বঙ্গ রাখাল
জন্মদাগ
চোখ খুললেই তোমায় দেখি
মুহূর্তেই আটলে কপাট…
দুর্বার এক আশা নিয়ে এসেছিলাম
ভেতরে তৈরি হয়েছিল প্রবাহ
দ্বিধার নৌকা আজ পড়েছে টলে…
অনাকাঙ্ক্ষিত সব কেস চোখের সামনে মীমাংসিত
কুৎসিত মুখে ফুটছে হাসি-তবু অভিমান আমার
জড়িয়ে হাসে মিথ্যা যিশু…
প্রতিফলন= সক্ষম একথায় থাক
হাড়মজ্জায় মানচিত্র আঁকে জন্মদাগ…
গোলাপ মূলত সংকেত তিলক
পূর্বের কথা মনে রেখে লাভ কি? হারিয়ে গেছে দিন-
ঘুমের ঘোরে যে বলেছিলে- কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে
উল্টো বলতে পারতে কিংবা সত্যতা
না বলোনি… নিজেকে গুটিয়ে গিয়েছো ভুলে
বিষ্যুতবার হলেও রাস্তায় হেঁটে চলে গৃহস্তমশাই
দিন মাস ক্ষণ জানে না বিপদ…
কথাছিল ভ’মিশয্যায়- রজনীগন্ধ্যা রেখে
দুজন সংসার সাজাব-রাস্তায়
মুখপানে বসে আঁকব তোমার মুখচ্ছবি
এটাঁই শেষকথা নয়…
ইসকুলে বাল্যবেলাÑ মধ্যবর্তী জীবনের পক্কতা
এনেও কী নিদারুণ কষ্টেÑসাজাব তোমায়
কফিনে মোড়ানো যে আকাশ
সেটাও তো তোমারী ভুলে আঁকা হল
গড়িয়ে পড়ল জল…খানিক রেগে গম্ভীর…
নীলচোখে নীলিমা তোমাকে দেখি
পূর্বের হাওয়া শীতল হলেই
উড়ে যাই পরিযাযী পাখি…
এখন আকাশ চিনে- চিনে দূরের পথ
নিজের ঘরে, ফুটপথে কিংবা ইস্টিশনে
যে দাঁড়িয়ে পিছনে ঠেলেছে সময়
সেও তখন স্মৃতির ভিতরে নিজেকে খোঁজে
নদী সাঁতরে নিজেকে আবিষ্কারের অদম্য আশায়…
একটি সংসার ক্রমশ বড় হচ্ছে…
অস্পষ্টতায় ভরে যাচ্ছে জীবনের অধিকাংশ সময়
কাছের মানুষ দূরে দূরে থাকে
ধীরে ধীরে জীবনের অপরাহ্নেবেলায়
আমি ক্লান্ত পথিক…কপালে আঁকি সংকেত তিলক…
কান্তি এক মরিচীকার নাম-ডুবিয়ে দেয় জীবন
বুকের ভিতর সমাগত অস্ত্রসজ্জায় প্রতীকিফলা
ঈশ্বরের নামেও যুদ্ধ চলে- গোলাপ একটি ধারণা মাত্র…
আড়াল কিন্তু আড়াল না
শূন্যতার ঘর বলতে আমি আমাকে বুঝি
ঝলকের বাতি বলতে আমি তোমাকে বুঝি
লোডশেডিংয়ের চাপ বলতে আমি আমাকে অথবা তোমাকে বুঝি
বাস্তবতা বলতে আমি আমার সময়কে বুঝি
এত বুঝতে বুঝতে কিংবা খুঁজতে খুঁজতে আমি ক্লান্ত…
নদীর পাড়ে দীর্ঘতার হাতছানি- শূন্য দূকুল
গর্জে ওঠে বাতাসের বলিষ্ঠদেহ-অতঃপর দাঁড়কাক
নারীটির নেতিয়ে পড়া শরীরের ম্লিমান ঘ্রাণ মেখে
শরীরে উড়ে গেল-পেশায় চামারের কাছে…
তুমি ঘুমিয়ে আছো-জন্মের চিরদিন ক্ষয়িত ফুৎকারে
ধুক ধুক বুক- অচেনা মুখ…
আড়ালেও অনেকটা স্নিগ্ধতা ছড়ায়…
=====================