শুভদীপ দত্ত প্রামানিকের গুচ্ছ কবিতা
যোগ-বিয়োগ আমি জানি নরম আলোর অপেক্ষা করে রাতদেবীনিজেকে টুকরো করতে করতে নাদগর্ভে শুনি মহাকাশের মন্ত্রপাঠ আমার বামে অসুর ডানে দেবতাদের আড্ডামধ্যে ব্রহ্মা মনে করিয়ে দেয় যোগ-বিয়োগের যাদুবল । চকোলেট রঙের মেয়েরা রবি ঠাকুরের গান করে উপাসনা মন্দিরে , বিবেকে সমুদ্র জ্বর ! ক্রমশ দেখছি শব্দ শাণিত অন্ধকার অন্ধকারকে চিনি পূর্ণ পাখিরা গান করে রতি নির্ভারেরাতদেবী স্নানের সাথে সাথে শরীর থেকে ধুয়ে ফেলছেন বিপুল পরিমাণ ঘৃণা ! মায়া আঁকড়ে স্থলরাশি । হ্যাঁ এবার মোমবাতি জ্বালাব আয়নার সামনে । পূর্ণচ্ছেদ পাতালের দরজায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি টানাপোড়েনের পূর্ণচ্ছেদ । আকাশ কোনদিকে , উফ ! এমন মাথা ধরলো কেন ? পুড়ে যাচ্ছে যৌবন – শিশ্নপিঠে প্রজাপতি পুড়ছে হে সুন্দর তুমিও ! কৃপা করুন পিতা , কৃপা করুন বাউলআমি এই অন্ধকার থেকেই খুঁজে নিতে চাই মিথ্যাকে সুপথে ফিরিয়ে আনার পথ । খিদে পেয়েছে কোথায় চাবি ? বিস্ময়রেখা হরিণের মতো চেয়ে দেখে নভোমণ্ডল । আমি এখনও পুড়ছি , দমকা আয়ু জ্বলে ওঠে সরীসৃপের ফণায় । ময়ূর রাজ্য বর্ষায় মেখে নি অয়ি নারী ছায়ানমঃ শস্যমহাকালকে আমি দেখেছি সে আমার মতো কবিতা লিখতে ভালোবাসে । কেন প্রেতকে দেখলে ভয় হয় ? ঐ ভয় দুর্বলতা । আমি ময়ূরের রাজ্যে গুঁড়ো করি তন্ত্র উপাচারএই দিকেই আসছেন বৈদিক গুরু । ঘন্টা বাজে ঘন্টা — অশ্বত্থের ছায়াতে বৈধ আয়ু । জিহ্বায় আয়ুপ্রবণতায় তথাগত জাগে কামভিক্ষার থালা হারিয়ে গেছে প্রণতি ঘোষের ঢেউয়ে। পরিচিতি : শুভদীপ দত্ত প্রামানিকের জন্ম ১৯ মে ১৯৯৪-এ , বীরভূমের কীর্ণাহার গ্রামে । স্কুল জীবন থেকেই কবিতা লেখা শুরু । কীর্ণাহার শিবচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। বর্তমানে বাংলা অর্নাসের ছাত্র শুভদীপ বেশ কিছু পত্রিকা ও ই-ম্যাগে এবং ব্লগে কবিতা লেখালেখি করছেন ।