সুহিতা সুলতানার দু’টি কবিতা
ইতিবৃত্ত
একটি চেয়ার দিনরাত্রি ভাষা ও দক্ষতা এমনকি পৃথিবীকে
স্পষ্ট দেখতে পায়! প্রতিটি দিনের শেষে যেমন
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে মৃত্যু অনিবার্য জেনেও যারা মৌন
হয়ে জীবনকে বাঁহাতের তালুতে রেখে লাটিমের মতো
ঘুরাতে থাকে তারা বিলাসদ্রব্য বোঝে, হৃদয় বোঝে না
মানুষ আজ ঢের আনন্দিত হয় অক্ষম ও উদ্বেগহীন
থাকতে!ক্রমোন্নতির পথ অন্ধত্ব নিয়ে সরে গেছে বাহ্যিক
ইতিবৃত্ত ছেড়ে! অসংখ্য নিউরটিক স্মৃতিকে থেতলা করে
অদ্ভুত আকৃতির সংরক্ষিত শিল্প ও ধর্ম মনে করে! কে
ওষ্ঠের কিরিচে উঁচিয়ে ধরে কৃত্রিম প্রণয়?শাদাদের
ভিড়ে হলুদ আহ্লাদ চাঁদের আঙটায় ঝুলে থাকে।
এসময় লোভার্ত রমণীরা চর্বিযুক্ত হতে হতে ক্লীবত্ব হয়ে
ওঠে। আমরা এখন বেঁচে আছি সেইসব ক্লৈব্য ক্লোরিন
এর অভিভাষণের হাওয়ায় ভেসে ভেসে!সমবেত
শিক্ষার্থীরা এক সময় অপেক্ষা ও অন্ধত্বকে পেছনে
ফেলে এগিয়ে যেতে থাকে লেকচার ডেস্কের দিকে
জীবন তো জুয়ার রসদ নয়? তাহলে কেন চারপাশজুড়ে
এত বিষণ্নতা এত নীরবতা এত নৈঃশব্দ্যে মোড়ানো চোখ?
আমার কাছে প্রতিটি কার্নিশ অদ্ভুত ও দুর্বোধ্য মনে হতে
থাকে!তাহলে কী জগতের সকল মানব ক্লিষ্ট ও দুর্বল হতে
শুরু করেছে? এখন নিকটে সর্বাত্মক বিপ্লবের সমর্থক
কেউ নেই এমনকি অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় মত্ত হবার
মতোও কেউ নেই!সব আর্দশহীন,লোভী ফাঁপা মানুষ!
শাদা ঢেউয়ের সাথে
শাদা ঢেউয়ের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে মেয়েটির পবিত্র রঙের
শাদা পোষাক কিন্ত মেয়েটি ছিল জাদুকর।ইজেল আর
ব্রাশের ফাঁকে দিগন্তের ভেতরে দাঁড়িয়ে সে ঘন্টা ও চাঁদের
সমন্বয় ঘটাতে চাইছিল!তার লম্বা চুল উড়ছিল সমুদ্রের
হাওয়ায়।সূর্যাস্তের পরেও সে অপেক্ষা করছিল কালো
প্রেতের জন্য কারণ সে ছিল ছলনাময়ী ! ক্যানভাসে কোন
চিত্রকল্প ছিল না ! অদ্ভুতভাবে মেয়েটি দু’চোখে
অপেক্ষা নিয়ে ক্রমশ সমুদ্রের শাদা ঢেউয়ের সাথে ভেসে
যাচ্ছিল
***********************
