You are currently viewing একুশের বর্ণরেখা ||  কবিতার একপাতা

একুশের বর্ণরেখা || কবিতার একপাতা

একুশের বর্ণরেখা|| কবিতার একপাতা

 

আবার এসেছি ফিরে
অনিরুদ্ধ রনি

আবার এসেছি ফিরে এই ধরিত্রীর তীরে
দহি কুব্জটিকা,
কে বলেছে আমি নেই আমি বিভিষিকা সেই ক্ষিপ্ত নীহারিকা।

অগ্নি সম মম রূপ বিচ্ছুরি হীন বিদ্রূপ
মানবের তরে,
আসিয়াছি আমি ওরে আসিয়াছি কলবরে
দৃপ্ত অসি করে।

কোথা তোর রুদ্র টিকা কোথা সেই হিমশিখা
ধরি বক্ষ প’রে,
উচ্ছলি তরঙ্গ রাশি পড়িতেছে নিত্য আসি ধরনীর পরে।

কে রুধিবে হেন বীর্য বাজাইয়া রণ তুর্য
অসীমের মাঝে,
কে ফিরাবে রথ গতি কে হবে বীর সারথী
লক্ষ হীন কাজে।

সঘন তিমির রাত্রি দিশাহীন এ ধরিত্রী
কে বাঁচাবে তারে,
এ কর্ণ কুহরে আসি কি যেন বেসুরো বাঁশী
বাজে বারে বারে।

আজিকার প্রশ্ন বান ক্ষুধিতেরে অন্নদান
কে বিলাবেন তা,
ভাগ্যরূপ ধরে আসি অলক্ষ্যে বিদ্রূপ হাসি
হাসেন বিধাতা।

ক্ষমতার উচ্চাসনে অকাল সমুদ্র বানে
হেন মহামারী,
বুভুক্ষের ক্রন্দন ধ্বনি উথলিছে বক্ষ হানি
কে আছ কাণ্ডারি।

ত্রাসিতে নাশিতে প্রাণ জীবনের অর্থ দান
বিষাক্ত নিঃশ্বাসে,
কে আছ হে নটবর তুলে ধর ঊর্ধ কর
উন্মুক্ত বাতাসে।

আনিবে পর্বত ছানি মহামৃত সঞ্জীবনী
পৃথিবীর তরে,
পাণ করি সেই সুধা জাগিবে এই বসুধা
দীর্ঘদিন পরে।

স্থলে জলে বনতলে মুকুলিত ফুলদলে
খুলিবে কপাট,
উদিবে রবির কর পূণ্য আনন্দ লহর
মুক্ত-হৃদি-ঘাট।

ফেলিয়া পঙ্কিল সাজ লুপ্ত হবে মৃত্যুরাজ
অদৃশ্য দানব,
আজি এ পূণ্য প্রাতে ছুটে যাবে পূণ্য ব্রতে
নিখিল মানব।

 

স্বদেশ শঙ্কাময়ী
আলী সিদ্দিকী

অনভিপ্রেত অন্ধকার চেপে বসেছে চরাচরে
প্রেতপুরীতে জমজমাট মাতাল মচ্ছব
ত্রাসে কাঁপে পলিমাটির নিরেট সংসার
দানব দঙ্গলে পদদলিত প্রিয় স্বদেশ স্বর্ণময়ী।

বোধের অন্তরালে বেড়েছে নির্বোধের ফলন
চাটুকারিতার বুননশিল্পে ঘটে গেছে
উল্লম্ফন- কালো বিপ্লব
ম্যাটিকুলাসের লালায় প্রণীত পালনতত্ত্ব
চাতুরীর সুরম্য পাটাতনে হচ্ছে মৃত্যুর সঞ্চয়
জাগতিক মঙ্গলমঞ্চে সাজানো হচ্ছে
মিথ্যার মিনার – হা হা ফ্যাসিবাদ
চাঁদতারা মবোল্লাসে
দানবদঙ্গলে- মরুসংস্কৃতির দাপটে
অবলীলায় যাচ্ছো পেরিয়ে লোভের পুলসিরাত
দাঁতাল শুয়োরেরা মেতেছে উন্মাদ উল্লাসে।

আলোর পিপাসায় জনপদে হাঁসফাঁস
চলছে প্রেতপূজোর রাজসিক তোড়জোড়
হারিয়েছো তুমি সমুদয় পুস্পিত প্রহর
অগ্নিবলাকারাও হারিয়েছে পথ নিকষ অন্ধকারে।

অনুভূতি : এপিঠ ওপিঠ
তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী

একুশ এলেই স্মরণ করি
একুশের সিঁড়ি বেয়ে দেখেছি স্বদেশের মুখ,
একুশ এলেই দু:খে মরি
একুশেই খালি হয়েছে অনেক মায়ের বুক।

একুশ এলেই ওদের স্মরি
যারা মাথা নত না করে মানেনি বশ,
একুশ এলেই গর্ব করি,
একুশ এনেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

একুশ এলেই শঙকায় ডরি
নাগিনীরা পুনঃ ফনা তুলে কেন নাড়ায় লেজ,
একুশ এলেই শপথ করি,
চিরজীবী রবে বাংলাভাষা-বাঙ্গালী-বাংলাদেশ।
***********************************

Leave a Reply