You are currently viewing বদরুজ্জামান আলমগীর-এর দু’টি কবিতা

বদরুজ্জামান আলমগীর-এর দু’টি কবিতা

বদরুজ্জামান আলমগীর-এর দু’টি কবিতা

বোবা রক্তের দিন

যদি দুঃখের সুগন্ধ পেতে তুমি এমন কোনদিন,
নড়ে উঠতো সঙ্গোপনে তোমার প্রাণের দুধসর
যদি জানতে তুমি শামুক আর সংসার ভাই-বোন
তাহলে কখনও এভাবে সমর্থন করতে পারতে না
গণহত্যা, উচ্ছেদ হওয়া মান্দাই, ছোরা ও গুমখুন।

যদি তোমার প্রাণে সেলাই করা থাকতো পিপাসা
ধুতরা ফুলের সাথে মুখ বাড়ানো মোরগের ঝুঁটি
শহীদ মিনার হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা রাবেয়ার নতমুখ
তোমাকে বিচলিত করতো এই বোবা রক্তের দিন
গণহত্যার পক্ষ নিতে না তুমি- ঝিম বটের রোখ।

তুলে নাও বুকের কাছে নদীতলার একমুঠো বালি
রক্তে ভেজা মাছের কানকো- ভাইয়ের খোয়াবগুলি।

মিনার

আগের দিনে মানুষের পিঠে
নৈঃশব্দ্য জমিয়ে রাখার দরকারে
উটের পিঠের মত কুঁজ ছিল।
বলা চলে, প্রায় বেবাক মানুষেরই
ছিল এমন নির্বাক নিষ্ঠাবান টিলা।
ধানের ক্ষেতে কীট বিনাশকারী বিষ
ছিটানোর স্প্রে মেশিন পিঠের উপর
এমন ছিল, বলাই যায় বোধকরি।
মানুষের মতিগতি স্বভাবের সাথে
উটের একটা মিল দেখি রয়েইছে।
অনাহারই হয়ে ওঠে উটের আহার,
তৃষ্ণা নিজেই তার জল ও পিপাসা,
মানুষ দিনে দিনে হয়ে উঠছে মিনার।
কোথা পাবো জল কাটার করাতকল
হাতগুলো সব জমে জমে হয়ে গ্যাছে
সাইবেরিয়ান শীতে শীর্ণ গাছের নলি
আলিঙ্গনে ফেরে না রোদের সমিতি।
এই নদীটি, রোয়াদর বিলের কলিটি
হামেশা বলে যাচ্ছে কথার চাপাতি।
দুনিয়াজোড়া জমে কথাদের গ্র‍্যাফিতি,
কথার তোড়জোড়, পাদটীকা সবটুকু
বলার সুনামিতে তুমিই মোড়ানো ফাঁপা।
তোমার কথা ও ডিসক্লেইমারের মুখে
আমি কুঁজো হয়ে আছি চণ্ডগতি টায়ার
মানুষ পিষে যাচ্ছে, আমি জাগছি মিনার।
******************

Leave a Reply