তিনটি অনূদিত কবিতা
খায়রুল আলম চৌধুরী
মুখোমুখি
চেজলো মিলোজ
নিশিভোরে বরফঢাকা মাঠের ভিতর দিয়ে
যাচ্ছিলাম আমরা একটা ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে।
অন্ধকারে লাল ডানাঅলা একটা গোলাপ।
একটা খরগোশ দৌড়ে গেল রাস্তার ওপর দিয়ে।
আমাদের মধ্যে একজন হাত তুলে সেদিকে দেখালো।
সেটা অনেক বছর আগের কথা।
তাদের কেউ আজ আর বেঁচে নেই,
খরগোশ কিংবা হাত তুলে দেখানো লোকটি।
হে, ভালোবাসা, তারা কোথায়, কোথায় যাচ্ছে তারা—
একটা হাতের ঝটিতি, একটা চকিত চলন,
নুড়ি পাথরের মর্মর?
এসব আমি জানতে চাই দুঃখে নয়, বিস্ময় থেকে।
Encounter CZESLAW MILOSZ
ধন্যবাদ
রস গে
শিশিরভেজা ঘাসে খালি পা আর খালি গায়
হাঁটতে হাঁটতে যদি কখনো শুনতে পাও
ধরণীর গম্ভীর গমগমে শব্দ, বলছে তোমাকে
প্রাচীন অতীত থেকে ভেসে আসা হাওয়া তুমি, বলছে—
যা কিছু ভালোবাসো, ধূলো হবে সব একদিন,
তুমিও মিশে যাবে ধূলোয়, তখন দুঃখ কোরো না,
চিৎকার কোরো না, পালিয়ো না নিজের কাছ থেকে।
বরং শক্ত করো পায়ের আঙুল ঘাসের ভেতর,
দেখো তোমার ঠোঁট বেয়ে ওপরে উঠে যাচ্ছে মেঘ,
হাঁটো বাগানে ঘুমিয়ে থাকা ঐশ্বর্যের ভেতর।
বলো, ধন্যবাদ, শুধু ধন্যবাদ।
Thank You ROS GAY
কিছু কবিতা আছে
লিন্ডা পাস্তান
কিছু কবিতা আছে যা লেখা হয় না কখনো,
নিঝুম দুপুরে আকাশের গায়ে লেখার মত
ঘুরপাক খায় মাথার ভিতরে:
প্রথম শব্দটা ধীরে ধীরে উড়ে যায় পশ্চিম দিকে,
শেষ অক্ষরটা গলে যায় জিহ্বায়,
শুধু থেকে যায় অন্তরে দেখা মেঘহীন নিখাদ নীল।
There are Poems LINDA PASTAN
=================