গৌতম কুমার গুপ্তের কবিতা
ভা ল বা সা র ছোঁ য়া
ছুঁয়ে ফেলেছিল……… পাপড়িরেণু
তারপর আলো আলো আলো
অমোঘ সন্ধ্যা
বসন্ত অবকাশে শুধুই কথাবৃষ্টি
অতঃপর
দৃষ্টিছোঁয়া নেমে এসেছিল চোখের গভীরে
মেঘকালো শাড়িতে কি অপূর্ব ব্যঞ্জনা তাহার
পরতে পরতে ফুটে উঠে
জ্যোৎস্নার স্ফুরিত অভিমান
নিঃশেষে নীরব হয় স্পর্শকাতরতা
ধীরে ধীরে রক্তমাংসের বিরুদ্ধ আধারে
বিষন্ন সাঁঝবেলা আহত হয়
প্রতারিত আলো…..অনুজ্জ্বল ছায়া
ভালোবাসা মাথা কুটে মরে
প্রকৃত অবশেষে
ছায়া ছায়া অন্ধকার…………
ক্যানো
কান্না করে আছো মুখে ক্যানো
কৃপণতা রেখেছো অনায়াস
মুখটি মলিন শ্মশ্রুগুম্ফ লাঞ্ছিত
হাস্যময় নয় ক্যানো হে জনগণ?
দূরে ওই পাখিটিকে দ্যাখো
খালি পেট বটে পালকে ঢাকা
ঠোঁটে তার পাখিভাষা ফোটে
দানাপানি কই? জলের ফোঁটা?
বাড়াও মুখ কৃপণতা সরাও
হাসিটি বসাবো বিষণ্ণ ঠোঁটে
সচ্ছলতা দেবো বহু অর্থময়
অকৃপণ হও কিছু ক্ষণিকের
আমিও কখনো সশব্দ হই
ভাষা খাই হাসিটি জোগাই
===============