নিমাই জানার কবিতাগুচ্ছ
কার্বোনেটেড বাবা ও কিছু মৃতজীবী অসুখ
কার্বোনেটেড বিকারগ্রস্থ শরীরের ভেতর একগুচ্ছ চাঁদ উঠলেই অভিশাপগ্রস্ত হয়ে যায় অধাতব বাবা , কাঠের সরীসৃপ একদিন সব অমুলদ ও যোজ্যতার পাহাড় থেকে একগুচ্ছ মৃতজীবী অসুখ নিয়ে হাঁটবে আগ্নেয় শিলালিপি বরাবর , আরো সহস্র নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা ঋণাত্মক ফেরোমেন সমৃদ্ধ জাহাজের নৈঋত কোণের দিকে মুখ করে আদিম মানুষেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়বে যাজনহীন শ্মশানের প্রান্ত ভূমিতে , এখানে কৃষ্ণচূড়ার কথা থাকবে না আমার দেহের রক্ত সঞ্চিত হতে হতে আমি আরো হিংস্র হয়ে উঠব লাল রঙের অসংখ্য জীবাণু খেয়ে নেওয়ার পর অথচ রাত্রির কিছুটা অংশ অ্যালকোহলিক ছায়াকে ভক্ষণ করবে অন্তর্বাস চাদরে মুড়ে আমাদের এখানে কেউ কাউকে হত্যার কোন মন্ত্র শিখিয়ে যায় না, আমি শুধু ভাঙা কাঁচের ভেতর অশরীর ছায়াদের শরীর দেখি এই নির্জন প্রান্তরে বসে , অসংখ্য একোনাইট গাছের অংকুর চারা গাছ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি বারবার , দারুচিনি গাছের লাল রঙের থেকে আর কোন প্রাচীন বাবা পুরুষ নেই সবুজ পরকীয়ার ভেতর এক একটা জীবাশ্ম খুঁড়ে চলি , প্রতিটি মৃত আম গাছের গোড়ায় ঊর্ধ্বাঙ্গ ঈশ্বরীর পাগুলো স্তম্ভমূল হয়ে তড়িতাহিত , খন্ডিত মাথার কাছে কোনদিন বিসর্গ সিন্ধুর কথা বলা নেই , প্রতিদিন ইচ্ছা করেই হাসপাতাল দুটো মৃত্যু নিয়ে বাড়ি ফিরে আসি , খুনি আমাকে শনাক্ত করতে পারে না কোনদিন
ঈশ্বর ও তার নপুংসক সাপ
নৃতত্ত্ব মানুষকে আঁকড়ে ধরার পর পরিযায়ী ছায়ার গর্ভাশয় গুলো ফুৎকারে উড়িয়ে দেয় অবিভাজ্য সাপের চেরা জিভ পলল বিছানার কাছে তিনটি শাঁখামুঠো চিতি সাপ শুয়ে থাকে , অ্যালকোহল জলে স্নানের পর সকলেই সিলভারের মতো দেখতে অথচ তাদের পা গুলো সিন্ধু উপত্যকার দিকে ঝুলানো হিউ এন সাং কতদিন অবাত শ্বসনের কথা বলেনি সঙ্গমকালের পর , সকলেই মৃগী রোগীর তৃণভোজী মাথা নিয়ে অসম্পূর্ণ স্নায়বিক অসুস্থ কথা নিয়ে আসবে প্রথম ঋতুচক্রের পর , লাল রঙের ক্রোমোপ্লাস্ট পতাকা গুলো আমাকে হত্যা করতে এগিয়ে আসছে রাতের নিশাচরের চোখ নিয়ে , আমি শুধু বেল পাতার গন্ধ পাচ্ছি আজ নপুংসক হয়ে যাওয়ার জন্য পরম চেতনার থেকে একগুচ্ছ রক্তময় শুক্র গ্রহের দানা নিয়ে আমি একবার কপাল লোচনের মাঠে রেখে আসবো ভৌতিক পাখির স্তব , ঈশ্বর দীর্ঘাকার শরীর নিয়ে কদাকার করে যাবে আমার বিচ্ছিন্ন নারীকে আমি শুধু শিশুদের মতো এক প্রাচীন নৌকাকে ভক্ষণ করবো নাভি ছাড়া সায়ন্তন পুরুষ ঈশ্বর আবারো একবার কাশ্যপ হয়ে যাবেন ত্রি শলাকার গুপ্ত বিদ্যা শিখে
এক মৎস্যজীবী ও ড্রোটাভেরিন ফুল
কালো রঙের ফরসেপের নিচে একটি বৃহত্তম মৌলিক সংখ্যার নভশ্চর ঘুমিয়ে আছে উদ্বেধী মৃতদেহ হয়ে, প্লাসমোডিয়াম কাঁচের ভেতরে অসংখ্য মৃত মানুষ আবছায়া রোদ নিয়ে রাতের নপুংসকতা ফুরিয়ে যায় আমি শুকনো কাঠের মৎস্যগন্ধা পুরুষ হয়ে শ্রীখোল বাজিয়ে চলি , আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর মৎস্যজীবীরা খালি গায়ে ড্রোটাভেরিন খাচ্ছে , তাদের কোনদিন অন্তর্বাস চকচক করে না বেল ফুলের মতো, একটা ব্যাঙ্গাচি অদ্ভুত গর্তের ভেতর কোয়ান্টাম চোখের মতো ঈশ্বর কুড়িয়ে আনে আমি শুধু নাতি দৈর্ঘ্যের বরফ পুরুষের রৈখিক বন্ধনী বেঁধে চলি অসংখ্য ধান বীজ দিয়ে রাতের বেলায় সব মানুষেরা নৌকার মতো সমাধি ক্ষেত্রের চারপাশে উড়ে বেড়ায় , পাখিরা দিনের বেলায় নির্জীব স্বপ্ন দেখে আমাদের শুকনো স্তন থেকে নয়টি নদীর শাখা নেমে আসছে শ্রীহীন অশ্বারোহী আকন্দ ফুলের নিচে অজস্র ঈশ্বর লুকিয়ে আছেন আগুন গাছের খেজুর ফল হয়ে অরুণ পুরুষ অসংখ্য পরম চিহ্নের সংখ্যাতত্ত্ব বলে চলেন অসমাঙ্গ ফুলের ভেতর দাঁড়িয়ে , একটা নৌকার তৃতীয় গর্ভকেশর আছে
গেরুয়া রঙের রাজহাঁস ও দ্রোন শহরের কথা
অসংখ্য ধান বীজ রোপণের পর আরও একটি নারী জাহাজের তলপেট ভেঙে উঠে আসে বৃত্তাকার জলাশয়ের মাঝ বরাবর , আর আমি প্রতিটি মানুষের দীর্ঘ কলঙ্কহীন রুদ্র চিহ্ন যাপন করি অসংজ্ঞায়িত রসায়ন দিয়ে প্রতিটি নীল পথিকের পিছনে গেরুয়া রঙের ছায়াপথ হেঁটে যায় , আমি দীর্ঘ মহাজীবনের পায়ের ছাপের কাছে এক একটা সোডিয়াম দানা রাখি , রাজহাঁসের পেছনে থাকা দ্রোন শহর আর কিছু নয় , অর্জুন সব অখন্ড ভগ্নাংশগুলোকে হত্যা করে রেখেছেন সারথীর পায়ের তলায় সারথি শুধু তরোয়াল চালাতে জানতেন না বলে অধাতব তরোয়াল দিয়েছিলেন পার্থকে , পৃথা প্রতিদিন এসে একবার অভিসম্পাত করে যান একটা নরম নিমগাছকে গাছের ফলের মত শব্দহীন ছায়ারেখার কাছে প্রাচীন বন্যা নেমে আসে ক্ষয়জাত ভূমি ক্ষেত্র থেকে অসমাঙ্গ পৌরুষত্বে নিয়ে একে একে ভূলুণ্ঠিত হয়ে পড়েছেন অক্ষৌহিণী সেনাবাহিনীর কোষীয় অঙ্গানু রাতের বেলায় সকলেই দূর্যোধন হয়ে যায় , আমি আসলে আর কেউ নয় এক অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের পরম বংশধর শুধু নিম ফলের চাষাবাদ শুরু করেছি আজ আমার নাভির ৫৫ যোজন নিচে একটা ম্যাগমা মিশ্রিত গোখরো শুয়ে থাকে পলাশ ফুল ঠোঁটে অর্জুন গাছের পুরুষেরা আজ বায়বীয় যান ছেড়ে চলে যাবে জনুক্রমহীন লাক্ষাদ্বীপের দিকে নীল আলো জ্বলে উঠলো ফাস্ট ফিলাল , বেজে উঠবে দ্বারোকা পুরীর রণ দুন্দুভি রুক্মিণী ভূগোল মুখে পুরে নিয়ে প্রখর সন্ন্যাসিনী হয়ে উঠবেন আজ কিছু গ্রানাইট মুখে বিশুদ্ধ পারদ খাওয়ার দিন আর্যভট্ট পেন্সিলের ঘনত্ব নির্ণয় করবেন মৃত অ্যাসপারাগাস দিয়ে