You are currently viewing দয়াময় পোদ্দারের কবিতা

দয়াময় পোদ্দারের কবিতা

দয়াময় পোদ্দার

 

দেবদারু ছায়ার মাটি

 

যেখানে পা রেখেছি- বিকেলরঙা মাটি।

ঝরাপাতার ফসিল ফুঁ দিয়ে সরালে

মেঘের ঘুম। একঝাঁক গাঙ শালিক

ডানা ঝাপটায় তার ভিতরে। এভাবে

দাঁড়িয়ে থাকা ঢেউ শুনেছি কলতানে।

 

কুয়াশা নামছে ধীরে ধীরে, কতদূর

তথাপি অমোঘ হাতছানি। উঠে আসে

পেঁচার চোখ, লালিত ফন্দি। হুঁশ করে

মাটিগন্ধা দেবদারু ছায়া মাখে, আর

হাওয়া লাগে, ক্ষয় হয় গল্প কথার।

 

দুবোজাহাজের হুইসেল,শস্য বীজ

নুয়ে থাকা পথ খোঁজে।ঘামে ভেজা মুখ…

 

পিঁপড়া

 

কিছু কথা বোবা হয়ে থাকে।

কাজুবাদাম, কিসমিস, আর

চানাচুর বোয়ামগুলোর তাকে

ছোট টিনের কৌটোয় ভরে

তুলে রাখা।

 

যুগ শেষ হয়। কুলকুল শব্দ।

কল্লোলিত উদযাপন করে বন্দর।

কালো হয়ে জঙ ধরা কৌটো- দৃষ্টিভ্রম

বলি তাকে। আহা, এই শোক!

শৈল্পিক বন্দনা।

 

রং চেনা খুব সহজ নয়। তাকে মরণ

বলে ডাকি। সাঁকো পার হয়ে এসে

ফাঁকা বোয়ামগুলো পাশে মনে পড়ে

সূর্য উঠেছিল। জঙ মুছে কৌটো খুললে

ভিতরে কিছু মৃত পিঁপড়ে,

তারা অমৃতের খোঁজে মরুভুমি

পাড়ি দিয়েছিলো!

************************