You are currently viewing তিনটি কবিতা > অন্তউড়ি মেঘদূত

তিনটি কবিতা > অন্তউড়ি মেঘদূত

অংকনে অন্তউড়ি মেঘদূত

 

তিনটি কবিতা

অন্তউড়ি মেঘদূত

 

সমুদ্র

 

কখনো কোন বিশাল সমুদ্র দিয়ে যাত্রা করেছো?

যেখানে দেখার মত দীপ নেই সবকিছু নাগালের বাইরে, স্বপ্ন এবং রহস্যে যেন সেই সিন্ধু ভরা এবং একটি অন্তহীন বিশ্বাস।

 

কখনো কি অনুভব করেছো?

কেউ কখনো তোমাকে বিশ্বাস করাবে না যে,

তোমার সত্তা তোমার অধিকারের জন্য কঠিন লড়াই করে যাচ্ছে?

কখনো এমন সমুদ্র পাড়ি দিয়েছো?

যে অর্ণবের গভীরে তোমার হৃদয়ের স্থাপনা?

যেখান থেকে ভালবাসার শুরু,

এ যেন এক নীরব ফিসফিস মিথ্যা।

একটি ভালোবাসার সমুদ্র, একটি স্বপ্নের সমুদ্র।

যেখানে তুমি খুঁজে পেতে পারো সান্ত্বনা ও মুক্তির সত্য।

যদিও বা তুমি স্বপ্ন না দেখো, তবুও দুঃখ বাস করে ভালোবাসার অস্তিত্ব হিসেবে।

সম্প্রীতি,আনন্দ এবং বিস্ময়ের ফল,

ঠিক যেন নিচে শুয়ে থাকা মুক্তার মত

বীজ ছাড়া নিচে কবর দেওয়ার মত।

তারা যেন ভালোবাসার সাগরকে নমস্কার জানায়।

প্রেমের সাগর এক বিস্ময়ের জায়গা যেখানে,

সত্য ভালোবাসা খুঁজে পাওয়া যায়।

 

মোমবাতি

 

আমি শান্তি হারানোকে ভালোবাসি

তাৎক্ষণিক অন্ধকারে সেই ঝলকানি, পুঙ্খানুপুঙ্খ বাড়ি এবং আমাদের মোমবাতির প্রতিধ্বনি।

সবাই কাছ থেকে জেগে ওঠে যখন আমরা রান্নাঘরের টেবিলে আমাদের পথ অনুভব করি

যেখানে ধুলোবালিরা কার্ডের ব্যবসা করে।

 

প্রথমবারের বউচি খেলা তোমার সাথে।

আমাদের পরিবার হৃদয় এবং ক্লাবগুলো

একে অপরকে উষ্ণ করে, কথায়।

 

আশ্চর্য করে পুরনো দিনগুলো এবং কল্পনা প্রশ্ন তোলে, দিনগুলি স্থায়ী হবে কতদিন?

একবার সেই দুর্বলতার জন্য শান্তি হারিয়ে ফেললে চলে যাবে ঘন্টা বা দিনের জন্য।

 

আমি সেই উষ্ণতায় কৃতজ্ঞ

আমি কৃতজ্ঞ ঘরে সেই আলো পেয়ে।

 

             অংকনে অন্তউড়ি মেঘদূত

 

তটিনী

 

সে বলে, সমুদ্রে প্রবেশের আগে একটি নদী 

থরথর করে কাঁপছিল।

সে পাহাড়ের চূড়া থেকে যে পথে ভ্রমণ করেছে,

তার দিকে ফিরে তাকায় বন এবং গ্রাম পেরিয়ে দীর্ঘ ঘোরানো রাস্তা।

তার সামনে এক বিশাল সমুদ্র।

সমুদ্রকে দেখে সে ভাবে, সে যদি প্রবেশ করতে পারে চিরতরে, তার অদৃশ্য হওয়া ছাড়া এ যেন কিছুই না।

অন্য কোন উপায় নেই।

নদী আর ফিরে যেতে পারে না

কেউই কখনো ফিরে যেতে পারে না।

ফিরে যাওয়া যেন অস্তিত্বে অসম্ভব।

সেই শৈবলিনীকে সমুদ্রে প্রবেশের ঝুঁকি নিতেই হবে, তবেই তার শঙ্কা দূর হবে।

কারণ, তখনই তটিনী জানবে, সে সমুদ্রে বিলীন হবে না বরং সমুদ্রে পরিণত হবে।।

 

অন্তউড়ি মেঘদূত

লেখে। আঁকে। ভাবে। দশম শ্রেণীতে পড়ে।