উৎপল দাসের কবিতা
অনির্ণেয়
কখনও আকাশের মতো হয়ে যাওয়ার স্বভাব
যার বিপরীত খুঁজে পাই না, খুঁজে নাও সমার্থক ইচ্ছে
সে অর্থে দূরত্ব-চাহিদাগুলো বরফ হয়ে যায়
তুমি জানো কখন, কোথায় গলতে হয়
আঁচ বাড়িয়ে কমিয়ে পাকা-পোক্ত রাঁধুনির থেকেও
নিপুণ হাতে সহানুভূতি অথবা প্রত্যাখ্যান সামলে নাও
তোমার সকল শিল্পকর্ম ও কারুকার্য পুরুষ্টু হতে হতে
জীবিত হয়ে যায় অনির্দিষ্ট সবুজে
পার্থক্য
দৃশ্যত কোনো যাওয়া-আসা নেই
এই ঘর থেকে ওই ঘরে স্থানান্তর-মাত্র
যেন সুখ-দুঃখগুলো ট্রান্সপারেন্ট
সেসব ক্রমেই পাখি হয়ে ওঠে
ডানা ঝাপটায় অথচ ঝড় থামে না
বাতাসে বাতাসে অঘোর নির্মমতা, তবে
ঘর ও বাইরের মাঝে কোনো দ্বন্দ্ব নেই
নেই কোনও জানালা ও দরজা
চৌকাঠ আদতে উন্মুক্ত আগন্তুকের জন্য
বোধশূন্য
যেইখানে মাথা রেখে বুজেছি চোখ
শোক কি হয় এই শরীর চলে গেলে?
ভেসে ওঠে ধোঁয়া ধোঁয়া প্রার্থনা সংগীতের মতো
মরা রোদ, হেঁসেল, স্নেহময়ী কোল—
এতদূর অবধি চুপ, কোনো সান্ত্বনা জানাবে না আর
মহান পরিতৃপ্তির দিকে ভিজতে ভিজতে উন্মুক্ত ছাতা,
অন্যকারো বুক ও যাবতীয় মশকরা, বর্ষা তোমাকে
শীত, গ্রীষ্ম হতে আলাদা আলাদা করে চিনতে শেখায়
অথচ তুমি জানো না
প্রত্যেক জিজ্ঞাসা চিহ্নের গায়ে
জমেছে মৃত্যু-রঙের মরিচা
***************************