রাহুল পুরকায়স্থ’ র তিনটি কবিতা
হাঁটু মুড়ে বসে আছি তোমার শরীরে
এ-শরীর বিষভাণ্ড, ও-শরীর ছাই
নিজেকে জ্বালাই আর তোমাকে জ্বালাই
অতঃপর অন্ধকার, অন্ধকার শব
নিজেকে প্রশ্ন করে, অরব অরব
কাঁপে নদী, কাঁপে সাঁকো, ঘন বন
তাও কম্পমান
তুমি আমি নিদারুণ, আমি তুমি সমান সমান
মূর্ছা যাই, মূর্ছা যাও, শরীরে শরীর, ঢালি প্রাণ
কামনার প্রতি বাঁকে আমি আজও তোমারই সন্তান
(কবি ঋতো আহমদ-এর পোস্ট থেকে)
সামান্য এলিজি
(শেষ প্রচ্ছদের লেখা)
মৃত্যু অসুন্দর জানি
সুরা ও সুরের দেবীতে করি স্নান
প্রতি ভোরে
যমের দক্ষিণ দ্বার, গুহামুখে
উড়েছে পতাকা
আমাকে ও-ধ্বজা দাও
ধ্বজার শোণিতে মেলি ডানা
মৃতের সঙ্গম থেকে
জন্ম নিক সুরের বেদনা
কবিতা কল্পনালতা
স্বো মৃত্যু লেখে বাঁক বাঁকে
অবশেষ মৃত্যুজন্ম দিয়েছে আমাকে
(কবি অতনু ভট্টাচার্যের রোস্ট থেকে)
সাদা-কালো লেখা
পাশ ফিরি, স্পর্শে বিদ্যুৎ!
কে ছুঁয়েছে শরীর আমার দিবাস্বপ্ন! রঙের গোপন! পাশে তো কেউ নেই!
তোমার আমার মধ্যে ফাঁকটুকু ভরেছে বাতাস!
তবে কি আমাকে ছোঁয় শূন্যের সংগীত?
বিপদরেখার দিকে পাখি উড়ে গেলে তার ছায়াখানি ফেলে যায় আমার শরীরে!
শ্রুতি ও স্মৃতির মাঝে উঠে বসি, ধীরে
(কবি দেবদাস রজক মায়াবী’র পোস্ট থেকে)
******************************************
