দুটি কবিতা/ যুবক অনার্য
নিষিদ্ধ ভূমিকা
বেঁচে থাকা মানে অমরত্ব নয়
ইতিহাসহীন নয় অধিষ্ঠিত থাকা
জাফরান মসনদে
এক জীবনে আজীবন
বেঁচে থাকা মানে দায়বদ্ধতা নিয়ে
বেঁচে থাকা
বেঁচে থাকতে হলে
শিরা উপশিরা জুড়ে
লাল লাল রক্ত বয়ে যেতে হয়
ছিনিয়ে আনতে হয় স্বাধীনতা
মাতৃভূমির পাললিক পরিচয়
বুলেটের মুখোমুখি বলতে হয়-
হিন্দু মুসলমান যে নামেই ডাকো – আমি
মানুষেরই মাঝে শুধু
মানবজন্ম খুঁজে পাই
শরীরে আগুন ঢেলে
বলে দিতে হয়- ইনকিলাব হো গিয়া
বেঁচে থাকা মানে বেঁচে যাওয়া নয়
নয় সমগ্র রাত জেগে থেকে
জোছনার করাঘাতে আঁধার
কেবলি অন্ধকার ছিঁড়ে ফেলা
বিষাক্ত সাপের মুখ
দুধ কলা- বিরুদ্ধে এক
প্রহরী ওঝার নিষিদ্ধ ভূমিকা
ক্ষমতার মুখগহ্বরে
জিহ্বার মত আটকে থেকেও
প্রচন্ড চিৎকারে বলে দিতে হয় –
উদোম শরীরে রোদ-জামা
ছিনতাই হলে
আগুন ধরিয়ে লেজে
লংকা কান্ড ঘটিয়ে দেবো
দেখে নেবো তোমাকেই
যে- তুমি নিলামে তুলেছো মাটি
এই বাংলার
অ-মানুষ অ-মানুষ
সাঁটলিপি- মুদ্রনপ্রমাদ – তোমার সংগে আমার
জগৎ ব্যাপি পেলব পাপ
ও পংক্তি সকল
আঙরাখা যেখানে রাখা
মূল্যবৃদ্ধিময় ক্রমশ কলুই খেত
দ্রোহ ও দমন মাঝরাত খন্ডিত অধিবাস
তেপায়া ঝিনুক
এ তবে কাহাদের কারসাজি
সীমান্ত প্রহরী- ঘুম
লাশবিদ্ধ ভৌগলিক রেখা
তবু তোমার সংগে আমার মুদ্রনপ্রমাদ
জগৎ ব্যাপি বায়ানাক্কা- রীতি
ও তার চকিত স্খলন
দ্রোহ ও দমন খন্ডিত অধিবাস
দ্বিখন্ডিত আমি
যেন নিষিদ্ধ পয়ার-
লেখা যে হলোই হয়তো বা- যজ্ঞযাত্রাকালে
অ-মানূষ অ-মানুষ খেলা
যন্ত্রচালিত লাঙল দ্রুত-দীর্ঘ-হ্রস্ব প্রেম
আ মরি জখম
তুমি আমি
দ্রোহ ও দমন
রাষ্ট্রনীতি
অচলায়তন
জনবিচ্ছিন্ন নৃপতি হে রাষ্ট্রচারী
নিকটেই এক সমাধিফলক
আত্মপক্ষ সমর্থনের
অধিকারও ফেলেছো হারিয়ে
হয়তোবা – তুমি…