You are currently viewing সুবাইতা প্রিয়তির কবিতা

সুবাইতা প্রিয়তির কবিতা

সুবাইতা প্রিয়তির কবিতা

 

বিশ্বায়নের স্তুপে

 

হায় লেনিন!মানচিত্রে তো খার্তুম খসে গেছে-
রুদ্র কঠিন রোশনাই ফের গিলছে – টপাটপ,
যেন মহাদেশগুলো ভারী মুখরোচক।
ফের,
জটাধারীরা ভাগীরথীর পাড়ে,
আবিসিনিয়ানরা সিন্ধুর পাড়ে,
ভাস্করেরা সীন তীরে-সভ্যতার কাঙাল
হয়ে ফিরছে না
“আর একবার জন্ম দিও প্রভু,নবীন করে।”
হায় লেনিন!তুমি এখনো ছন্দবৃত্তে সনেটের
হারানো শব্দটি খুঁজে ফিরছো!
এদিকে ধ্বংসলোকে, সব ভস্মের
মাঝে,পরশপাখিটি খুঁজছে।
কোথায় সে আছে?কোথাও সে আছে?

 

নতুন বাসা

 

আঠাশ দিনের পুরানো ঠিকানা ছেড়ে
যদিও নতুন বাসা নেওয়া –
আর তাও যদি বয়কট করে এখন আমাকে –
তৎক্ষণাৎ শিকড়হীনে পরিণত হবো।

যেমন আমার মৃত প্রেমিক, মরবার
আগে রাত দু’টা থেকে চার’টা অব্দি কোথায়
ছিল, তার হদিস কোনো সি. সি.-ই দিতে পারেনি।

যেমন বড়শি গেঁথে মৎস্য সমাজ থেকে টুপ করে

একটা মাছ তুলে নেওয়া হয়।

বা ঈসাকে যেভাবে উর্ধ্বাকাশে তুলে নেওয়া হয়েছিল।

দুটো ঘন্টা, একটি মাছ ও একজন পয়গাম্বার –

সুতো কেটে যাওয়ার এই অ্যাক্রেলিক পেইন্টিং- য়ে

আমি যোগ দিলেও টিকিটি মিলবে না।

 

গ্রথ জ্যোৎস্নার পাখি

 

কাপ জ্যোৎস্নার প্রেতপুরীর উপনিবেশে
-মার্ক্সের ঠোঁটে চুপআঙুল।ময়ূরবতীর
সন্ন্যাসী দিন -ঐ আলোতেই যা!
হায় ময়ূরবতী!
বাসি সকাল নিয়ে অনুযোগ,
‘পাখিটাকে আর ধরা গেল না!’ যেমন:
যে তোমারে ভোরে ঘরে রেখে যাই-
পরে সেই তুমিটারেই কি আর বিকেল নাগাদ পাই!
রাতে এক কাপ জ্যোৎস্নায়-
বিরতিহীন অমিল-ফুরোবার অবকাশ-
অবশেষে আর যদি দল পাল্টায়
– গ্রথিতের কী হবে?