You are currently viewing রুখসানা কাজল || ছাড়ের ইলিশ

রুখসানা কাজল || ছাড়ের ইলিশ

রুখসানা কাজল || ছাড়ের ইলিশ

টিচার্স কমনরুমের দরোজায় মুখ গলিয়ে দেয় ল্যাবঅপারেটর খসরু, স্যার আপারা ইলিশ কিনলে যাতি পারেন। মোল্লার আড়তে ছাড় দেচ্ছে– বলেই ব্যাগের ভেতর   কয়েকটি বরফসাদা ইলিশের রূপালি রঙ দেখিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। 

হইহই করে উঠে শিক্ষক টেবিলের কয়েকজন, আরে ধুর, ভাদরে ইলিশ। তেলটেল কি আর আছে ! টেষ্টফেষ্টও হবে বলে মনে হয় না !    

হতেও পারে। ইলিশ ইজ ইলিশ স্যার। চান্স নিতে ক্ষতি কি ! ক্লাশ পরীক্ষার খাতায়  নম্বর বসাচ্ছিল কম্পিউটার শিক্ষক আজরাফ। মাছের আড়তদার মোল্লাকে সে ভালো করেই চেনে। মোল্লার দুটি ছেলেই ওর স্টুডেন্ট। ছেলেদের হাতে কখনও টুইশ্যন ফি  পাঠায় না। মাস ফু্রোলে আজরাফই যায়। সিগনেচার করে টাকা নেওয়ার সময় বড় কোন মাছের একটি প্যাকেট উপহার দেয় মোল্লা। শায়লা সেদিন বিশাল রান্নাবান্না করে। আজরাফ আবার অবসেসড উইথ এক্সারসাইজ। রেগুলার জিম  না করলে ওর বডি শ্রিইক করে। সিক্সপ্যাক হয়নি বলে মেন্টালি শকড। শায়লার অনুরোধে বেশি খেয়ে ফেললে পরের দিন দুপুর পর্যন্ত শুধু পানি খেয়ে থাকে। জিম মাষ্টার অ্যালিজান  ওর শরীরটাকে খুব পছন্দ করে। স্পেশাল মুহুর্তে পেটে চুমু খেয়ে গরগর করে বলে, আজরাফ মাই সুইট বয়, ভুঁড়ি করো না যেন। আই হেট দ্যাট মাংসের পাহাড়।      

আজরাফেরও ভুঁড়িতে এলার্জী। কিন্তু শায়লাকে কে বুঝায় ! খাচ্ছে আর ওজন   বাড়াচ্ছে। কোনদিন যে বুকপেট এক হয়ে যায় কে জানে !

মহিলা শিক্ষকদের টেবিল থেকে অনুরোধ করে, আজরাফভাই বইলা রাইখেন আপনার গডফাদারের কর্মচারীকে। দেইখেশুনে যেনো ভালো মাছগুলো দেয়।      

মোল্লার সুপারভাইজারকে ফোন করে দেয় আজরাফ। ওর জন্য এক কেজি ওজনের চারটা  ইলিশ রাখতে বলে জানিয়ে দেয় তার মহিলা কলিগরা যাচ্ছে। ম্যাডামদের ইচ্ছে মতো বেছে দিয়েন মিয়াভাইজান।      

এই সুপারভাইজারের নাম এমদাদ হুসেন। ওর ফুপাতো ভাই। হতদরিদ্র অবস্থায় দুটি বাচ্চা নিয়ে প্রায়ই আধপেটা থাকত। আজরাফ চাকরিটা পাইয়ে দিয়েছে। বেঁচে গেছে সংসারটা। ভাইটি হচ্ছে তালগাছের মতো। একা থাকলেও সে খারাপ থাকে না। আবার মানুষের মধ্যে থাকলেও তার খারাপ লাগেনা। রাত জেগে কোরআনশরীফ  তেলাওয়াত করে। নামাজ পড়ে। ভোরে হামদ নাতের সাথে মেহেদী হাসানের গজল গাইতে গাইতে বেরিয়ে পড়ে হাঁটতে। খুব চেষ্টা করে গুদামঘরের দরোজার কাছে শুয়ে  থাকা নেড়ি, মাড়ু, জগু, টেন্ডাদের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করতে। কিন্তু কে শুনে এসব মারফতি গল্প। ওরা হাই তুলে আবার শুয়ে পড়ে।    

এই ইশকুলে চাকরি পাওয়ার পর আজরাফের ভাগ্য ঘুরে গেছে। প্রধানশিক্ষক   রাজনীতিতে আসক্ত। তার রুমটা যেন পলিটিক্যাল অফিস। পাড়ার ছোটবড় রাজনৈতিক কর্মীরা যেমন আসছে তেমনি স্থানীয় এমপি অফিসের লোকজনও সময় অসময়ে ঘুরে যাচ্ছে। ইশকুলটা বেসরকারি। যখন যে সরকার, তার লেজ ধরে ঝুলে না থাকলে ইশকুলের কপালে ভাত নাই। আজরাফ প্রধানশিক্ষকের ডান হাত হয়ে  উঠেছে। একটি রাশভারি পদ এবং নামমাত্র ভাতায় স্বেচ্ছায় ইশকুলের প্রশাসনিক সমস্ত কাজ করে দেয়। এমনকি আগেভাগে সিগনেচার করা প্রধানশিক্ষক ও চেয়ারম্যানের কিছু কাগজপত্রও ওর গোপন কেবিনেটে রাখা থাকে।      

মোল্লার সাথে দুবার প্রধানশিক্ষকসহ চেয়ারম্যান আর সে উমরাহ করে এসেছে। ইশকুলের অনেকেই মজাক করে, আজরাফস্যার ব্যবসাও বুঝে নিচ্ছে !  

লোকের কথা মিথ্যে নয়। ইশকুলের এই রমরমা যে কোন দিন পড়ে যেতে পারে।  তখন ? গরীব হওয়ার কষ্ট যে কি সাংঘাতিক করুণ তা ও হাড়ে হাড়ে জানে। এই যে ওর আর্থিক অবস্থা ভালো হওয়ায়, গ্রামে দেওয়াল ঘেরা টিনসেড বাড়ি করেছে। গেটে  বাড়ির মালিকের নাম প্রফেসর আজরাফ মিয়া লিখলেও গ্রামের মানুষ এখনও বলতে ছাড়ে না, ইডা রফু গাছির বাড়ি না ? 

আজরাফ তাই মোল্লাকে বুঝতে চায়। মোল্লাও গরীব ছিল। কিন্তু ব্যবসাটা ভাল বুঝেছে। টন টন বরফে ডুবে থাকলেও ইলিশের স্বাদ, গন্ধ কি করে যেন কমে যায়। বাঙালী ইলিশ খায় ইলিশের তেলে। সেই তেলও শুকিয়ে ইলিশের মাংস দড়াকড়চা মেরে যায়। এই পুরনো ইলিশ খেতে বাঙালী পছন্দ করেনা জেনেই ছাড় দেওয়া।  ছাড় দিলেও লাভ থাকে। তাছাড়া প্রতিবছর এসময় মোল্লা উমরাহ করতে যায়। তাই মনটাও কিছুটা উদার থাকে। অফিসে রিদা আর ইযার পরা মোল্লার অনেক ছবি  দেখেছে সে। ওর মন খুচখুচ করে। কু-গীত গায়। কু কথা ভাবায়। এত টাকা কেবল  মাছের ব্যবসা আর সদাইপাতির দোকান থেকে আয় করা কি সম্ভব ? কি যেন আছে। কি আছে ? কিছু তো আছেই। অবশ্যই আছে। কিন্তু কোথায় সে যাদুবাক্সো ?        

নওশাবা ম্যাডাম কুড়িটা ইলিশ নিয়ে গাড়িতে উঠার আগে ইংরেজীর শিক্ষককে বলে, চলো তোমাকে নামিয়ে দেই।    

সেবন্তি হাসে। প্রায় গলে পড়ে, থ্যাংকু আপা থ্যাংকু আপা। আপনি কত ভালো!   ভাবছি এসেছি যখন আরও কিছু কেনাকাটা করি ! প্লিজ আপা, ডোন্ট মাইন্ড।      

এই আপাটা মহা ট্রিকবাজ। গোপনে শত্রুর সাথেও সম্পর্ক রেখে চলে। টাকা দেয়। দামি গিফট করলেও উপরে শত্রু শত্রু খেলাটা চালিয়ে যায়। প্রধানশিক্ষক আর  চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের ক্ষেপিয়ে তুলে নিজেই আবার কেকমিষ্টি নিয়ে গোপনে দেখা করে আসে। শিক্ষক নেতা এবং এমপিদের সাথেও ভালো সম্পর্ক। নিজের স্বার্থ পূরণে ষোলআনা দিতে এবং নিতে পাগলপারা এই আপা।       

সবাই চলে গেলে সেবন্তি বাজারের পেছনে এসে মাছকাটুনিদের খোঁজে। আজকাল    বসতে বেশ কষ্ট হয়। তাছাড়া ভয়ও লাগে। হঠাত যদি বঁটির উপর পড়ে যায় তো!  ছুরিতেও অভ্যস্ত নয় সে। রাতুল এখন বাজার থেকে মাছ-মুরগী কেটেকুটে নিয়ে  আসে। নওশাবা ম্যাডামকে চটাতে চায় না বলে মিতুর সাথে চলে এসেছে। দুটি মাত্র ইলিশ নেওয়ায় নীলম তো বলেই ফেলেছে, অন্তত চারটা নেন আপা। নওশাবা  ম্যাডামের সাথে এসে দুইটা নিলে কেমন দেখায়! আটশ গ্রামের ইলিশ তো একবেলাতেই শেষ হয়ে যাবে !  

সেবন্তি দুটিই নেয়। নওশাবা আপা অবশ্য বলেছিল, টাকা লাগলে বলো সেবন্তি।  

সেবন্তি এবার সত্যি করেই বলে, বাসায় ইলিশ আছে আপা। ছোট ফ্রিজ। কোথায়  রাখব বলুন!  

শ্বশুরের পাঠানো পদ্মার ফ্রেশ ইলিশ বলতে গিয়েও কথাটা গিলে ফেলে। নইলে নওশাবা আপা এই হাটবাজারের ভেতরেই প্রোগ্রাম বানিয়ে ফেলবে। বলে বসবে, এই আমরা কাল ওয়ান ডিস পার্টি করি চলো। সেবন্তি আমাদের পদ্মার ইলিশ খাওয়াবে। আমরা মাটন, বিফ, চিংড়ির সাথে মুগের ঘন ডাল করব। আপার চামচিরা সাথে সাথে রাজী হয়ে যাবে। আর ওর পদ্মার ইলিশ হয়ে যাবে ওয়ান ডিশ পার্টির মেইন আইটেম। সেবন্তি আজকাল চালাকের সাথে ধুর্তামির শিখে যাচ্ছে। 

৪  

মাছকাটুনি মহিলার বদলে একজন পুরুষ মাছ কুটছে। তাকে ঘিরে আছে কয়েকজন ভিখেরি। ওরা মাছের বাতিল অংশ কুড়িয়ে নিচ্ছে। একজন ভিখেরি মহিলা মুখ ভরে  শসা চিবুচ্ছে। ছিটকে পড়ছে শশার কুচি। আরেক জন ঝুলে পড়া চুপসানো বেলুনের  মতো স্তন প্রচন্ডভাবে চুলকোচ্ছে। খরখর শব্দ হচ্ছে নোখের। মরা চামড়া ঝরে পড়ছে। সেগুলো ঝেড়ে ফেলে আবার চুলকোচ্ছে। কতকাল সাবান মেখে গোসল করে না কে জানে! সেবন্তির তাকিয়ে আছে দেখে ব্লাউজের ভেতর গুঁজে দেয় তার ঝুলন্ত   স্তনটি। গা গুলিয়ে ওঠে ওর। চার পুরুষের চর্চিত সংস্কারে যতখানি বাজনা বাজার কথা তারচে বেশি এই প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডে হঠাত হঠাত ভেসে আসা অদ্ভুত গন্ধ, দৃশ্যে ওর বেশি অস্বস্তি হয়। আজকাল অবশ্য মনের শক্তি বাড়াচ্ছে। যে ব্যাপারটায় ওর গা গুলোয় সেটা নিয়ে বেশি বেশি ভাবে। বেশি স্পষ্ট করে তোলে দৃশ্যটা। তাতে মনের সহনশীলতা সত্যিই বেড়ে যাচ্ছে। সেদিন আজরাফ একটি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল। ওর ননদ একটি নামকরা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। ইশকুল কমিটির চেয়াম্যানের কোন আত্মীয় অই একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে এখন অস্ট্রেলিয়া আছে। সেবন্তি বলেছিল, বাসায় জানাই আজরাফভাই। দেখি কি বলে !  

আজরাফ যেতে যেতে ফিসফিস করে বলেছিল, ভাবী, ভাইকে বুঝাইয়া বইলেন। এখন   তো বংশমর্যাদা ফর্জাদার কোন ভ্যালু নাই। লেখাপড়া শিখে সবাই উন্নত কালচার শিখে নিচ্ছে। দশ বছর আগে আমি কি আপনার সাথে এক টেবিলে বসে চা খাওয়ার সাহস পাইতাম বলেন !   

সেবন্তি যেন একটি ঝাপট খেয়েছিল মনে মনে। 

এরপর ওরা স্বামী স্ত্রী দুজনেই অনেক ভেবে দেখেছে। সত্যিই তো সমাজ পাল্টাচ্ছে। রোলিং হচ্ছে। যারা সমাজের নীচস্তরে ছিল, তারা রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা নিয়ে পড়াশুনা, ব্যবসা, রাজনীতি বা প্রবাসী হয়ে সামাজিক অবস্থানকে আর্থিকভাবে সম্মানিত করে তুলেছে। কালচার ত দেখেশুনে শিখে চর্চা করার ব্যাপার। আজরাফ এখন এমন  অনেক  জায়গায়, এমন বিখ্যাত মানুষদের সাথে ওঠাবসা করে যা ওদের পক্ষেও সম্ভব নয়। কয়েক বছর আগেও রাতুলদের গ্রামের বাড়ির খেজুরগাছসহ অন্যান্য গাছ মাড়ানি দেওয়ার কাজ করত ওর আব্বা। এখন দালান ঘরে বসে সাদা লুঙ্গী সাদা  পাঞ্জাবী পরে টিভি দেখে। মসজিদে যায় বাটার জুতা পায়ে দিয়ে। হজ্জের টাকাও জমা দিয়েছে আজরাফ। মাঝে মধ্যে ইশকুলের সমাজবিজ্ঞান শিক্ষক বর্তমান বাংলাদেশের  সামাজিক ভাঙন এবং পরিবর্তনের ইতিবাচক দিকগুলো আলোচনা করে বলেন, এইতো হওয়া উচিত,“সিক্ত যাদের সারা দেহ-মন মাটির মমতা রসে, এই ধরণীর তরণীর হাল রবে তাহাদেরই বশে।” এছাড়া ডাক্তারী, ইঞ্জিনীয়ারিং, বিসিএস পরীক্ষায় টিকে যাওয়া কোন কোন ক্যাডারদের পারিবারিক এবং আর্থিক সংকটের  মধ্যেও হাল না ছাড়ার বাস্তব গল্প দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হয়। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের অণুপ্রেরণামূলক পোষ্ট দেখেও নিম্নবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েদের অনেকেই  অণুপ্রাণিত হয়। সাহসের স্বপ্ন দেখে।  রাতুল সেবন্তি টাকার যে একটি সব সম্ভবের ক্ষমতা আছে সেটি অস্বীকার করে না। তবু কয়েকদিন আজরাফকে এড়িয়ে গেছে  সেবন্তি। ভাগ্য ভালো, অস্ট্রেলিয়ান ছেলেটি নিজেই তার গার্লফ্রেন্ডের কথা জানিয়ে দিয়েছিল।

মাছ দুটো কাটুনিকে দিয়ে ও বুঝতে পারে, দেরি হবে। বয়স্ক এক দম্পতি আট দশটি ইলিশসহ রুই টেংরা কই মাছ কুটতে দিয়েছে। তারা ডিরেকশনও দিচ্ছে মাছের সাইজ কেমন হবে সে ব্যাপারে। একটু সরে দাঁড়ায় সেবন্তি। ক্লান্ত লাগছে। এই গরমে এই শরীরে এমন জায়গায় আসাই ওর ভুল হয়ে গেছে। রাতুল শুনলে রাগ করবে। আব্বাআম্মাও বকবে। ধুর, ইলিশ কুটতে আর কতক্ষণ লাগে। ও নিজেই পারবে। কাটুনির কুটতে লাগবে না। তারচে মাছদুটো বাসায় নিয়ে যাওয়াই ভালো। অই তো সিএনজিগুলো ষ্ট্যান্ডবাই আছে। সেবন্তি যখন এসব ভাবছে, হঠাত দেখে, বুক চুলকানি ভিখেরি মহিলাটি চকচকে একটি লাল টুল রেখে ওকে বলছে,    

— আম্মাগো একটু বইসেন গো আফনি। 

ঘেন্না লাগে ওর। অই হাতে ! ওয়াক উঠে আসে গলার কাছে। কিন্তু মুহুর্তমাত্র ও শুনতে পায়, মহিলাটি মাছকাটুনিকে বলছে, শারুক্যা এইবার অই আম্মার মাছগুলান কুইটা দে বাজান। পুয়াতি মাইয়া —      

বয়স্ক দম্পতি শুনেই রেগে যায়, আমরা আগে এসেছি। এই ছেলে তুমি আগে আমাদের মাছ কুটবে– দেখলে ত শানু, বাংলাদেশের কি অবস্থা— সবকিছুতে জুলমবাজী—সামান্য  মাছ কাটতেও–    

সেবন্তি সরে আসে। ভিখেরি মহিলাটি এবার অনুরোধ করছে, বড়আম্মাগো, আপনার মাইয়া যদি—-

মহিলা খিঁচিয়ে ওঠে, হাউ ডিসগাস্টিং! আমার মেয়ে কেন এখানে আসবে! এই তুমি সরো ত– সরো দেখি— দালালি করো না– যাও এখান থেকে।    

সিএনজিতে উঠে পড়ে সেবন্তি। ভিখেরি মহিলা দুজন ছুটে আসে, দাঁড়ান গো আম্মা– পাছ মিনিড দাঁড়ান—আমার পুলায় অক্ষণেই মাছ কাইডা দেমেনে–     

সিএনজি ষ্টার্ট দিচ্ছে। সেবন্তি হাসে, খালা মাছদুটো আপনারা ভাগ করে নেন। আসি খালা।  

=====================================