কুশিয়ারা পানি বন্টন চুক্তিঃ একটি নিকট বিশ্লেষণ
ড. মো. খালেকুজ্জামান
একটি নদী কোন বিচ্ছিন্ন স্বত্তা নয়। প্রতিটি নদী তার উৎস থেকে শেষ গন্তব্যস্থলে পৌঁছার পথে অনেক জনপদ, ভুমিরূপ, জলাভূমি, গাছ-গাছালি, বাস্তুতন্ত্র, শেওলা, মাছ, বিভিন্ন ধরণের প্রাণী, এবং প্লাবনভূমি ও শস্যক্ষেত্র অতিক্রম করে এবং তাদের সাথে পরস্পর নির্ভরশীল মিথস্ক্রিয়ায় লিপ্ত হয়ে নিজেও বিবর্তিত হয় এবং সেইসব উপাদানকেও প্রভাবান্বিত করে। সেই অর্থে প্রত্যেকটি নদীই এক একটি জীবন্ত স্বত্তা। নদী শুধুমাত্র পানি বহনকারী কোন পাইপ লাইন নয়। একটি নদীর পানির পরিমাণ,পানি বহন ক্ষমতা, নাব্যতা, এবং পানির গুণগত মান নির্ভর করে সেই নদীর অববাহিকা অঞ্চলের ক্রিয়াকলাপ, ঋতুভেদে বিদ্যমান আবহাওয়া, সার্বিক জলবায়ূ এবং পরিবর্তনের মাত্রা এবং ধরণের উপর। প্রাকৃতিকভাবে প্রতিটি নদীই তার বিভিন্ন অংশের প্রস্থ, গভীরতা, এবং স্রোতের বেগ সেই অংশের মাটি, পলি, শিলা, ভূমিরূপ ও ভূমি ব্যবহারের সাথে সঙ্গতি রেখে একটি ভারসাম্যমূলক অবস্থা তৈরি করে নেয়। কিন্তু মানুষ যখন তাদের প্রয়োজনে নদীর সেই প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে দেয় তখন নদীও তার প্রয়োজনে নিজের গতিপথ এবং আচরণ পরিবর্তন করে নেয়। যেকোন নদীর সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য সেই নদীর উৎস থেকে গন্তব্যস্থল পর্যন্ত অববাহিকা অঞ্চলের সমস্ত ক্রিয়াকলাপ আমলে নিয়ে পরিকল্পনা নেওয়াই বিজ্ঞানসম্মতভাবে গ্রহনযোগ্য পদ্ধতি।
কুশিয়ারা নদীটিও কোন বিচ্ছিন্ন স্বত্তা নয়। কুশিয়ারা উত্তর-পূর্ব ভারতের বরাক নদীর প্রবাহের ধারাক্রমেরই অংশ হিসাবে ভৌরি, তুইরোঙ, এবং বরাক নাম ধারণ করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সুরমা ও কুশিয়ারা নামে দুইটি পৃথক নদী হিসাবে প্রবাহমান। কুশিয়ারা নাম ধারণ করার আগেই বরাক নদী এবং তার অসংখ্য উপনদী, যথা ঝিরি, চিরি, মাধুরা, জাতঙ্গা, মারাং, সোনাই, রুকনী, ঘাগরা, কাটাখালী, এবং ধলেশ্বর প্রায় ৪৫,৬২২ বর্গকিলোমিটার অববাহিকা অঞ্চল থেকে পানি ও পলি বয়ে নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। উজানের অববাহিকা অঞ্চলের ভূমিরূপ, ভুমিব্যবহার, বাস্ততন্ত্র, এবং মনুষ্যসৃষ্ট বিভিন্ন অবকাঠামো যেমন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত কুশিয়ারা নদীর পানির পরিমাণ এবং এর গুণগত মানে প্রভাব ফেলতে পারে, তেমনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কুশিয়ারা এবং এর উপনদী ও খালসমূহ, যথা রহিমপুরর খাল, সোনাই বরদল নদী, জুরী নদী, মনু নদী, ধলাই নদী, লংলা নদী, খোয়াই নদী, সুতাং নদী, সোনাই নদীও ভাটিতে অবস্থিত মেঘনা নদীর প্রবাহ এবং গুণগতমানে প্রভাব ফেলতে পারে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বিচ্ছিন্নভাবে কুশিয়ারা নদীর একটি অংশের ব্যবস্থাপনা কিংবা পানি বন্টন চুক্তি করা যুক্তিসঙ্গত কাজ নয়। প্রয়োজন হচ্ছে বরাক-সুরমা-কুশিয়ারা-মেঘনা অববাহিকা-ভিত্তিক সমন্বিত এবং ভারত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে পানি ও পলি ব্যবস্থাপনার সার্বিক পরিকল্পনা বিষয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে উপনীত হওয়া।
বরাক-সুরমা-কুশিয়ারা-মেঘনা নদীর অববাহিকা অঞ্চলের আয়তন প্রায় ৮২,০০০ বর্গকিলোমিটার, যার ৫৭% ভারতে এবং ৪৩% বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত। যেহেতু অববাহিকা অঞ্চলটি একসুত্রে গাঁথা, তাই ভৌগলিকভাবে দুইদেশে অবস্থিত হলে এই অববাহিকার সমন্বিত পানি-পলি-ভূমিরূপ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই শুধু পুরো অববাহিকার মানুষের এবং প্রাণ-প্রকৃতির কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব। আন্তঃসীমান্ত নদীর ব্যবস্থাপনায় অববাহিকা-ভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহন করাই ন্যায় সঙ্গত এবং সুবিবেচনা প্রসূত কর্মকান্ড হিসাবে সারা বিশ্বেই বিবেচিত হয়ে আসছে।
আন্তঃসীমান্ত নদীতে অববাহিকা-ভিত্তিক সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এ পর্যন্ত যে কয়টি আন্তর্জাতিক নীতিমালা, সুপারিশমালা, প্রস্তাব এবং আইন পাশ হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ১৯৭৭ সালে অনুষ্ঠিত আর্জেন্টিনার মারডে প্লাটায় গৃহীত জাতিসংঘের পানি বিষয়ক সম্মেলনের সুপারিশমালা, ১৯৯২ সালে ডাব্লিনে অনুষ্ঠিত পানি ও পরিবেশ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গৃহীত প্রস্তাব, ১৯৯২ সালে রিও ডি জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পানি ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনের সিদ্ধান্তসমূহ, ২০০০ সালে হেগে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বিশ্ব পানি ফোরামের প্রস্তাব, ২০০১ সালে বনে অনুষ্ঠিত মিঠাপানি বিষয়ক সম্মেলনের প্রস্তাব, ২০০২ সালে জোহেনেসবার্গে অনুষ্ঠিত স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্ব সম্মেলনের সুপারিশমালা, ২০০৩ সালে কিটোতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় বিশ্ব পানি ফোরামের সিদ্ধান্ত, ২০১৫ সালে নিউ ইয়র্কে গৃহীত জাতি সংঘের স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উপরোল্লেখিত প্রায় সব কয়টি সম্মেলনেই ভারত এবং বাংলাদেশের অংশগ্রহন ছিল। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখের দাবী রাখে ১৯৯৭ সালের জাতিসংঘ পানি প্রবাহ আইনের কথা। এই আইনটি পৃথিবীতে আন্তঃসীমান্ত নদীর রক্ষনাবেক্ষন এবং ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো প্রনয়ন করেছে। এই আইনের আওতায় উজানের দেশ ইচ্ছা করলেই তাদের ইচ্ছা মাফিক কোন আন্তঃনদীর পানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা এবং তারা এমন কোন প্রকল্প গ্রহন করতে পারেনা যার মাধ্যমে ভাটির দেশে ক্ষতি হতে পারে এবং তাদের পানি ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার অধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে। এই আইনের আওতায় উজানের দেশ তাদের সীমানায় অবস্থিত একটি নদীর অববাহিকা অংশে যেকোন প্রকার প্রকল্প নেওয়ার আগে ভাটির দেশের সাথে মত বিনিময় করার বিধান রয়েছে, এবং তাদের কর্মকান্ডের ফলে ভাটির দেশের ক্ষতি হলে তারা ক্ষতিপুরণ দিতে বাধ্য থাকারও বিধান রয়েছে। জাতি সংঘের পানি প্রবাহ আইনটি এখনো বাংলাদেশ এবং ভারত অনুস্বাক্ষর করেনি। এই আইনটি ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বহমান সমস্ত আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি-পলি বন্টন সংক্রান্ত সমস্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের মাধ্যম হিসাবে কাজ করতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-যমুনা-বরাক-সুরমা-কুশিয়ারা নদীর অববাহিকা-ভিত্তিক সমন্বিত ব্যবস্থাপনা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের লক্ষ্যে অববাহিকা অঞ্চলের সব কয়টি দেশেরই উচিত জাতিসংঘ পানি প্রবাহ আইন (১৯৯৭) অনুস্বাক্ষর করা।
সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে অন্যান্য বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারকের পাশাপাশি কুশিয়ারা নদী থেকে জকিগঞ্জে রহিমপুর খালের সেচ প্রকল্পের জন্য ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করার বিষয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। কোন কোন সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে যে ভারত এবং বাংলাদেশ উভয়েই সমপরিমাণ পানি প্রত্যাহার করবে। এই চুক্তির অন্যান্য শর্তাবালী এখনো পুরোপুরি প্রকাশিত হয়নি। এই চুক্তির কার্যকারিতার মেয়াদকালও প্রকাশ করা হয়নি। এটাও জানা যায়নি যে কুশিয়ারা নদীর পানি বন্টন বিষয়ে ভবিষ্যতে আরো কোন চুক্তি হবে নাকি এই নদীর পানির হিস্যা হিসাবে বাংলাদেশকে সর্বমোট ১৫৩ কিউসেক পানি নিয়েই সন্তোষ্ট থাকতে হবে। যদি তাই হয়, তাহলে এই লেখকের মতে এই চুক্তিটি খুবই একটি অসম, অযৌক্তিক, অন্যায্য, এবং খারাপ দৃষ্টান্ত-সৃষ্টিকারী চুক্তি হয়েছে নিম্নোক্ত কয়েকটি কারণে।
প্রথমতঃ, উপরোল্লেখিত কারণে কুশিয়ারা কোন বিচ্ছন্ন স্বত্তা নয়, এর সাথে উজানের অববাহিকার যেমন যোগসূত্র রয়েছে, তেমনি এই নদীর পানি প্রবাহের পরিমানের সাথে ভাটির অঞ্চলেরও যোগসূত্র রয়েছে। তাই পানি-পলি বন্টন চুক্তি হতে হবে নদীর উৎসমুখ থেকে গন্তব্যস্থলের পুরো অববাহিকা-ভিত্তিক; অর্থাৎ, এই চুক্তিটি হওয়া উচিত ছিল বরাক-সুরমা-কুশিয়ারা-মেঘনা অববাহিকার জন্য।
দ্বিতীয়তঃ, কুশিয়ারার যে অংশের জন্য চুক্তি করা হয়েছে সেই অংশটি পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত বলেই ম্যাপে দেখা যায়। তাহলে কুশিয়ারা থেকে এই নদীর একটি উপনদী, অর্থাৎ রহিমপুর খাল, যেটি পুরোপুরি বাংলাদেশে অবস্থিত তার জন্য ভারতের অনুমতি কেন প্রয়োজন হবে সেটি বোধগম্য নয়। এখানে উল্লেখ্য যে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রহিমপুর খালের উপর স্থাপিত সেচ-পাম্পটি ”নো ম্যান্স ল্যান্ড” এ অবস্থিত। কুশিয়ারা নদীর দুইপাড়ের “নো ম্যান্স ল্যান্ডে”ই অসংখ্য স্থাপনা রয়েছে, যেমন রহিমপুর খালের কয়েক কিলোমিটার ভাটিতে কুশিয়ারা নদীর ভারতের অংশে “নো ম্যান্স ল্যান্ডে” নোটি খালের গতিপথ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে সেখানে একটি জনপদ তৈরি করা হয়েছে, তার জন্য ভারত বাংলাদেশের অনুমতি নেওয়ার দরকার হয়েছিল বলে জানা যায়না। এই নোটি খালটি বহমান থাকলে বরং শুকনো মৌসুমে কুশিয়ারাতে পানি প্রবাহের পরিমাণ আরো বাড়তো।
তৃতীয়তঃ, ভারতে অবস্থিত কুশিয়ারা নদীর উজানের অববাহিকায় (অর্থাৎ বরাক এবং তার অন্যান্য উপনদীর অববাহিকায়) ভারতীয় সরকারী হিসাব মতেই আসাম-মণিপুর-নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন অংশে ৬টি বড় এবং মাঝারি সেচ প্রকল্প রয়েছে। তাছড়াও এই অববাহিকায় আরো ৬টি জল-বিদ্যুত কেন্দ্র রয়েছে। আসামের ডিমা হাসাও জেলার কাপিলা নদী জলবিদ্যুত কেন্দ্র এবং কাছার জেলার ফুলেরতল ব্যারাজ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই সমস্ত প্রকল্পের জন্য কি পরিমাণ পানি ব্যবহার করা হয় এবং এর পরিবেশগত অভিঘাত ভাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশের অংশে ঠিক কি পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছিল বলে জানা যায়না। এইসব প্রকল্প তৈরি করার আগে আন্তর্জাতিক রীতি নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের সাথে কোন সমঝোতা কিংবা চুক্তি হয়েছে বলেও জানা নেই।
চথুর্ততঃ, শুকনো মৌসুমে, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত, কুশিয়ারা নদীর বাংলাদেশ অংশে গড়ে ৫,২৯৫ থেকে ১৭,৬৫০ কিউসেক পানি প্রবাহিত হয়। সেই তুলনায় ১৫৩ কিউসেক পানি নিতান্তই সামান্য পরিমাণ (১ থেকে ৩%)। এই সামান্য পরিমাণ পানি দেশের অভ্যন্তরে প্রত্যাহার করার জন্য বাংলাদেশকে যদি ভারতের অনুমতি নিতে হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ভাটির দেশ হয়েও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পানি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অন্যান্য প্রকল্পের জন্যেও ভারতের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন হবে কিনা তা স্পস্ট হওয়া জরুরী।
পঞ্চমতঃ, কুশিয়ারার সামগ্রিক পানি-পলির অংশিদারিত্ব ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে যদি আর কোন চুক্তি না হয়, তাহলে ভারত কি ভবিষ্যতে তাদের ইচ্ছামতো বরাক-সুরমা-কুশিয়ারা-মেঘনা অববাহিকাতে সেচ-জলবিদ্যুত প্রকল্পের জন্য আরো পানি সরিয়ে নিতে পারবে এই অজুহাতে যে বাংলাদেশের সাথে ইতোমধ্যেই ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের জন্য চুক্তি হয়েছে? এইসব প্রশ্নের সমাধান কি বিদ্যমান চুক্তিতে রাখা হয়েছে?
উপরোল্লেখিত বিষয়সমূহ বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছা যায় যে, কুশিয়ারা নদীর পানি বন্টন চুক্তিটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অনৈতিক, অন্যায্য, এবং অসঙ্গতিতে ভরপুর। আশা করা যায় যে মেঘনা অববাহিকায় বসবাসকারী দুইদেশের জনগণ পরস্পরের স্বার্থ রক্ষাকারী এবং পরিবেশ-প্রতিবেশ বান্ধব অববাহিকা-ভিত্তিক সমন্বিত পানি-পলি ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য উদ্যোগী হবে এবং নিজ নিজ দেশের কর্তৃপক্ষকে উদবুদ্ধ করবে, কারণ আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য এর কোন বিকল্প নেই।
ড . মো. খালেকুজ্জামান, অধ্যাপক, লক হ্যাভেন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র।