You are currently viewing জাফর ওবায়েদের দুটি কবিতা

জাফর ওবায়েদের দুটি কবিতা

জাফর ওবায়েদের দুটি কবিতা

 

নিরন্ন নদী তৃষ্ণার্ত মাঠ

কীসের কান্না এতো অস্থির সময়ের নিদারুণ ক্ষতপোড়া তটে?

নিরন্ন, নির্জীব নদী আমি, বুক চিরে শেষচৈতের তৃষ্ণার্ত মাঠ
সহাস্য সমুদ্র তুমি, উপচায়ে পড়ে বিচ্ছুরিত উর্মিমুখর লাবণ্যজল।

কতটা ক্লান্ত পথ, কতটা ভ্রান্ত স্রোত অন্ধের হাত ধরে এগোতেই পারে?
আলোর ইঙ্গিতে, ইপ্সিত উষ্ণতায় যদি গন্তব্যের গার্হস্থ্য ছোঁয়া যায়!

অনন্ত নীলাকাশে উড়ন্ত নেশাভরা বিস্ফারিত দু’চোখ তোমার
ওখানেই রোদ্দুর, ওখানেই ছায়া – ওখানেই আকাঙ্ক্ষার বৃষ্টি আমার।
————————-

 

দ্বিধাদণ্ড

পৌষের নদীতে হাঁটুজল ভেবে সাতারজ্ঞ এক ধূর্ত শৃগাল
পাড়ি ধরেছিল ভর দুপুরের সোহাগি রোদে।
শৃগালের চোখে সিনেপরদার ডিমপাড়া মুরগির
টকটকে লাল মুখ।
কর্ণে নায়িকার মতো হেলেদুলে চলা মুরগির বয়াতী সুরের
ডিমপাড়া-গান।
নদীভেঙে শৃগাল এগোচ্ছে নির্ভীক যোদ্ধার মতো।
মধ্যনদীতে অন-অনুমেয় জলে ডুবে যখন সুচতুর শৃগালের
মরি মরি দশা, তখনও
সমগোত্রীয় শৃগালের কেউ কেউ পারে বসে পিছু ডাকে
কেউ ডাকে সম্মুখে।
ধূর্ত শৃগাল যখন দুপারের ডাকে বোকা বোকা চোখে
কিংকর্তব্যবিমূঢ়
ঠিক তখনই আড়ি পেতে বসা ক্ষুধার্ত কুমির ধীর পায়ে
এগোয় লক্ষ্যের দিকে
অতর্কিত থাবায় নিমিষেই থেমে গেল এ পথের অনবিজ্ঞ
শৃগালের স্পর্ধিত আয়ু।
ধূর্ত শৃগাল তখন ক্ষুধাতুর কুমিরের পেটে ঘোলাজল
*****************************************

Leave a Reply