তানভীর রাসেল-এর তিনটি কবিতা
ভাবনার খসড়ায় আত্মহনন
শিল্পীর স্কেচে জীবন্ত হাসেন মায়াকোভস্কি।
দিন পতনের মহড়া পাশ কাটিয়ে দিব্যি উড়ে যায় বলাকার সারি।
ভ্রমণের ক্লান্তিগুলো জমা রেখে প্রিয়তম বৃক্ষের সবুজে
গল্প শোনায় বিদায়ী দিনের; যার অর্থ হতে পারে প্রস্থাণ মানেই প্রত্যাবর্তনের নিগূঢ় ইঙ্গিত।
তবু পরিচর্যাহীন উন্মাদনায় কে হচ্ছে উলট পালট?
কে সেই নক্ষত্র প্রেমিক!
জীবন ও মৃত্যুকে সমার্থক মেনেও সংগোপনে ভেবে নেয়–
কতোটা পরাভব মগজের ডান পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে
কাঙ্ক্ষার কার্নিশেও ঝুঁকিপূর্ণ হেঁটে চলে আত্মহনন!
সব জানে বোবা দোয়েলের শিস;
বিদেহী আত্মাই শুধু বোঝে সেই কুহকের সুর।
আফ্রোদিতি ও নপুংশক
অবচেতনের কুহক নয়, চৈতন্যের কার্নিশ ধরেই হেঁটে যাচ্ছে আফ্রোদিতির যুগল স্তন।
কামুক দেবতারা গভীর ঘুমে অচেতন;
অথচ মৃত অশ্বের মতো পড়ে আছে কারো কারো অচরিতার্থ কাম।
নদীর নিতম্বে হাত রেখে নদী ও নারীকে
এক ভেবে বসে আছে স্তব্ধ নপুংশক ।
মানুষ
খাওয়ার নামে নিজেকেই খাচ্ছো খুব।
নাড়ার আগুনে বেদম পুড়ছে হেমন্তের বাতাস…
পোড়া বাতাসের ঘ্রাণ উস্কে দিচ্ছে তোমার উদগ্র ক্ষুধা,
আর তুমি খাচ্ছো অবলীলায় জীবনকেই খাচ্ছো খুব।
তুমি নিশ্চয়ই মানুষ; দেবতা হলে
জিউসের মতো এমালথিয়ার দুধ খেতে পারতে।