বইমেলার খোলাচত্বর: কথোপকথন/ পিয়াস মজিদ
অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে কেন্দ্র করে মন-মানচিত্র সাহিত্যকর্মের বার্তা সাহিত্যের পাঠকদের নিকট পৌঁছে দেয়ার জন্য কবিসাহিত্যিকদের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করছে। আজ আমরা কথা বলেছি কবি পিয়াস মজিদের সাথে। বইমেলাকে কেন্দ্র করে পিয়াস মজিদের দুটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে অফ টপিক আর ঐতিহ্য থেকে দীর্ঘকবিতার বই এইসব মকারি। সাক্ষাৎকার করেছেন ধ্রুব সাদিক।
মন-মানচিত্র: গ্রন্থ মূলত দীর্ঘ একটা সময়ের সাধনার ফসল। অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে কেন্দ্র করে আপনার প্রকাশিত গ্রন্থের ব্যাপারে জানতে চাই। গ্রন্থটি প্রকাশিত হওয়ায় আপনার অনুভূতিও যদি শেয়ার করতেন।
পিয়াস মজিদ: এবার আমার দুটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন থেকে অফ টপিক আর ঐতিহ্য থেকে দীর্ঘকবিতার বই এইসব মকারি।
অনুভূতি বলতে, এবারের বই দুটিতে আমার আগেকার কবিতার চেয়ে নতুন কাজ চোখে পড়বে হয়তো। ইতোমধ্যে সে-রকম পাঠ-প্রতিক্রিয়াও পাচ্ছি। ভাল লাগছে, কারণ করতলে কবিতার নতুন মহাদেশ স্পর্শ করতে চাই এক একটি বইয়ে।
মন-মানচিত্র: আপনার পূর্বে প্রকাশিত সাহিত্যকর্মও কি পাঠকরা গ্রন্থমেলা থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন?
পিয়াস মজিদ: আমি মনে করি, যে বই পাঠক পড়েননি তা যদি বিশ বছর আগের বইও হয়, তাহলে সেটাও নতুন বই। আমার আগেকার বইগুলোর বিভিন্ন সংস্করণ বইমেলার নানা প্রকাশনীতে সুলভ।
মন-মানচিত্র: অমর একুশে গ্রন্থমেলা লেখক-পাঠকদের মধ্যে শুধু সেতুবন্ধনের কাজটিই যে করে তাই নয়, এইসময় গ্রন্থপ্রেমিকদের মধ্যে খুশির আমেজও পরিলক্ষিত হয়। গ্রন্থমেলাটিকে প্রাণবন্ত করার ব্যাপারে আপনার অভিমত জানতে চাই।
পিয়াস মজিদ: একুশে বইমেলা এখন আর মেলা নয় বরং সাংস্কৃতিক উৎসব। প্রাণের তো নির্দিষ্ট ধর্ম নেই কোনো; আমি তাই মনে করি বইমেলা শুরু হয়ে শেষের দিকে যেতে যেতে আমাদের বুকের ভেতর যে বিচ্ছেদিয়া সুর বেজে ওঠে, সেটাই এর স্বয়ংক্রিয় প্রাণবানতার প্রতীক। এর জন্য কোনো কর্মকৌশলের দরকার নেই।
মন-মানচিত্র: গ্রন্থমেলার সাথে প্রকাশনায় জড়িত মানুষের রুটিরুজির সংস্থানের ব্যাপারটিও জড়িত। এই ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চাই।
পিয়াস মজিদ: বইয়ের বিপণন নিয়ে কার্যকর এবং কালোপযোগী পদ্ধতি অনুসন্ধান করতে হবে। প্রকাশনাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করতে হবে এবং প্রকাশনাবান্ধব ‘গ্রন্থনীতি’ প্রণয়ন করতে হবে।
মন-মানচিত্র: বইমেলার পর প্রকাশিত বইয়ের আর খোঁজ বিশেষ থাকে না। আমাদের দেশে বইয়ের দোকানও স্বল্প। এই পরিস্থিতিতে বই পাঠকের কাছে পৌঁছাতে আপনার ভাবনা যদি জানাতেন।
পিয়াস মজিদ: কেবল একুশের মেলাকে প্রধান না ভেবে সারাদেশে নিয়মিত মেলা আয়োজন করতে হবে এবং তা যেন নামকাওয়াস্তে না হয়ে কার্যকর হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। অনলাইন বই বিপণনের পদ্ধতিতে যেনতেন উপায়ে ‘বেস্ট সেলার’ হয়ে সাহিত্যের পরিবেশকে অসুস্থ করার অসাধু পন্থার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। ছাপা বইয়ের পাশাপাশি পিডিএফ পদ্ধতিকে সহজলভ্য এবং সর্বজন-বিস্তারী করতে হবে।
মন-মানচিত্র: কোভিড পরিস্থিতিতে বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, পাঠকদের প্রতি আপনার বার্তা যদি শেয়ার করতেন।
পিয়াস মজিদ: একটাই বার্তা- স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মেলায় আসুন, প্রিয় বই নিয়ে সুস্থ শরীরে প্রিয় পরিবারের কাছে নিরাপদে ফিরে যান।