দুইটি কবিতা || হোসাইন কবির
নগ্নতার ভাস্কর্য
আমি তো বৃক্ষের কাছে নগ্ন
আমি তো প্রকৃতির কাছে নগ্ন
আমি তো হৃদয়ের কাছে নগ্ন
প্রিয়তম প্রেয়সীর সমূহ হাড় ও কঙ্কালের কাছে নগ্ন
আমি তো জলেস্থলে প্রান্তরে প্রান্তরে নগ্নতার ভাস্কর্য
আমি তো পরিধান করি সকাল-সন্ধ্যা আমাকে
আমি তো পরিধান করি সকাল-সন্ধ্যা তোমাকে
তবে কী আমিও
স্রষ্টার সৃষ্টিতে সৃজনে
মাতৃ জঠরে–জরায়ুতে নগ্ন!
আমি তো আদি ও অনন্তকাল থেকে নগ্ন
প্রাণময় প্রাণ-প্রকৃতির কাছে নগ্ন
আমি তো নদীর কাছে নগ্ন
আমি তো জলেস্থলে প্রান্তরে প্রান্তরে নগ্নতার ভাস্কর্য
আলোতে ভয়, আঁধারে আঁকড়ে আছি
নিঃশব্দে চলে যেতে বলে কে যেন থমকে দাঁড়ায়
আলো আঁধারের সীমান্ত রেখায়
আমি তো নীরবে নিবিড় নিঃশব্দ হতে পারিনি
শুধু বিপরীত স্রোতে ভাসমান খড়কুটো কিংবা মেঘশূন্য
নীলিমায় বিচ্ছিন্ন পালক হয়ে– ভেসে যাই সংযোগসূত্র বিহীন
নিঃশব্দে চলে যেতে বলে কে যেন থমকে দাঁড়ায়
দরজাকবাটে বেওয়ারিশ প্রতিবিম্বে পুরানো আয়ানায়
আমার আলোতে ভয়, আঁধারে আঁকড়ে আছি
***********************************