কবিতাগুচ্ছ / হুমায়ুন রেজা

কবিতাগুচ্ছ হুমায়ুন রেজা   চিঠি   ঠিকানা লিখেছ পাখিদের ডাকনামে   পোস্টম্যান তাকে চেনে?   পথের ঠিকুজি খুঁজে পাবে তুমি জানো?   তুমি চেন তাকে? তবে?   চিঠি যে পাঠালে…

Continue Readingকবিতাগুচ্ছ / হুমায়ুন রেজা

তিনটি কবিতা/ হাসান রনি

তিনটি কবিতা হাসান রনি   বিনির্মাণ   মাড়াই শেষে খুরের ফাঁক দিয়ে ধেয়ে আসা ত্রিকোণ আলো বিনির্মাণ করো আমায় খড়ের মতো আর ফেলে রাখো গোয়াল ঘরের পেছনে আমার জন্য অপেক্ষায়…

Continue Readingতিনটি কবিতা/ হাসান রনি

গুচ্ছ কবিতা / সারাজাত সৌম

গুচ্ছ কবিতা সারাজাত সৌম   ইশারা   তোমাকে খু্ঁজতে খুঁজতে— মরার সামনে এসে দাঁড়িয়েছি।   যেন আল্লাহর অঙ্গুলিতে— ফুটে উঠা পাথর!   ভাবছি, ছুঁয়ে দেখি— ওইসব পাথরের শরীর।   কী…

Continue Readingগুচ্ছ কবিতা / সারাজাত সৌম

একগুচ্ছ কবিতা/ সুলতান মাহমুদ রতন

  একগুচ্ছ কবিতা সুলতান মাহমুদ রতন   আমারে নিলো না কেউ   বাওরি বাতাসে নিলো শিরিষের ফুল মেঘে নিলো জলের আধার জল বেয়ে চলে গেল ধীমান জলজ প্রজাপতি ফুল ছেড়ে…

Continue Readingএকগুচ্ছ কবিতা/ সুলতান মাহমুদ রতন

কবিতাগুচ্ছ / সোমেশ্বর অলি

  কবিতাগুচ্ছ সোমেশ্বর অলি উন্নয়নতা উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে যেতে যেতে, ‘ভিক্ষুক ও কুকুরমুক্ত এলাকা’য় ঢুকে পড়েছি; সারি সারি পরিপাটি বসার আসন, পরিশীলিত সবুজসমারোহ, মিহিবাতাস— কোথাও একটি বেকার যুবকের দেখা নেই;…

Continue Readingকবিতাগুচ্ছ / সোমেশ্বর অলি

গুচ্ছ কবিতা / সোহেল আরমান 

   গুচ্ছ কবিতা সোহেল আরমান    ঘর   হাজারো ঘর না থাকা লোকদের ভীড়ে আমার একটা ঘর ছিলো। ঘরের বই টেবিল বিছানা আলমারি আসবাবপত্র বলতে ছিলো শুধু মা। . যে…

Continue Readingগুচ্ছ কবিতা / সোহেল আরমান 

তিনটি কবিতা / শোয়াইব শাহরিয়ার 

    তিনটি কবিতা শোয়াইব শাহরিয়ার    ছায়া   এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ছায়া সরে যাচ্ছে। আমিও যাচ্ছি ঐ ছায়ার পেছনে৷ ছায়া স্থির। আমিও স্থির। ছায়া সরে যায় ফের।…

Continue Readingতিনটি কবিতা / শোয়াইব শাহরিয়ার 

কবিতাগুচ্ছ / শিমুল সালাহ্উদ্দিন

কবিতাগুচ্ছ শিমুল সালাহ্উদ্দিন   দৃশ্যের ভেতরে এটাই সেইখানটা। এবং আমরা সেখানে। এরই ভেতরে। হাঁটছি। কথা বলছি। ধরে আছি হাতে হাত। এখানেই সেখানটা, যেখানে সবসময় আসছে চেয়েছো তুমি। এই সোনারঙছটা প্রলেপমাখানো গাছের পাতারা যেনো প্রেমপোস্টকার্ড, উড়ছে তোমার দিকে... জলপ্রপাত ঝরে চলেছে তার পাশে, সন্দেহ বুকে নেই এমন বিরল আশ্চর্য হরিণেরা চড়ে বেড়াচ্ছে ইতস্তত, জানলা থেকে দেখা দৃশ্যের মতো, শ্লথগতিতে চলা অনেক জানলাওয়ালা যানের একটা জানালা থেকে, ভালো রেজ্যুলেশনের একটা ক্যামেরার পিনহোল থেকে দেখা দৃশ্যের মধ্যেই হাঁটছি আমরা, বলছি নিজেদেরকে, শান্তধীর উচ্চারে, 'এই হচ্ছি আমরা, এখানেই অস্তিত্বমান, এবং আমাদের গলার আওয়াজ এমন, যেনো আমরা জানালার অনেক অনেক পেছনে অথবা জানালার ভেতরে... আমরা জড়িয়ে ধরছি নিজেদের গভীর ভালোবাসায় আর দেখছি অসন্দিগ্ধ হরিণ ছুটে যাচ্ছে তার মায়াবী চোখজোড়া নিয়ে সেই মুহূর্তে। ক্যামেরার নিকষ পিনহোলের ভেতর দিয়ে, বাইনোকুলারের যুগল অন্ধসুড়ঙ্গ পাড় হওয়া মানবিক চক্ষুযুগল দিয়ে দেখছি যে আমরা পুরোপুরি বন্য, আর উদ্বিগ্ন সেইসব দৃশ্য ও চকচকে নিয়তিনির্ভরতা নিয়ে নিরবতা এলো— প্রকৃতি আর তাদের নিঃশঙ্ক অবয়বের অস্তিত্বের কাছে, দেখছিনা হয়তো, আবার যেনো দেখছি পেছন ফিরে, যেনো মনে হচ্ছে, দূর আমাদের কাছ থেকে অনিমেষনেত্র আন্তরিকতা চেয়ে ফিরে যাচ্ছে সবুজে, সবুজ এবং নির্বিবাদী সোনালী দেহের গাছে... একটি দৃশ্য এভাবে অন্ধ করে দিতে পারে!   বন্ধু আমায় নিয়ে কী হাসিটাই না হেসেছে বন্ধুরা হাসতে হাসতে ঢলে পড়েছে একে অন্যের কাঁধে ক্লাউনের মতো ব্যাকস্টেজে গিয়ে কেঁদে রাঙতা মেখে ফিরে এসেছি সার্কাসে সার্কাসে আজকে হঠাৎ বন্ধুরা সব হাসির বদলে হা এমন হা যে তাদের মুখে দেখা যায় আলজিহ্বা হয়তো ওদের চমকেও গেছে নিত্যানন্দ প্লিহা সত্যি সত্যি মাথা আমার থেঁতলে গেছে ফ্লোরে   সন্ধ্যার বাদামওয়ালা পাহাড়চূড়া থেকে বসতি ভাসানো জলে একা একা…

Continue Readingকবিতাগুচ্ছ / শিমুল সালাহ্উদ্দিন

শাহেদ কায়েস-এর তিনটি কবিতা

শাহেদ কায়েস-এর তিনটি কবিতা   প্রতিধ্বনি  গভীরে খুরের আওয়াজ, হ্রেষাধ্বনি, তারপর শুধু গতি আর গতি... দিগভ্রান্ত পথ, পায়ে পায়ে হাওয়ার রাজ্য যেভাবে একটি জীবন নিভৃতে শাসিত, কুঠারে সবুজেরা... ' বৃক্ষ বেজে ওঠে যার আঘাতে আঘাতে, সে কি প্রতিধ্বনি! ' প্রাচ্যের রহস্য নগরী, ইটের লবণ বিলাস― দোল পূর্ণিমার রাত জোড়বাংলা স্থাপত্যের তীব্র হাস্নাহেনা, সংস্কারে রেখেছ হাত! দুলে ওঠে তোমার প্রাচীন বন, মন্দিরে কি থাকে তখন? হ্রেষাধ্বনি, গতি, এক ঝলক হাওয়া― অজন্তা-ইলোরা, আহা নক্ষত্র-জোনাকপোকা-শস্যঢেউ, ফাল্গুনের মাতোয়ারা চাঁদ!  ভাষা দে, প্রভু  মদ্যপসারিণী যুবতীরা অরণ্য জোড়ায় “আয় বাবু, আয় বাবু…” পাশেই মহুয়া ছড়ানো-ছিটানো ছোলাসেদ্ধ, হাঁড়িয়ার জালা... ভাত নেই, ঘর নেই, স্বপ্ন নেই কোটি মানুষের মুখ আছে, ভাষা নেই; এরা কথা শিখেছে পাহাড়, প্রকৃতি― নদী-ফুল-পাখি, বসন্তের মাদল, ঝর্নার জল, প্রাচীন ছিলা ও ধনুকের সংলাপ ঝর্নার পতন, ডুংরি, টিলা, চষা মাঠ... স্বপ্নভুক দিগন্ত, জঙ্গল, অন্ধকার থেকে। কঠিন মাটির তলে ইউরেনিয়াম, তামা― অফুরন্ত অভ্র, সোনা, লোহাপাথর― মাটির…

Continue Readingশাহেদ কায়েস-এর তিনটি কবিতা

গুচ্ছ কবিতা / শামশেত তাবরেজী

গুচ্ছ কবিতা শামশেত তাবরেজী   তনুস্মৃতি  নিজে নিজে ঝরে গেলে আমার কি করা? আর যদি রুলিটা পড়েই থাকে কানাচে তারপরও কথা হচ্ছে ছায়া সরে গেছে ব্যারাকের দিকে।   আমি তনুর…

Continue Readingগুচ্ছ কবিতা / শামশেত তাবরেজী