You are currently viewing গুচ্ছকবিতা/ কাউকাব সাদী

গুচ্ছকবিতা/ কাউকাব সাদী

গুচ্ছকবিতা

কাউকাব সাদী

 

মাধ্যাকর্ষণের সহজ ভূমিকায়

খতিবের মোড়ে এলে

লোকটারে দেখি— অতিকায়

সাড়ে এগারোটার রাতে

নিভে যায় দোকানপাট

কিন্তু নিভে না দুয়েক

তাদের শপ-কিপারেরা

ঢিমে আলোর রশ্মিতে

অনন্ত হিসেবে আছে?

কেনো তারা দাঁড়ায় না সে চোখ অনুসরণ করে?

ও কি গাঢ় কাজল পরে থাকে?

কাটা কাটা ব্যঙ্গ —কে জানে —দুঃখ হবে

কীভাবে একা তাকাবো সে গভীরে ?

কীসের এতো হিসেব দু’চার দোকানির?

সমান্তরালে ,কেনো তারা দাঁড়িয়ে

ছয় ফুটের কম হতেও পারতো সে লোকের চোখের রেটিনায়

পানি ঢেলে দেয় না? দৃষ্টি নরোম করে না?

কীভাবে পৌঁছুবো ঘরে

খতিবের মোড় না হয়ে

আহা, এমন অনন্ত রাত্র আমার ফুরায় না

দিনের খেয়ালে

যখন ঘুমে আছি, দূর প্রবোধের ঘুমে

তার রাত, বোধ করি, কেটে গেছে

গায়ে শাড়ি চাপিয়ে

তালুতে তালু বাজিয়ে লোক,

ভোরের দোকানে হাজির

রবিকান্ত পয়সা তোলার প্রস্তুতিতে

 

জমক

যতোদূর পরিক্রম, বিশালাকায় গিলে নিচ্ছে নিঃশ্বাস।

সকল সচেতনে ধামাচাপা পড়ে নিচুগ্রাম। স্বরগ্রামের

অর্থই, শুনো, উঁচুধ্বনি—

দীর্ঘ অভিজ্ঞানে তা জেনেছি। জেব্রাক্রসিং পেরিয়ে

দেখেছি নগরীর দীর্ঘ বিলবোর্ড। তার লাস্যময়ী সুদন্তীই প্রতিরাতে সাথে করে বালিশের কাছে এসেছে।

হাইওয়েতে গাড়ি নিয়ে বেরুলে দেখো,

টু-স্টোরিড ঘরগুলো আগাতে পারে না আর

বাইশতলা ভবনটি বহুদূর সাথে চলে গেছে

 

পৌনঃপুনিক

অন্ধকার নিজেই এক ব্রেইল পদ্ধতি। সুতরাং,

তাকে শেখানোর কিছু নেই অন্ধতা। বিন্দু ষষ্ঠক

কতটা কালোতে জাগে অন্ধই বোঝে। আর বোঝে,

সিল্যাবোগ্রাম পূর্ত হতে দরকার কত কী আলোর।

বরং চলো, তাকে নিয়ে যাব সঙ্গমখাটে। আর

মাখিয়ে দেবো আমাদের সৃষ্ট ফল প্রতিটা ভ্রুণে।

যেহেতু, বর্ণকরোজ্জ্বল বিশিষ্ট প্রাণ মাত্র বিলম্বে জানে—

সেখানে প্রায়শ আঁধার অধিকার রাখে।