You are currently viewing মৃদুল রহমানের দু’টি কবিতা

মৃদুল রহমানের দু’টি কবিতা

মৃদুল রহমানের দু’টি কবিতা

আঁচাআঁচি

ও আকাশ, তোমার বিশালতার কি মূল্য আছে-
তাতে মেঘের দৌঁড়ঝাপ আর তারকার মেলা না বসে;
নিঝুম রাতের জোছনায় যদি এক ফালি চাঁদ না হাসে I

ও অথই নদী, তোমার গভীরতার কি মূল্য আছে-
তাতে উত্তাল সফেন ঢেউয়ের সাথে যদি মন না নাচে;
স্রোতসীন জলতরঙ্গে যদি কলকল শব্দধ্বনি না যাচে I

ঐ নুপুরের কি ছান্দিক কিংবা শব্দমূল্য আছে-
জলসাঘরে অপ্সরার সুন্দর চরণ যুগল যদি না চলে;
নৃত্যছন্দে চিত্তানন্দ রভস যদি হৃদয়ের কথা না বলে I

ঐ সংবেদী ঔদার্ঘ হৃদয় মনের কি মূল্য আছে-
স্পন্দিত অনুরণনে যদিবা অনুভবের ছোঁয়া না লাগে;
আঁচাআঁচি সমরসে যদি অন্তরে এতটুকু প্রেম না জাগে I

এক দুই অতঃপর পরিশেষে !

এক.
আমি তোমার চোখের কোণে জমে থাকা নোনাজল দেখেছি;
দেখেছি তোমার নির্মোহ চিত্তে অসহ্য উত্তপ্ত আগুনের দহন I
তোমার আশাহত বিদীর্ণ হৃদয়ের নিঃশব্দ আর্তনাদ শুনেছি;
শুনেছি মোহ্যমান হ্নদপিণ্ডের দুই অলিন্দের অবিরাম স্পন্দন I

দুই.
তোমার উপর বহুজনার দুরাগ্রহের চাতুর্যময় হাতছানি দেখেছি;
শুনেছি তোমারই রূপোম্মাদ পাগলদের বচনপ্রপঞ্চময় বিলাপ I
যুগপৎ বহু মানুষরূপী পিশাচের লোলুপ শ্যেনদৃষ্টি পরখ করেছি,
শুনেছি আবেগতাড়িত বিবেকের সহচার্যে কিছু সান্তনার প্রলাপ I

অতঃপর..
অগতির আতান্তরে কার-বা কাঁদে মন; চনচন করে ঋজু অন্তর !
জানি, কেঁদে তো আর দুঃখ যায় না; কষ্ট যায় না উবে চিরতরে I
চোখের ঈষৎ জল কালবেলার ক্ষণিক অনুষঙ্গী হয় অন্তরের,
জীবনে দুঃখ-কষ্টই ছাইচাপা আগুনের খেলা সুখের অগোচরে I

পরিশেষে-
ভাবতেই পারো তুমি, অমন করে কেন তোমায় দেখেছি-বুঝেছি..
আত্মার সান্নিধ্য অনুভূতির অনুরণন;তাইতো অনুভবে রেখেছি
************************

Leave a Reply