You are currently viewing বইবাগান : একুশের উৎসব

বইবাগান : একুশের উৎসব

শিরোনাম : ফিরে দেখা কৃষ্ণচূড়া
ধরন- স্মৃতি গদ্য
প্রকাশক- রচয়িতা
প্রচ্ছদ : লুৎফুল হোসেন

‘ফিরে দেখা কৃষ্ণচুড়া ‘ স্মৃতি গদ্যের বই এটি নিখাঁদ সত্য। তবে এই গদ্যের ভেতর দিয়েই উঠে এসেছে ৯০ এর দশকের খাবার, পোশাক, সংস্কৃতি এবং সর্বোপরি যুথবদ্ধতার গল্প। এই বইয়ে আমি দেখাতে চেয়েছি এই প্রযুক্তির যূগের আগে আমাদের কতো সমৃদ্ধ শৈশব ছিল। যেখানে কোনো গ্যাজেট ছিল না কিন্তু ছিল অসংখ্য খেলাধুলা এবং অফুরান আনন্দ। আর এসবের ভেতর দিয়েই আমরা শিখেছিলাম -সামাজিক আচরণ অন্যের জন্য নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করা এবং পরিহার করতে শিখেছিলাম তুচ্ছতা ও অমানবিকতা। একই সাথে সাথেই অনেকগুলো চরিত্রের ভেতর দিয়ে আমি পাঠক মননকে গভীর আনন্দের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছি। সুপ্রিয় পাঠক আনন্দ ভ্রমণে আপনাদের আমন্ত্রণ।

***********************

উড়াল পঙ্খীর দ্যাশে
লেখক :কুমার প্রীতীশ বল
প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ
প্রকাশক : ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ, প্যাভিলিয়ন :১৯
মূল্য : ৫০০ টাকা
উড়াল পঙ্খীর দ্যাশ জুড়ে কিছু শিক্ষিত মানুষ আছেন। তাঁদের একটি অভিমত আছে। সে অভিমত স্মরণে আনলে মন দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে যাই। এসবের মধ্যে কারও কারও আবার এরূপ মতও আছে যে, আমার এই সোনার স্বদেশ জুড়ে নাকি এমন কিছুই নেই, যা তাদের জানবার উপযুক্ত, গর্ব করার মতো। এরূপ মূর্খতা ও অজ্ঞানতা আর ঔদাসীন্যের মূলে আছে তাদের জড়তা। এর ফল অবশ্যম্ভাবী অধোগতি। তারা হতাশা প্রকাশ করে নানাভাবে। তারা মানে ঐ শিক্ষিত মানুষেরা এই সোনা ঝরা বাংলার নানান কাহিনীর কিছুই জানে না।
পিতা-পুত্রের মতভিন্নতা প্রজন্মের ব্যবধানকে স্পষ্ট করে তুলেছে। মন খারাপের বার্তা যেমন আছে, আবার মন ভালো করার সু-সংবাদ কম হলেও আছে। ইতিহাস লিখতে চাইনি। আমি ঐতিহাসিক নয়। ইতিহাসের আশ্রয়ে থেকে হাওর বাংলার চারপাশের মানুষ কিংবা অ-মানুষগুলোকে দেখতে চেয়েছি কল্পনা আর বাস্তবের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে।
উড়াল পঙ্খীর দ্যাশে উপন্যাসে হাওর বাংলার মানুষের যাপিত জীবনের ছবি যেমন পাওয়া যাবে, পাশাপাশি নানান পদের মানুষের মুখ ও মুখচ্ছবি দেখতে পাবেন।
***********************

আমাদের এই জীবনটা হল নানা রকম দীর্ঘশ্বাসের যোগফল। আর এতো এতো দীর্ঘশ্বাস আছে বলেই কবিতা লিখি। কবিতার অন্তরে নির্যাস না থাকলে কল্পনা বৃত্তবন্দী পড়ে। কবিতার সবচেয়ে কঠিন কাজ স্বপ্ন-রূপকল্পতার জানালা খুলে দেয়া। কবিতায় থাকে জন্মান্তরের প্যান্ডোরার বাক্স। এই বাক্সে কবি সযতনে রেখে দেন আনন্দ, বেদনা, বিস্ময়, কৌতূহল আর দীর্ঘশ্বাসগুলি।

যাপিত জীবনের এই সব অনুভব নিয়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘অফেরতযোগ্য দীর্ঘশ্বাস’। একুশে বইমেলায় জলধি প্রকাশনীর স্টলে বইটি পাওয়া যাবে। প্রচ্ছদ করেছেন তাইফ আদনান। এটি আমার ষোলতম বই, তবে তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। প্রকাশক হলেন নাহিদা আশরাফি। বইয়ে মোট ৬৯টি কবিতা রয়েছে। মুদ্রিত মূল্য – ২৫০ টাকা। মেলায় ২৫% ছাড়ে- ১৯০ টাকা।
*************************

ওরহান পামুকের নির্বাচিত গদ্য; অনুবাদ: খালেদ হামিদী; ফেব্রুয়ারি ২০২৫; প্রকাশক: দ্বিমত পাবলিশার্স; চলমান অমর একুশে বইমেলায় চট্টগ্রামে ১০২ এবং ঢাকায় ১৭১ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচ্ছদঃ আল নোমান; ইনার স্কেচঃ অন্বয় হামিদী।
***************************

টাইটেলঃ বাংলা সাহিত্যের প্রথম কল্পবিজ্ঞান লেখক
সাবটাইটেলঃ বেগম রোকেয়া

‘সুলতানা’স ড্রিম’ প্রকাশ থেকেই বেগম রোকেয়া নারীবাদী আন্দোলনের পথিকৃতের স্বীকৃতি পেয়ে আসছেন। কিন্তু প্রায় সোয়াশ বছর পর এই বইতে প্রথমবারের মতো একই গল্পকে আদর্শ বিজ্ঞান কল্পকাহিনী বলে প্রমাণ করা হয়েছে। রোকেয়া এই গল্পে নারী বিজ্ঞানীদের নির্মিত কাল্পনিক বিমান ভ্রমণ, সৌররশ্মিকে নলে ঢুকিয়ে আলো ও তাপের ব্যবহার, আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে কৃষিকাজ, এবং তৎকালীন বিজ্ঞান থেকে এগিয়ে থাকা আরো অনেক কল্পনা করেছেন যা পরবর্তীতে বাস্তবে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি আরেকটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক গল্প ও প্রবন্ধও লিখেছেন। এসব থেকে প্রমাণিত হয় শুধু বিজ্ঞান মনস্কই নন, তিনি তখনকার প্রাগ্রসর বিজ্ঞানের একনিষ্ঠ পাঠক এবং চিন্তকও ছিলেন।

আশ্চর্য হলেও সত্য যে, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর গবেষকদের সবাই তাঁর সাহিত্যের এই দিকটি পুরোপুরি উপেক্ষা করেছেন। এই বইতে লেখক দেখিয়েছেন, যে কয়টি গল্পকে বাংলা ভাষার প্রথম কল্পবিজ্ঞান বলে বিবেচনা করা হয় সংজ্ঞা অনুযায়ী তা আদৌ কল্পবিজ্ঞান নয়। ঐতিহাসিক ক্রমানুসারে বেগম রোকেয়াই বাংলা ভাষার প্রথম কল্পবিজ্ঞান লেখক।

বাঙালির কাছে স্বীকৃত না হলেও লেখকের গবেষণার ফলে বেরিয়ে এসেছে যে পাশ্চাত্যের গবেষকরা ‘সুলতানার স্বপ্ন’কে বিশ্বসাহিত্যের কল্পবিজ্ঞান শাখায় প্রথম সারিতে ঐতিহাসিক স্থান দিয়েছেন।
***********************

রোমান সাম্রাজ্যের বর্তমান ও অতীত
লেখক – আশরাফ আহমেদ, প্রকাশক – আগামী প্রকাশনী, প্রচ্ছদ – আনিসুজ্জামান সোহেল
পুস্তক পরিচিতি
একটি ভ্রমণ কাহিনী। আড়াই হাজার বছর আগে ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ক্ষুদ্র রোম রাজ্য কালক্রমে বিস্তৃতিলাভ করে যে রোমান সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তার প্রভাব আজ সমগ্র পৃথিবীতে ব্যাপৃত। দেড় সহস্রাধিক বছর পূর্বে সেই সাম্রাজ্য ধ্বংস হয়ে গেলেও তখনকার উন্নত নগর, শিক্ষা, সংস্কৃতি, শাসন, স্থাপত্য,ভাষ্কর্য, ও শিল্পকলা সমগ্র বিশ্বে আজও নন্দিত ও প্রচলিত। ইউরোপীয় রেনেসাঁ থেকে প্রাপ্ত আধুনিক বিজ্ঞান ও অবিষ্মরণীয় শিল্পকলারও জন্মভূমিও ইতালি। সারা ইতালি জুড়ে সংরক্ষিত পুরনো সেসব নিদর্শন স্বচোক্ষে দেখা একটি ঘোরলাগা অনুভূতির জন্ম দেয়।
শুধু স্থান ও ভ্রমণ বর্ণনাই নয়, লেখক বর্তমানের আলোকে ঐতিহাসিক ঘটনাকে বিচার করার চেষ্টা করেছেন। সাধারণতঃ অজানা কিন্তু আশ্চর্য কিছু ঘটনা বিবৃত করেছেন, যা রোমান এবং ইতালির ইতিহাসেরই অঙ্গ। ‘মানুষের মগজে আদমের সৃষ্টি’, ‘পেশাব ট্যাক্স’, ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’ তেমনি তিনটি মাত্র উদাহরণ।
রোম, পোম্পেই এবং ফ্লোরেন্সের মতো ঐতিহাসিক স্থানের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর টুসকানি ও চিংকোটেরা ভ্রমণের মনোজ্ঞ বর্ণনাও রয়েছে। রয়েছে বর্তমান ইতালিরও সরব উপস্থিতি। প্রকৃতি এবং ইতিহাস প্রেমী উভয় পাঠকই এই বই পড়ে আনন্দ পাবেন ও উপকৃত হবেন বলে আশা করা যায়
এই বই সম্পর্কে কবি ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক আমিনুর রহমান লিখেছেন, ‘আমার ইতিহাসজ্ঞান, শিল্পের নিগূঢ় সত্তা ও আধুনিক ইতালির জীবনবোধ ও জীবনচর্চা সম্পর্কে আগের সকল ধারণা ও জ্ঞান পরিবর্তিত হয়ে গেছে। ভ্রমণ কাহিনী যে শুধু স্থানিক বর্ণনা নয়, তা যে প্রবহমান মানবসভ্যতার সঙ্গে ব্যক্তির সম্পর্ক খুঁজে নেয়া, এই গ্রন্থটি তার প্রমাণ’।
ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটির রোমান সাম্রাজ্যের স্থাপত্য ইতিহাসের অধ্যাপক আদনান মোর্শেদের মতে এখানে ইতিহাস সচেতনতার সাথে জ্ঞানচর্চার অংশ হিসাবে ভ্রমণের বই লেখা হয়েছে। সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে বিখ্যাত ঐতিহাসিক চরিত্র, যেমন জুলিয়াস সিজার ও গ্যালেলিওকে জীবন্তভাবে উপস্থিত করে বর্তমান বিশ্বকে বোঝার চেষ্টা করা।
************************

এটি একটি প্রবন্ধের বই। পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রাচীন থেকে শুরু করে সামসময়িক জীবনাচার, বিশ্ব তথা এবং আমাদের নিজস্ব জীবনাচার, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মজ্জাগত লোকাচার, শিল্প, সাহিত্য এবং সংগীতসহ সাংস্কৃতিক বলয়কে ধারণ করে—জীবনের নানা যাপনকে খাওয়া-দাওয়া চলা ফেরা রুচি অভ্যাসে কীভাবে আমরা (বিজ্ঞানভিত্তিক না হলেও বিজ্ঞানমুখী জীবনাচারের সাথে) মেলাতে পারি, লেখনিতে সেই সম্ভাবনা ও বোঝাপড়াগুলো আলোকপাতের চেষ্টা হয়েছে। উল্লেখ্য তথ্য হিসেবে অনেক রেফারেন্স এখানে যুক্ত করা হয়েছে। যেটি আপনি সহায়ক গ্রন্থ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন বলে আশা করা যায়।

ঠিক করোনা মহামারী থেকে শুরু করে আজ অব্দি লেখা এই প্রবন্ধগুলোতে চিন্তার নানা বোঝাপড়া, অভিনিবেশ, নানা দৃষ্টিকোণ থেকে (মাটিমুখীনতার মধ্য দিয়ে) সন্নিবেশনের চেষ্টা হয়েছে। আশা করছি আপনাদের ভাল লাগবে। আবারও ধন্যবাদ সকলকে।
***********************

মেঘনার মেয়ে
গোলাম রববানী
কাব্যগ্রন্থ
প্রচ্ছদ: নির্ঝর নৈঃশব্দ্য
প্রকাশক: বুনন, সিলেট
দাম: ৩০০ টাকা
************************

Leave a Reply