You are currently viewing অনন্ত পৃথ্বীরাজ-এর কবিতা

অনন্ত পৃথ্বীরাজ-এর কবিতা

অনন্ত পৃথ্বীরাজ-এর কবিতা

১.
জীবনতরি

দৃষ্টির সীমানায় সাঁতরায় বক
চোখের পলকে হাবুডুবু খায়
স্মৃতি সমুদ্রে উতাল-পাতাল ঢেউ
কূল-কিনারা নেই নগদ সময়ের।

কতকাল দেখি না আকাশ, গাছপাখি, ঘরপাতা
গভীর সমদ্দুর বয়ে যায় মনের ভেতর
চারদিকে ঝড়ের আভাস পাই, বেজান বিহানে
অচেনা মানুষের মুখ, গুণিকতক আবছায়া।

কত অচেনা বন্দরে তরী ভেরাতে হয়-
তারপরও আমাদের লেনাদেনা চলে,
চলতে থাকে অবিরল।

২.
অস্তিত্ব

বার্লিন প্রাচীর টপকে উঠি-
ঐ দূর বহুদূর পথ শ্বাপদ সংকুলে ভরা
আমাজন, সাহারা মরুভূমি পাড়ি দিয়ে-
পাহাড় চূড়ার শেষ সীমা হিমালয়
কাঞ্চনজঙ্ঘা, লুসাই থেকে গঙ্গোত্রী,
তারপর বিস্তৃর্ণ সমভূমি বয়ে পদ্মা, মেঘনা,
যমুনা মিশে গেছে বঙ্গোপসাগরে।

তুমি মিছে আছো অস্তিত্বে, বুকের গহিনে
পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইল মানচিত্র আঁকা
হে আমার প্রিয় স্বদেশ, বাংলাদেশ!

৩.
নো কম্প্রোমাইজ

নির্দয় সময় এসেছে ধরায়-
আমাদের বসতি পাল্টা যাচ্ছে,
চারদিকে ক্রমিক তীর্যক আল্পনা আঁকা
কেবলি খোলসে মুড়িয়ে নিজেকে
আড়াল করি বারবার।

বন্ধ্যা পৃথিবীতে দু’জনের হয়েছিল শুরু
একসাথে পথচলা-
অথচ আমরা ভেতরে ভেতরে প্রত্যেকে ছিলাম বড্ড একা,
নিয়তি সবাইকে সমান চোখে দেখে, নো কম্প্রোমাইজ-
কেউ ডাক শুনেও না শোনার ভান করলে,
একলা চলার বিকল্প নেই।
********************

Leave a Reply