দুটি কবিতা/ এইচ বি রিতা
যদি প্রশ্ন থাকে
যদি বুকে পা রেখে ধূর্ত শৃগালের মত জেনে নিতে চাও, কি আছে ওখানে?
তবে, বলে দিব এক বাক্যে সোনারোদ দুপুরের কথা
ছেলে দু’টোর হাঁপিয়ে দাপিযে স্কুল শেষে;
বুকে মাথা রেখে ঘুমানোর কথা।
যদি প্রশ্ন করো, এ হাত স্বচ্ছ-ধূসর, শূন্য কেন?
তবে বলে দিব নির্দিধায়, এ হাতে ডাম-বাম পুরুষের চিমটি পড়েনি কখনো।
রাতের আঁধারে শিহরিত হয়নি প্রস্ফুটিত গোলাপ
সাদা-মাটা পোশাক;
লুকিয়ে জলে ভিজেনি প্রত্যুষে।
যদি আমার প্রাপ্তি-অর্জন নিয়ে দ্বিধায় পড়তে হয়
তবে, আমি তোমাদের বুকে তীর ছুঁড়ে পাঁচশো বছরের পথ;
দূরত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেব।
যদি এই শক্তির উৎস জানতে চাও, তবে আমি তোমাদের, বিশুদ্ধ বাতাসে
আমার আকাশে আমন্ত্রণ জানাবো।
বয়স নেই
বৃক্ষ বাকলের মত মসৃণ ত্বক আচ্ছাদিত করে যে বয়স, তারও স্থিতিশীলতা নেই যাকে বেঁধে রাখার, সেই চিরযৌবনা মন, ধূলোর মত পড়ে থাকে অদৃশ্য অস্পর্শী অনুভূতির গুহায়! সাধ্য কার তাকে গলা টিপে হত্যা করার?
অন্ধকার ঠোঁকরে প্রেমের বৈঠা হাতে সরিসৃপের মত খুঁজে চলে সময়-কাল, বয়সের উনুন ভীষণ খরায় ঘাড় গুঁজে পড়ে থাকা মন; তারও ঠোঁট বেয়ে লালা গড়িয়ে পড়ে বন্যশূকরের মত ক্ষুধার লিপ্সায়!
দৃশ্যমান দেহে যা পরিত্যক্ত; তার পুরোটাই ঠোঁট বাঁকানো ভরাট যৌবনা কিশোর-কিশোরীর মত বেঁচে থাকে মনে অনাদিকাল লণ্ঠন হাতে; পূর্ণিমা চাঁদকে গিলে খাবে বলে!
মেয়াদ উত্থানের পরিমাণ দ্বারা নির্ধারিত দৈর্ঘ্যের কোন অস্তিত্ব নেই, যা আছে তা তোমার-আমার আত্মার গুহায় বরাদ্দ অস্পর্শী অনুভবের অনুভূতি; যার কোন বয়স নেই।