অন্তর চন্দ্র’র কবিতা
ক্যানিবালিজমের দিনলিপি
প্রতিদিন পাঠ করি হিংসার শপথ
প্রতিদিন পাঠ করি রৌরব নরক
হরিণ খুঁজেছে নাভিগন্ধের ক্যানিবালিজম
শূকর খুঁজেছে মাটির সৌরভ
জলের অপেরা মাছেদের মাঝে
ক্যানিবালিজম শেখায়;
প্রতিদিন পাঠ করি হিংসার শপথ
প্রতিদিন পাঠ করি রৌরব নরক
স্নেহে বেড়েছে অন্ধকারের যাত্রী
পাপড়ির মোহে ফুলের শরীর খুলে নেয় ওরা—
সবুজ বোতাম খুলে লাল-নীল উল্লাস করে
একদল মেঘপালকের শিশু
বিদ্যুৎ খসে পড়ে;—
প্রতিদিন পাঠ করি হিংসার শপথ
প্রতিদিন পাঠ করি রৌরব নরক
ক্যানিবালিজম পাঠের আসরে
দিনরাত শুনি, শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনি
শ্বাসাঘাত আর দীর্ঘ ঋ চিৎকার
কবে মানুষের চোখে ফিরে যাবে আলো?
সূর্য খবর নেবে কি কখনো?
প্রতিদিন পাঠ করি হিংসার শপথ
প্রতিদিন পাঠ করি রৌরব নরক
শিল্প ও সংগ্রাম
শিল্প বলতে যে মাথাটি কাটা হয়েছে— তার আখ্যান ভাগ
ঝুলন্ত মাথার পাশে গজিয়ে ওঠা ঘাসগুলো
নীরবে ভাঙতে থাকা উইয়ের মাচা
শব্দের ভেতর নিঃশব্দ খুঁজছে
একদল কালো পিঁপড়ে
যেন দেশলাইয়ের কাঠি বয়ে চলা— দুঃসাধ্য
তাই মাথা পেতে দেয়া পাথরের উপর
লাল রঙের স্ট্যাটাস
বর্ণময় সাপের শরীর
গিজগিজ করে—
পা বাড়ালেই দেখি
রক্ত, মাংস, তাণ্ডব
শকুনিরা আমাকে ব্যবচ্ছেদ করে টাঙিয়ে দিয়েছে
সুকান্তকে মিউট করেছি
সকাল ১০ টার কাঁটা ছুঁই ছুঁই
উপচে পড়া ভিড়
ঠেলে উঠে
ফেসবুকে ঢু দিলাম
মোরগের কাহিনী শোনাচ্ছেন, সুকান্ত
বুদ্ধিজীবীরা ক’টি পা
ক’টি চোখ ক’টি নাক
এসব হিসেব কষলে
দাঁদে মলম লাগাতে হিমসিম খাই
দুপুর ০১ টার চরম মেজাজে
জলপাই টক ফল
তোমাকে বোঝাচ্ছি
হাঁড়িতে মুখ চুবিয়ে
নাকে খত দিয়ে
০৪ টা পর্যন্ত ডুবে যাচ্ছো
বাইরে মিছিল দেখে
এতটুকু হার্টবিট বাড়ছে না—
সূর্যকে খেয়ে ফেলছে আঁধার
কেউ খাচ্ছে রাত
কেউ ভোর
আমি চেটেপুটে খাচ্ছি দিনের পর দিন
*******************************
