সন্তর্পণ ভৌমিক
দুইটি কবিতা
আততায়ী, সর্বংসহা
কারা যেন বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসে
অষ্টবক্র সাপিনী যেমন
এই স্থির গোধূলি সন্ধ্যায়
কদাকার হাতিয়ার হাতে
বিশেষত বন্যকোলাহলে
আমার ও তাদের এক জিজ্ঞাসা প্রবল
রাতভরে কারা হাঁটে, কতদূর যায় মাধুকরী
জন্মবস্ত্র রক্তে ভিজে কার
অন্ধকার শুধু হয় নক্ষত্র পতনে?
রাষ্ট্র এসে দুঃখ রেখে গেল, জননাভিমূলে
তুমি হারিয়ে গিয়েছো
তবুও প্রণামী রইল ম্রিয়মাণ মানুষের অতল অভয়ে।
বিষাক্ত যাযাবর
অতিক্ষুদ্র বায়ুর প্রবাহে
আমি উড়েছি বৃথাই, অনেক যোজন
স্থির নেই গন্তব্য যাহার
তারা সব অনাগ্রহী পথিকের মতো
স্তব্ধভাষ হয়ে র’ল নিরেট কবরে
লাল নীল আয়ু উড়ে
দিনের ছায়ার তারা মেদমজ্জাখেকো
এরা সব সংগোপনকামী
ধীরে নেমে আসে
অমানুষিক অন্ধকার জীবন্ত রুদ্ধ হয় অচল গরাদে
আমি রাত্রিগুঞ্জিত, প্রেরিত এবং কোনো জীর্ণজনপদে
মুদ্রিত হয়েছি ধীরে লুপ্ত ইতিহাসে
দৃষ্টি তবু উদগত নম্রনাভিমূলে
এবং নগ্ন ততো জনন খরায়
তুমি পাহাড়ি পাথুরে বন্ধু, জেগে রও মানুষ ইচ্ছায়।
********************************