You are currently viewing তিনটি কবিতা/ বদরে মুনীর

তিনটি কবিতা/ বদরে মুনীর

তিনটি কবিতা/ বদরে মুনীর

 

জওয়াবিতার 

 

নীরবতা!

অসম্মতির লক্ষণ হ’য়ে ছেয়ে আছো

অকরুণ সিন্ধু-তীরে সন্ধ্যার আকাশ।

ধর্মযুদ্ধ শেষ হ’য়ে আসে,

প্রান্তরে পচনশীল ঘাসে

ভাঙা ঢাল, নিঃস্ব শিরস্ত্রাণ

সূর্য-স্বীকৃতির অভিলাষে

খোলামকুচির মতো হাসে;

মরতে-মরতে লাশ থেকে লাশে

ধর্মযুদ্ধে আসে অবসান।

নীরবতা!

অসম্মত তীর হ’য়ে আঁকড়ে আছো ছিলা,

টংকারে জীবনানন্দ, ট্রামের ঝংকার!

নীরবতা!

শব্দ ভেঙে গেছে, কত শব্দ ভেঙে গেল

অসহ্য নিঃশব্দে ঠুকে পাথরে পাথর!

নীরবতা, কীসের এত অহংকার তোর?

 

বো কো হারাম 

 

আমার মেয়েকে নিয়ে চলে যাব গহিন জঙ্গলে;

জঙ্গলে পুলিশ নাই, বাস নাই, বয়ফ্রেন্ড নাই।

জঙ্গলে গৃহশিক্ষক নাই,

বিজ্ঞাপন নাই, বিশ্ববিদ্যালয় নাই;

জঙ্গলে পোশাকশিল্প নাই,

লাশের বেঢপ পায়ে চামড়া কেটে

নূপুরের কামড়ে-ধরা নাই।

আমার মেয়েকে নিয়ে লোকালয়ে থাকব না,

চলে যাব আফ্রিকার ঘন-কালো, গভীর জঙ্গলে;

জঙ্গলে সমাজ নাই, শিল্পকলা নাই,

মহিলা সমিতি না্ই, গ্যাংরেপ নাই।

 

জিবারিশ 

 

মুখ-ভর্তি থুথু নিয়ে শুয়ে থাকি, মহামিত্র আলস্য এমন;

হাড়ে-হাড়ে ঘড়ির টিকটিক যেন, ছাল-বাকলা সতর্ক, জর্জর!

মজবুত, কাগুজে কোষে অর্থহীন, আপামর শব্দ দেখে-দেখে,

দেখি— যদি দেখা যায়, বাক্যের ব্যবস্থা-মুক্ত, বিচলিত ছবি।