পঙ্কজ মান্না
যতই টানুন —
তোমার আমার পাপের বোঝা,পুণ্যফলের মিথ্যে বহর
সব পড়ে কি ওড়না-ঢাকা ডুমুরপাতায় গঙ্গাজলে?
দুটো হাত যার পচেই গেছে উঞ্ছবৃত্তি খিদের জ্বালায়
মা ভেসে যায়,বোনও ভাসে,বিশ্বাসও যায় অকাল ভাসান
তাকে তুমি প্রেম শেখাবে,সে কি জানে ইমান-ই জান!?
অন্ধকারের বোধনবেলায় রাজার তালেই মারুন সিটি
কী আর দেবে নরক ছাড়া!ভালোই জানি,
সে গিরগিটি
দেড় হাত কাপড় যতই টানুন সামনে পেছনে যাচ্ছে দেখা
ডুমুরপাতায় গঙ্গাজলে সব পড়ে কি ওড়না-ঢাকা!?
—–
আমার কবিতা
কাজলবরণ মেয়েটিকে চিনলে না?
আমার কবিতা ওরই সাথে ধান রোয় ;
স্বর্ণশষ্যে ভরে ফোড়েদের ঘর ,
কবিতার মেয়ে মাটির মেঝেতে শোয়
কবিতার ঘরে আমরা দু’ভাই-বোন
পৌষের শীতে শব্দের আলোয়ান
খিদে পেলে মায়া শব্দেরই স্তনপানে
মৃত্যু পেরিয়ে গাইছি জীবন-গান
ওই শব্দ-বর্ণ জীবনের মদ গিলে
জীবন-গানেই উঠছে তুমুল মেতে
সুরেই নাচছে বেয়াড়া ছন্দহীনও
না-লেখা কবিতা কুসুমিত আলো -খেতে
কবিতার পাখি কখনো কল্প-ডানায়
ভূমি থেকে ভূমা বিছিয়েছে ভালোবাসা
কখনো আবার নদী ও সাগর চেঁছে
আতিপাতি খোঁজে পলাতক মন-চাষা
কবিতার বুকে আমারই প্রতিচ্ছায়া
তার চলনে-বলনে কানু-রাই সঙ্গত ;
কবিতা তো নয় কবির অধিক কিছু,
কান পেতে শোনো কবির দস্তখত
****************************