You are currently viewing তীর্থঙ্কর সুমিতের গুচ্ছ কবিতা

তীর্থঙ্কর সুমিতের গুচ্ছ কবিতা

তীর্থঙ্কর সুমিতের গুচ্ছ কবিতা

 

জীবন দর্শন

বিশ্বাসের মাটিতে যখন গভীরতা থাকে
তখন হেঁটে চলি বহুদূর
পথে পথে যে রাস্তা…
মুখোমুখি চেয়ে আছে চায়ের কাপ আর
এক বাস্তব পৃথিবীর অন্যরূপ
অন্ধকার গাঢ় হলে শুনেছি
পায়ের মাটি শক্ত হয়
এযাবৎ এক নিশ্চিন্তের অনুভূতি
অন্ধকারের পথে হেঁটে যেতে যেতে

ফিরে এলাম আমৃত্যু জীবন দর্শনের দিকে।

 

পাল তোলা হৃদয়

বিমোহিত স্পর্শে এক প্রশ্ন চিহ্ন…
ভালোবাসার সমীকরণে পানকৌড়ির ঠোঁট
জলকে স্পর্শ করে,
ফিরে আসা এক উপলব্ধিনামা
পেন্ডুলামে এখনও গির্জা হাসে
সময়ের ব্যবধান হিসেব জুড়ে
অদৃশ্য আবেগে সঞ্চারিত হয় আড়াল
মাকড়সার অষ্টহাঁটুতে প্রমাণহীন চোখ
আটকে আছে আগামী জানবে বলে

ভোরের নৌকা গঙ্গা পদ্মাকে ছুঁয়ে আজ ব্রহ্মপুত্রের পথে…

পাল তুলেছে হৃদয়।

 

উন্মুক্ত চেতনা

 

এমন একটা দিন আসবে…
চৌরঙ্গী ঘুড়ি উড়তে উড়তে মিলিয়ে যাবে
আকাশের বুকে
নীলে নীলে হেসে উঠবে বর্ণনা
মেঘে ঢাকা সূর্য উত্তাপ বর্জন করে হেসে উঠবে
এমন একটা দিন আসবে…
রাতের আঁধারে কাব্য লিখবে
রাতের অভুক্ত রজনীগন্ধরা
যত সময় মিলিয়ে যাবে অনন্ত যাত্রার নাভি চিরে
পদ্মের ভ্রমর প্রতি ঘরের আনাচে কানাচে
এমন একটা দিন আসবে…
অসম্ভবপুরে সম্ভব্য রাতের জ্যেৎস্না – অন্ধকে পথ দেখাবে উন্মুক্ত চেতনায়।

 

সকাল দেখা

সবুজ দেখতে দেখতে…
ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছি একটার পর একটা স্টেশন
ধানের শিস কখন যেন কাশের কোলে
ঘুমিয়ে পড়েছে ভোরের স্নিগ্ধতায়
সূর্যের হাসি কখন যেন বটের ঝুড়িকে আলোকিত করেছে
সকলেই ছুঁটছে ব্যস্ত গ্রামে
আমিও ছুঁটি কুঝিকঝিক কুঝিকঝিক ___
এত রূপ এত রঙ আমার ভারতবর্ষ

এসো বন্ধু হই সকাল দেখি…

 

অহেতুক ইচ্ছা

কিছু অহেতুক ইচ্ছা
সময় মতো দাঁড়িয়ে থাকে অনিচ্ছার প্রাচীরে
মুঠো হাতে বিন্দু একদিন বিলীন হয় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে
ঢেউ ভাঙা নদী জানে মুক্তাঙ্গনের গল্প
যত হাত বদলায়, উৎস মানুষের ঢেউ জনতার আদালতে স্বাক্ষর করে নিজস্ব প্রতিবেদনে
এ এক দারুণ অনুরণন…
ইচ্ছাশক্তির কাছে তোমার আমার —
এসো শিলালিপি খোদাই করি

সবুজ ঘাস ও তো একদিন হলুদ হয়।।

***************************