মোহাম্মদ জসিম’র কবিতা
Fire in the RAIN
(অপ)মৃত্যুগুলো পরজন্মের গাছ, পূর্বজন্মে পাল্কিবাহক ছিলো তারা। পাখিরা বাঁচবে ঠোঁটের রোজগারে। আয়ুবর্ধক স্বপ্নের সামনে (অ)ভিন্ন তিনটি ঋতু সাজিয়ে রেখে আমরা একসাথে ফুল ফোটাতে চললাম…
পা ফেলার ভঙ্গি আর নাচ—
ঋতুসমগ্র
|শীত
|হিম
|ঝিম
তোমার নাম ইশারা; আমি অলুক তৎপুরুষ—পাতাঝরা থামাতে পারছো না তাই, আগুনের প্রসঙ্গ এনে শিশিরকে উস্কানি দিচ্ছো—ঝরোওওওও…
ভিজছো/ভিজছো না…
নদী মূলত চিৎশোয়া গান; দেখতে এসেছি বৃষ্টি ও অগ্নির দ্বৈরথ। (এখানে অনেকটা প্রেমের সাথে ট্রেনের হুইশেল মাখামাখি)! পোড়া/না পোড়া পুরোটাই ব্যক্তিগত।
|সীতা| |অগ্নিপরীক্ষার আগে আরেকটু বসে গেলে হত…
রিবার্থঃ আ ন্যুডিস্ট বুককাভার
বৃত্ত;—অথচ পুরোটা বৃত্তাকার নয় এমন ১+১টি বেলুন ঝুলতে দেখে নিজেকে জন্মদিন ভাবতে হলো। বুক তার জন্মদিনের কেক… মো-ওম আনো, সাঝবাতি জ্বেলে দেই…
|সাঝবাতি |আলোকিত সুচিকিৎসা
|মোম |প্রাণ দেবে আগুনের প্রেমে
|বেলুন |কায়াটি গোলগাল—ভেতরে হৃদয় নেই
আপেলগন স্ব স্ব শরীরের জ্যামিতিক বিন্যাস খুলে দুই বুত্তকে (দুর্বৃত্তকে নয়) যুক্ত করছে খাম ও খেয়ালে। সন্ধিরা বিচ্ছেদ মানেনি তাই, (বাক্+দত্তা=বাগদত্তা) ইত্যাকার আড়ম্বর চুয়ে নামছে দিনের শরীরে…
স্বরস্বতী—যে দেবী স্বরচিত এবং সতী তার তলপেটে ঘুঙুরের বাদ্য আর মাখামাখি নাচুনে। এই+সেই আর যেই সেই বিজ্ঞাপন নয়, এখানে বিজ্ঞাপিত হচ্ছে কবিতার জন্মসুখ….
|মন |বুকের ঘরে আঁকছি দ্রোহের বিজ্ঞাপন।