শুভ্র সরকারের কবিতা প্রাচীন পুঁথির শ্লোক কিছু মানুষ পুরনো পরিত্যক্ত বাড়ির মতো। কী রঙ ছিল, বোঝা যায় না। হাওয়ার গলাব্যথা পেরিয়ে, শুধু কাতরাতে থাকে ভাঙাচোরা জানালাগুলো। পরিচিতর মতো পাশে দাঁড়ালে নিচু স্বরে বলে—করুণা করো, ভালোবেসো না। **************************
প্রত্যাবর্তন মৃত মানুষের হাতেও ছড়িয়ে আছে আয়ুরেখাতুমি সেই পথ ধরে ফিরে আসো ফিরে আসোযেখানে বাড়ির দরজা জানে নানিজেকে খুলে দিলে কেউ কেউ ঠিকানা হয়ে যায়ঢেউ জানে না, ভেঙে যাবে জেনেও কেনও সে ফিরে যায় নদীতীর!ভাঙা পাড়, মাতৃস্তনে শিশুর নখের আঁচড় বুকে নিয়েশুধু জানে— তোমার ফিরে আসা, প্রিয় অন্ধ লোকটার রঙ না জেনেকুড়িয়ে নে’য়া ফুল **************************
ব্রেস্ট ক্যান্সার
বাঙলা কবিতা, মৃত যুবকের হাতের মুঠোয় ধ’রে রাখা বাজারের ফর্দ। তাতে লেখা আছে—স্তন থেকেই পৃথিবীর সৃষ্টি। লেখা আছে—আজ বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হলে নীলুফার ইয়াসমিনকে মনে পড়ে। মনে পড়ে বিষণ্ণ একটা স্তনে ভিজে যাচ্ছে হাতের তালু। মনে পড়ে উড়তে থাকা প্রতিটা পাখি, প্রেমিকার ছুঁড়ে দে’য়া ব্রেসিয়ার। বাম রাজনীতি করা নীলুফার ডাক্তারকে বলেছিলেন—আকাশ মূলত ব্লাউজের বোতাম খুলে দাঁড়ানো কোনও নারীর বুক, চাঁদ উঠুক বা না উঠুক।
বৃষ্টি হচ্ছে না, তবু নীলুফার ইয়াসমিনকে মনে পড়ছে! হয়তো কোথাও ব্লাউজের বোতাম খুলে আকাশের দিকে, কেউ ঠেলে দিচ্ছে আধখানা চাঁদ।
******************************