শফিকুল ইসলাম সোহাগের কবিতা
তুমি ঘরে ফিরো অহংকার
দেহের চামড়া খসে যাবে পুড়ে ছারখার হবে হাড়
কোলাহল থেমে গিয়ে কেঁপে উঠবে বুকের ভূ-তল
ছায়ারুপ ঝলমল করবে উল্লাসের আপন খেলায়
তুমি দৌড়ে আসো- অজস্র মুক্তিময় আলোর বাঁকে
পর্দা সরিয়ে খুলো রহস্যের ভেদ ডুবো অতলের ঘেরে
চেপে রাখা কষ্ট নিয়ে কণ্ঠে তুফান তুলো মনের জ্বালে
যেখানে সভ্যতার অগ্নিতে মিশে আছে বিষের বাথান
বিধ্বস্ত অন্ধকারে নিহত হয়েছে আগামীকালের সুখ
অবিরত সৌখিন বল্লম হয়ে তুমি খুলো রুহানি বোতাম
কুমতলব জারজদের করতল করে তুমি সিন্ধু খুঁজো
কৌতুহল নগরীর দেয়ালে লাগাও লাল কালির পোষ্টার
অবশিষ্ট জনঅরণ্যের এই সবুজ মাঠ তুমি প্রদক্ষিণ করো
নের্তৃত্বের ন্যার্য পাওনা নিয়ে তুমি ঘরে ফিরো অহংকার
নিরাপদ পদক্ষেপের মহাসড়কে গড়ো সুখের মোকাম
অজস্র কণ্ঠে গেয়ে ওঠো আজ সুনিশ্চিত বিজয়ের গান
এ বুকে বীভৎসের দাগ
নিজস্ব দেয়ালের পাশে ওতপেতে থাকা নগ্নক
অধিকারের উপর দিচ্ছে বুলেটের জোগান
আমাদের ব্যাবহার করে লাভের হিসেব কষে ওপাশের লোক।
নিয়ে যাও সখী আর কি আছে দেবার।
পর্দার আড়ালের হিসেব চাহিদায় রেখো
তবুও নতজানু থাকুক মস্তিষ্কের অনুর্বর ভূ-খণ্ড ।
অপপাঠের মঞ্চানুষ্ঠানে আজ বেহাল খড়গ
ষোল কোটি মানুষের বুকে বীভৎসের দাগ
মৃতপ্রায় চেতনার বাঁকে
আজ নাগরিক বলয় ভেঙে গেছে
সরে গেছে মানসিক প্রবৃদ্ধির যথার্থ অর্জন
পক্ষপাত শব্দগুলোই জিইয়ে আছে শুধু
চোখ খুললেই দেখি আগুনের ভীষণ ধোঁয়া
শিরশ্ছেদের এক অনুভূতি যেন আজ জখম আক্রোশের গণিত,
অদক্ষের বাহুবন্ধনের মগডালে বসা কালের পুতুল
স্বদেশ পুড়ছে মিছামিছি কল্যাণের কৌতুক খেলায়।
বেরসিক কর্মের ঘোলাপানি আজ চুমুক সাঁতার
নাজেহালের দেশে কুঁকড়ে খায় অবরুদ্ধ বর্ণদের
চারদিক সয়লাব হয়ে গেছে বিষাক্ত কথাদের দুষণ
আগুনের ভেতর পুড়ছে শাসকের কৌশলিক বন
জনরোষি ঘাড়ত্যাড়া প্রভু কষে ভুলের মানসাঙ্ক
মাথাচাড়া ক্ষমতার বহুবিধ তোষণে কুকুর বিলাস
পালাবদলের জনতন্ত্র আজ ধূম্রজালের ব্যারিকেড
বিশ্বাস উঠে গেছে ব্যার্থ অযোগ্যের পাহাড় চাপায়
===================