আব্দুল্লাহ আল রিপনের কবিতা
শিকার
পোকাটির
নির্জন চোখের দিকে চেয়ে
নিজের ভেতর ডুবে গেল টিকটিকি।
এই অপরাধে, সমস্ত শরীর থেকে
কেটে গেল তার মগজের স্নায়ু।
ছাদের আঙুল খুলে ঝরে গেল
তরুণ টিকটিকিফুল।
আসে মাছি, পিপীলিকা…
……………………………………
সুলতান অ্যান্ড ভাই-বেরাদারস
প্রায় পঁচিশ বছর পরে
বন্ধুর সাথে দেখা— সুলতান আহমেদ।
কেএফসিতে খাবারের অর্ডার দিয়ে
গল্প করতে করতে চোখে পড়ল—
জামাটায় গুচি সিল মারা, চশমাটায় রে-বান
প্যান্টে-কেডসে কী লেখা দেখা যায়নি।
শরীর থেকে ঘামগোলানো দুর্গন্ধ আসছে।
জিজ্ঞেস করলে জানালো, পোগো নামের বডি-স্প্রে।
কথা বা ভঙ্গিতে কোনো ম্যানারিজম নাই,
আঞ্চলিকতার কোনো চিহ্ন নাই।
ফলত আমি ওকে চিনতে পারিনি।
শেষ করে বাইরে বের হতে দুইঘন্টা লেগে গেল।
হাঁটতে হাঁটতে মনে হলো,
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের একটা চলমান
ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের বিভিন্ন পণ্যের সাথে আছি।
একটা নাম রাখলাম মনে মনে—
সুলতান অ্যান্ড ভাই-বেরাদারস।
পোস্ট-মর্টেম রিপোর্ট
……………………………..
কেউ তাকে হত্যা করেনি–
আত্মহত্যা করেছিল সেলিনার বাবা।
পুঁজিবাদ শান্তিরক্ষাকমিশন
টিভি-পত্রিকা সোশ্যাল মিডিয়া
মোটিভেশন স্পিকারস
কলিকাতা হারবাল ক্লিনিক
কলিগ-স্বজন অথবা এই
সাবান-মাখা গ্রাম– কেউ
তার মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয়।
=========================