গ’লে যাচ্ছে চোখ দ্যাখো চাঁদের মতন!
চোখেরও কলংক আছে?
ভাঙতে চায় তমিস্রার ঘোর?
আমার কোনো চরকা নেই,
তবু থাকি জ্বলজ্বলে মৌনতায়৷
ও মায়াপরী, ও বিষাদদেবী,
উড়িয়া উড়িয়া এতটা ছড়াও কেন তৃষ্ণার মোহ?
সূর্যের তেজ গায়ে মেখে
কৃষ্ণচূড়ার লাল লাল দেমাগ
আমায় রক্তস্নাত করে৷
তুমুল মাতাল করে৷
এ কেমন বিষাদপ্রবণ প্রেম!
সম্ভাবনার স্রোত ভেসে ভেসে
চলে যায় সুদূর অজানায়…
অথচ সময়ের গলুইয়ে দ্যাখো
পা ঝুলিয়ে বসে আছি নাবিক,
আজলা ভ’রে তুলে নিতে
আশ্চর্য জোনাকী!
অন্ধকারের বাঁশি হাতে
স্ব-জেদে অরফিয়ূস
কালো কালো রাতে করে চলি
প্রগাঢ় লালের তর্জমা৷
গ’লে যাচ্ছে চোখের তারা
রটে যাচ্ছে বিরহের নান্দীপাঠ,
তার সাথে ঝরে ঝরে পড়ছে
প্রিয়তর নক্ষত্রপুঞ্জের বেদনা…
আজ রাতে ঘাসফুলে র’বো…
আনন্দে যাবো…
আজ আমার দ্রোহপ্রবণ প্রেম!
লাল আগুন মিশিয়ে দেবো
তৃষ্ণার জলে৷
কৃষ্ণচূড়ারা জেগে থাকুক
পরবর্তী অষ্টপ্রহর…
আমি কিন্তু প্রেমঘুম ভেঙে
ঠিকই জেগে উঠবো বনমোরগের আগে,
চোখ থেকে চোখে পৌঁছে যাবো
সোনালী ঝিলিক…
প্রেমিকের দিব্যিগুলো ঝুলে রইবে
কৃষ্ণচূড়ার লালে,
আর আমি তুমুল বিদ্রূপে
কসাইয়ের আঙ্গুলে ছোপ ছোপ
লেগে থাকবো লাল মোরগফুল!