তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী
পরিভ্রমণ
(০১)
দুর্বোধ্য মহাকাল কেমন অবলীলায়
শুয়ে আছে দেখ স্বেচ্ছাবন্দী অক্ষর আকরে !
অক্ষরগুলো সরব হলে শব্দ ভেলায়
যত্রতত্র যাওয়া যায় এমনকি খ্রিষ্টপূর্ব ২২৮৫
‘ এনহেদুয়ান্না’র কবিতার মেসোপোটোমিয়া।
(০২)
ঘর হতে বেরুলেই পেরুতে হয় সাঁকো,
একটিমাত্র পথ বিকল্প যে নেই !
অনেক সাঁকো পেরিয়েছি আগে, এমন দেখিনি।
বুকের বোতাম খুলে গেলে বিস্ময়ের দিগন্ত,
হেঁটে হেঁটে গেলেও মিলে না প্রান্ত ।
তোমাকে খুঁজি
তোমাকে খুঁজি অসীম আকাশ নীলে,
খুঁজি অথৈ সাগর জলে,
পরিযায়ী হয়ে খুঁজি দিগন্ত পথে,
তুমি শুধু মরু কাফেলার বেদুইন মরীচিকা,
হৃৎপিণ্ডে বসে ধমণীতে নাচো।
শরীর কি কেবল তোমারই আছে ?
তবে কেন নূপুর ধ্বনি দেহবল্লরীয়
জাগিয়ে পুনঃ শূন্যে মিশ স্বছায়ায় !
আর ধূপকাঠি হয়ে পোড়াও
বিষাদ বিপন্ন প্রণয়ের অনল।
আকাঙ্ক্ষার প্রজাপতি চিঠি আজও ওড়ে
ফুলে ফুলে নর্তকী বাতাসে,
ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে অন্তর্বাসের ঘ্রাণ
পুলকিত শিহরণে আধখোলা বুকে
নীল মাছির মতো নূপুর পরে নাচে।
তুমিহীন সবখানে শূন্যগর্ভ শূন্যতা,
এ কোন্ পিপাসা সম্ভোগে আমি
পুড়ে পুড়ে ফিনিক্স হয়ে জাগি,
আর লখিন্দরের ভাসমান ভেলায়
ছায়া অন্ধকারে খুঁজি ছায়ার প্রতিকৃতি।
===================