You are currently viewing জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরিণতি ব্যর্থতার দিকেই যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে – আহমেদুর চৌধুরী

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরিণতি ব্যর্থতার দিকেই যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে – আহমেদুর চৌধুরী

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরিণতি ব্যর্থতার দিকেই যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে
– আহমেদুর চৌধুরী

আশা করছি কুশলে আছেন। আপনার কী মনে হয়- ভালো থাকা, না-থাকা একটি রাজনৈতিক ঘটনা?

মানুষ, মানুষের জীবন এবং তার পরিপার্শ্ব কোনো কিছুই তো অরাজনৈতিক নয়। এখন প্রশ্ন হলো কে কীভাবে, কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে রাজনৈতিকতাকে চিহ্নিত করছেন বা মূল্যায়িত করছেন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে গড়পড়তা দলীয় পরিচয় বা দলীয় সমর্থন-বিরোধিতার আলোকে একধরনের রাজনৈতিক বোধ, রাজনৈতিক বিবেচনা গড়ে উঠেছে। এই ধরনের চিহ্নিতকরণের রাজনীতির মধ্যে নানা রকমের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, সুবিধা-অসুবিধা, প্রভাব/প্রতিপত্তি বিদ্যমান থাকলেও আমি রাজনৈতিক জীবনবোধ বা যে রাজনীতি একটি সহনশীল, প্রগতিশীল এবং সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ রাষ্ট্র এবং সমাজ ব্যবস্থার দিকে নিয়ে যায় তা খুঁজে পাই না।

২০২৪-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকে আপনি কীভাবে দেখেন? প্রধান উপদেষ্টার কথিত ‘ম্যাটিকুলাসলি প্ল্যানড’ সম্পর্কে আপনি কী ভাবেন?

আপনি যেভাবেই দেখুন-না-কেন, যেভাবেই ভাবেন না কেন ২০২৪ এর পটপরিবর্তন অপরিহার্য ছিল। এই সময়ে এসে ক্ষমতাকে একককেন্দ্রিক করে, কুক্ষিগত করে এবং অন্যসব রাজনৈতিক বিকাশের পথ বন্ধ করে দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা বা প্রয়াসের মধ্যে কোনোভাবেই সাধারণ বোধ-বুদ্ধি সম্পন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিচয় পাওয়া যায় না। তাছাড়া বিরোধী মত এবং ছাত্রদের দাবি-দাওয়াকেন্দ্রিক আন্দোলনকে দমন করার জন্য যে নজিরবিহীন নৃশংস ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল সেটাও ছিল অগণতান্ত্রিক তো বটেই, চূড়ান্ত অমানবিকও। এমন আচরণের পরে কোনো সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার থাকে না। ভালো হতো সরকার যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে পদত্যাগ করত। স্বতঃস্ফূর্তভাবে পদত্যাগ করলে বাংলাদেশকে যেমন এখন যে সংকটগুলোর মুখোমুখি হতে হচ্ছে তার অনেক থেকে রেহাই পাওয়া যেত, তেমনি সরকার প্রধানের পালিয়ে যাওয়ার উদাহারণ তৈরি করতে হতো না। এতে করে রাজনৈতিক পরিস্থিতিও ভিন্ন হতো। প্রধান উপদেষ্টার কথিত ‘ম্যাটিকুলাসলি প্ল্যানড’ সম্পর্কে আমি তার বিস্তারিত কোনো বক্তব্য বা ব্যাখ্যা দেখিনি। এবং চলমান ঘটনাবলি পর্যবেক্ষণ করে বাংলাদেশ নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্যের দিকে এগুচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। তবে বিগত সরকারের অনুরাগী হিসাবে যারা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের যেমন ইচ্ছা তেমন ধরনের ব্যখ্যা দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন তাদের উচিত হবে আরো ভেবেচিন্তে মতামত ব্যক্ত করা। কারণ বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা, রাষ্ট্র পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জনগণের উদ্বেগ নিয়ে সংকট নিয়ে রাজনীতি করতে পছন্দ করেন। আমাদের দেশে রাজনৈতিক বোধের রাজনীতি এবং সচেতন রাজনীতির খুব অভাবের কারণেই আমরা শেষপর্যন্ত জনগণের মুক্তির জায়গায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হই।

জুলাই আন্দোলনের শুরুতে আপনার বিবেচনা কেমন ছিল?

২০২৪-এর জুলাই আন্দোলন নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম একটি বড়ো ঘটনা। অহংকারী একনায়কের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব এবং জন-আকাঙ্খাকে তোয়াক্কা না করার বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ একটি যুগান্তকারী ঘটনা। জুলাই আন্দোলনের সময় বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে অবস্থান করেও আমি আতংকিত অবস্থায় ছিলাম। কিশোর-তরুণ ছাত্রদের ওপর রাজনৈতিক দলের পান্ডা এবং নিরাপত্তা-বাহিনীর যৌথ আক্রমণ আমাকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। আমি লক্ষ্য করেছিলাম নিরাপত্তাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং মন্ত্রীদের বক্তব্যের মধ্যে অসত্য তথ্য এবং নিষ্ঠুর কতৃত্বপরায়ণতার নগ্ন আস্ফালন। বিশেষ করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর আচরণ এবং কথাবার্তা ছিল চূড়ান্ত দায়িত্বহীন এবং অরাজনৈতিক। বাংলাদেশের রাজনীতির অনেক কালো অধ্যায়ের এটি অন্যতম। এর চাইতে আর করুণ ও নির্মম কী হতে পারে যে, যার রাজনৈতিক উত্থান শুরু হয়েছিলো একজন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক নেতা এবং রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে তিনি তার রাজনৈতিক জীবনের ইতি টানলেন ইতিহাসের নিকৃষ্টতম স্বৈরাচার ও একনায়কের পরিচয় বহন করে।

৫ই আগস্টের রাজনৈতিক রদবদলের পর আপনার ভাবনা, কী দুর্ভাবনা কোন বিষয়ে আবর্তিত হচ্ছিল?

সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং দৈনন্দিন জীবন যাপনের স্বস্থির বিষয়টাই ছিল আমার প্রধান ভাবনা বা উদ্বেগ। কারণ এই সাধারণ মানুষের মধ্যেই আছেন আমার স্বজন-বন্ধু-পরিজনরা। এছাড়া যেকোনো রাজনৈতিক পরিবর্তনের ক্রান্তিলগ্নে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বিষয়টাও আমাকে ভাবিয়েছিল। ধর্মীয় মৌলবাদি রাজনীতি এবং উগ্র ধর্মবাদীদের তৎপরতার বিষয়টা আমাকে বাংলাদেশের ভবিষ্যত-রাজনীতির গতি-প্রকৃতির নির্ণায়ক হয়ে উঠার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠতে পারে ভেবে উদ্বিগ্ন বোধ করেছিলাম। কারণ বিগত কয়েক বছরে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের অনুকরণে সরকারের জঙ্গিবাদ নাটকের ফলাফল হিসাবে বাংলাদেশে তৃণমূলে ধর্মীয় মৌলবাদী রাজনীতি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ শক্তপোক্তভাবে নিজেদেরকে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে বলে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। বিগত সরকারের জঙ্গি-নিধনের নামে ভেতরে ভেতরে মৌলবাদকে তোষণ করে যাওয়ার বিষয়টি এখন স্পষ্ট এবং পরিষ্কার।

জুলাই-অভ্যুত্থানকে আমাদের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের নিরিখে কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

জুলাই অভ্যুত্থান বা অন্য যে-কোনো ঘটনার সাথে মুক্তিযুদ্ধকে মূল্যায়ন করতে বলা একধরনের হটকারিতা। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু অসংখ্য মানুষের প্রাণ, রক্ত আর নারীদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে দেশ, পতাকা, স্বাধীনতা অর্জন করার পরও বাংলাদেশের মানুষ তার কাঙ্খিত সাম্য, সমতা, মানবিক মর্যাদা এবং অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে পারেনি। বাংলাদেশে সুশাসন, আইনের শাসন এবং গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্টিত হয়নি। নানা ভাবে প্রগতিমনষ্ক সাংস্কৃতিক-কার্যক্রমকে স্থবির করে দেয়া হয়েছে, পাঠাগার-খেলাধুলা ইত্যাদি সৃজনশীল কর্মকাণ্ডকে রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ পৃষ্টপোষকতা করা হয়নি। এর জন্য দায়ি রাজনৈতিক কমিটমেন্টের অভাব। যতগুলো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় ছিল এবং যারা ক্ষমতায় আসতে চায় কারোরই এই কমিটমেন্ট আছে বলে দেখা যায়নি। যে কারণে মুক্তিযুদ্ধের মতো একটি মহান আত্মত্যাগের ঘটনার পরও এদেশের ছাত্রজনতাকে মৌলিক অধিকারগুলোর জন্য এখন পর্যন্ত আন্দোলনের পর আন্দোলন করে যেতে হচ্ছে। এবং ক্ষমতায় থাকা সরকার উপনিবেশিক শাসক-শোষকের মতো একই ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। যে কারণে আমরা দেখেছি এদেশে একসময় নব্বুই এসেছিল। মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে বলে স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু গণতন্ত্রের স্বপ্ন খেয়ে দিল লুটেরা শ্রেণি, সুবিধাবাদী গোষ্ঠী: যারা সবসময় চায় শোষণ করে সুইস ব্যাংকে টাকা জমাবে আর বিলাতে শত শত বাড়ি কিনবে। এই শোষণ এবং জনগণকে তোয়াক্কা না করার যে শাসন এবং রাজনীতি, তারই বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়েছিল ২০২৪-এর জুলাই-গণঅভ্যুত্থান। কিন্তু সময় অনেক গড়িয়ে গেলেও আমাদের রাজনীতি, আমাদের শাসকগোষ্ঠী এবং সংশ্লিষ্ট সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর চরিত্র বদলেছে বলে মনে হচ্ছে না। অবস্থাদৃষ্টে জুলাই-গণঅভ্যুত্থানের পরিণতিও ব্যর্থতার দিকেই যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

এত রক্তপাতের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শক্তির পতন হলো। মানুষ আশাবাদী হলো। প্রধান উপদেষ্টার বলা ‘রিসেট বাটন চেপে দিয়েছি’ প্রচারিত হবার পর থেকে দেশে ব্যাপকভাবে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য, স্থাপনা, স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস করা হলো। মুক্তিযোদ্ধার কবরে আগুন দেয়া হলো। এসব ঘটনাকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

বাংলাদেশের দূর্ভাগ্য। মুক্তিযুদ্ধের পরে, নব্বুই এর পরে, আঠারোর নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের পরে এবং দুইহাজার চব্বিশের গণ-আন্দোলনের পরে সবসময়ই বাংলাদেশ তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে ব্যার্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার জন্য দায়ী হলো সুবিধাবাদী শ্রেণি। ক্ষমতার পালাবদল ঘটলেও এই শ্রেণির কখনো পরিবর্তন ঘটতে দেখা যায় না। এই শ্রেণির কলাকৌশলেই এমন কিছু ঘটনাবলি ঘটে যা বাংলাদেশকে গণতন্ত্র থেকে, গণতান্ত্রিক মুল্যবোধ থেকে পিছিয়ে দেয়। শুধু তাই না, জাতীয়তাবোধের সার্বজনীন বোঝাপড়ার ক্ষেত্রেও আমাদেরকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়।

জুলাই-অভ্যুত্থানের পর রাজনীতির মাঠে একটা বল ক্রিয়াশীল আছে–সুস্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে, এরা কট্টর ধর্মীয় প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী–যারা বলছে ধর্মীয় মূল্যবোধ ছাড়া গণতান্ত্রিক সমাজ গঠিত হতে পারে না। এই বয়ানকে আপনি কীভাবে দেখেন?

ধর্মবাদী রাজনৈতিক দল তা যে দেশেরই হোক না কেন তারা কোনো না কোনোভাবে আধিপত্যত্যবাদী এবং ফ্যাসিবাদী। তাদের সাংগঠনিক কাঠামোই হলো শক্তপোক্ত ফ্যাসিবাদী কাঠামো। তারা নিজেদেরকে দুনিয়ার ক্ষমতা-দখলের জন্য ‘ঈশ্বর’ বা ‘আল্লাহ’-প্রেরিত বলে মনে করে থাকে। তাদের আনুগত্যের কাঠামো হিটলারের ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত। ক্ষমতা দখলের জন্য ছল-চাতুরি-ধোকাবাজিকে তারা অন্যায় মনে করে না। গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে, ক্ষেত্র বিশেষে এই ক্ষমতায়িত হওয়ার প্রচেষ্টার মধ্যে কিছু বিষয় একত্ববাদের বিশ্বাসের সাথেও সাংঘর্ষিক হয়ে থাকে। তো এইসমস্ত গোষ্ঠীর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সমাজ কীভাবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব?

ইসলাম একত্ববাদী। ইসলামিস্ট দলগুলোর বহুত্ববাদের শ্লোগানকে আপনি কীভাবে দেখেন?

যে যেভাবেই ব্যখ্যা করুন-না-কেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে একজন নিধার্মিক হিসাবে ধর্মকে মানুষের ব্যক্তিগত চর্চার মধ্যে রাখতে এবং দেখতে আগ্রহী। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার সমাজকে একধরনের শ্রেষ্ঠত্ববোধের এবং আধিপত্যবাদের সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যায়। এই সংঘর্ষ সামগ্রিকভাবে মানুষের জন্য এবং মানবাধিকারের জন্য খারাপ উদাহারণই তৈরি করতে পারে শুধু।

বাংলাদেশকে দ্বিতীয় রিপাবলিক হিসাবে দেখতে আপনি আগ্রহী, নাকি আতঙ্কিত?

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই টার্মগুলোর ব্যবহার নিয়ে আমার বিস্তারিত জানার সুযোগ ঘটেনি। চব্বিশের গণ-আন্দোলন এবং অভ্যুত্থানকে আমি প্রথম দিন থেকেই ‘বিপ্লব’ মনে করি না। অতএব ফরাসি বিপ্লব বা রাশিয়ান বিপ্লবের অনুকরণে কিছু নামকরণ করলেই বিপ্লবজনিত পরিবর্তনের পরিস্থিতি তৈরি হবে না, হয়ওনি। তবে বাংলাদেশকে তার প্রচলিত সামন্তবাদী রাজনৈতিক ব্যবস্থা, মৌরসি নেতৃত্ব কাঠামো এবং রাজনৈতিক দৃবৃত্তায়নের চক্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে। জনগণের রাজনীতি এবং জনগণের নেতৃত্ব ছাড়া বাংলাদেশে ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি কখনো অর্থবহ হয়ে উঠবে না।

দেশের বর্তমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে মানুষ শঙ্কিত, সন্ত্রস্ত। এমন বাস্তবতায় সামগ্রিকভাবে আপনি কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান?

নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশের মানুষদের বোধ হয় আর মুক্তি আসবে না! বোধ-বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই ক্রান্তিকাল আর নৈরাজ্যের কথাই শুনে আসছি এবং দেখে আসছি। ব্যর্থতার পুন পুনরাবৃত্তির পরও এখনও একটা অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। যে বাংলাদেশে জনগণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের অধিকার প্রাপ্ত হবে পুরোপুরিভাবে। যে বাংলাদেশ হবে একটি জ্ঞানভিত্তিক-সমাজের বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশের দুর্নীতিমুক্ত অর্থনীতি জনগণকে দিবে মুক্তি, আনন্দ এবং সুস্বাস্থ্য।
*********************************

আহমেদুর চৌধুরী
সম্পাদক ও প্রকাশক শুদ্ধস্বর।
বর্তমানে নরওয়েতে নির্বাসিত।
*********************************

Leave a Reply