এক তুলিতে অগণিত ছবি এঁকেছেন যে চিত্রকর
তাঁকে ভুলে কাটে নিদাঘবেলা
শুধুই অসার জীবন;
ধরণীর পেছনে লাফিয়ে দোড়ায়
অবিমৃষ্য মায়ামোহ টান…
জন্মান্তর হিসেবরেখার ডানামেলে
ঘুরে ঘুরে ছায়া ফেল নিয়তির চরাচরে
তুমি নিরন্তর অনুগ্রহ হও
ক্রমশঃ ধীরে চালাও গাণিতিক বৈইঠা
পৃথিবী ভ্রমণ সমাপ্তির চুড়ান্ত পর্চা ছাপাবার আগে
হেঁটে যাও গতিস্থির
হেঁটে যাও দয়াদ্রচিত্তে;
বনানীর গভীর ফাঁদে আটকা পড়েছে
হেলালির চোখভর্তি স্বপ্ন
চাঁদের শরীরের মতো ঘামছে ক্লান্তির হৃদয়
ঘ্রাণের মুখ ফেরাও
তবে নসিবের তিনকাটা!
অনন্ত ধূমকেতুর পথে তৃপ্তির রেণু হয়ে বিলাও পরাগায়ন সুখ…।
———————–
মেঘমেদুর উষ্ণতা
কামধেনু ভাবনায় উড়াল বালিহাঁস
রূপের ডানায় শুয়ে আছে
গ্রীষ্মের নিদাঘ দুপুর
রূপবতী হাওড়ের মতো সান্ধ্য ঢেউ
ঢেউয়ের গভীরে
সাঁতার কাটে চঞ্চলা সারস
আর;
আকণ্ঠ পান করে
মেঘমেদুর উষ্ণতা
প্রেম প্রস্ফুট আষাঢ়ি আয়োজনে
বৃষ্টিমুখর নদীতে ওঠে
নিশীথ স্বরের ঢেউ
চুমুকজলে কাঁপন ছড়িয়েছে শুধু
সশরীর রাত…
===================