You are currently viewing প্রয়াণ দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রয়াণ দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রয়াণ দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি

বাঙালির মনন জগতের অনন্য প্রতীক কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রয়াণ দিবসে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।

বাংলাসাহিত্যের দুই দিকপাল অমিয় চক্রবর্তী ও হুমায়ুন আজাদ-এর দুইটি উদ্বৃতি এখানে উল্লেখ করতে চাই। “বিন্দু” সম্পাদক সাম্য রাইয়ানের ওয়াল থেকে নেয়া হয়েছে ।

রবীন্দ্রনাথ অমিয় চক্রবর্তীর সাথে এক আলোচনায় বলেছিলেন— ‘ভাবকে এক-একটি ছন্দের কাঠামোর আনুগত্য মেনে চলতে হয়। কিন্তু যাকে গদ্যকবিতা বলা হয় তার নিয়মরীতি স্বতন্ত্র। তার বিশেষত্ব হচ্ছে— ভাবের আনুগত্য স্বীকার করতে হয় ছন্দকে, ভাবের মধ্যে ছন্দের গতিবিধি, ভাবভঙ্গি দেয় ছন্দকে। যদি নতুন বলে এর প্রতি বিমুখ হও তাহলে এর মধ্যে যে ছন্দ আছে তার পরিচয় পাবে না।’
হুমায়ুন আজাদ ‘লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী’ গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ নিয়ে যথার্থই বলেছেন—‘আকাশে সূর্য ওঠে প্রতিদিন, আমরা সূর্যের স্নেহই পাই সারাক্ষণ। সূর্য ছাড়া আমাদের চলে না। তেমনি আমাদের আছেন একজন, যিনি আমাদের প্রতিদিনের সূর্য। তার নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।’

বর্জনের অভিপ্রায় থেকে বিকৃতির অপচেষ্টা হয়। যার যা বৈশিষ্ট্য তাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন অনভিপ্রেত। ইতিহাস ঐতিহ্য ও সুকৃতির বিষয়াবলী জাতীয় সম্পদ। রবীন্দ্রচর্চায় সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও বিকৃতির চক্রান্ত নতুন নয়। যেভাবেই চেষ্টা হোক না কেন, রবীন্দ্রনাথ বাঙালীর সূর্য হয়েই থাকবেন।