গুচ্ছকবিতা> শেখ নুর হোসেন
বক্ররেখা
ঈশ্বর কাঠি লজেন্স চুষছে আর দেখছে—
উপপাদ্য জীবন,
রংধনুর সাত রংয়ের টানাপোড়েন।
হেঁটে যাচ্ছি— বক্ররেখার ‘এ’ থেকে ‘বি’ প্রান্তে।
সুখগুলো অনাবৃত
অশোভন উক্তিতে ভেসে যায় নগর;
তবুও ছুটে যায় শালিকের মতো,
বেঁচে থাকার নেশা,আহার্যের আকাঙ্ক্ষা।
উত্তপ্ত রোদে পুড়ে যায় শরীর,
বৃষ্টিতে স্যাঁত-স্যাঁতে,
অসময়ে ঝরে পড়ে কপোত পালক।
কারো কারো বোধে জল পট্টি।
চোলাই মদে নেশা হলে—
ঈশ্বর লুকান দেবদারুর আড়ালে।
দেবালয় ছেড়ে লোকালয়ে কেনো আসেন না?
ঈশ্বর আমি আপনাকে ক্ষমা করবো না।
অক্ষমতার সুর
মাংস ক্রয় করতে গিয়ে— ক্রয় করি তিতপুঁটি
হাঁড়ির ভাত জাউ হয়
যখন জুটে না— লবণও,
এভাবেই চলে টানাটানি সংসার।
জীবন ভর্তি আলু পোড়া আর কচুভর্তা
তবুও চলে, চলে যায়—
সময়ের সাথে তালে-তাল মিলিয়ে।
দীনতার যৌনির মোহে পড়ে
সেই কবেই ভুলে গেছি বিলাসবহুলতার কথা।
তবুও বেঁচে আছি—
একটা নদীর অভাব বুকে নিয়ে।
অক্ষমতার সুর’ই মেতে উঠেছে,
উবে গেছে— সুখের কপোত।
অসংগত দাবি
মধ্য রাত অবধি চেষ্টা করেও যখন একটি কবিতা লেখা হলো না
তখন ব্যর্থতা লুকাতে ঘুমিয়ে গেলাম—
স্বপ্ন দেখলাম— বাহির হতে কেউ আমাকে ডাকছে
দরজা খুলে দেখি পাঁচজন দাঁতাল!
তাদের দাবি— তাদের কিছু শব্দ আমার ঝুলিতে রয়েছে
আমি অনুনয় করে বললাম— আমি আজ কোনো কবিতা লিখিনি।