কবি তিনি, বিক্রমপুইরা- ফারুক আফিনদী
বিষয় হচ্ছে- একুইশের খেইলটা ভাই আলাদা। চলতাছে নতুন ভাও। বুঝন লাগব, সময় কী চায়। যে তার নিজেরে সময় সময় নবায়ন অর্থাৎ রিন্যু করতে পারল না, এট্টু কাইব্য কইরা কই-একধারা মাডি ও বিষ্টির ভিত্রে দিয়া যাইতে পারল না, -তার ইন্তেকাল করা ভালো।/ মনে রাখবেন, প্রিয় অগ্রজ! জীবনের একটা অমোঘ ইমেজ হইল-/ লাউডগা সাপ / পাতার রঙে, আগারই ভঙ্গিমায়/ উঠে আছে হাওয়ার ঠোঁটে/ দুই নম্বর-/ খাড়া রইদের নিচে / মুড়েমুড়ে শুকাইছে রস/ অজান্তেই সোজা বালক অইয়া আছে। / {আহা রে! মিয়া ভাই!/ পলাপলি খেলা শেষে জোছনারও মায়া ছেড়ে- (জোছনাও এক মায়া, নাইয়াপাড়ার মাইয়াডার নামও) শইলে ঘুমের লাহান কালা কাপড়ের খেতাডা জড়িয়ে নিজ্ঝুম আর নিজ্ঝুমতার আওয়াজ--বালক! তুমি মরে আসছ, বালক! মইরা আইতাছ-}/ প্রিয় অগ্রজ, আপনি ওই বালক। আপনি মরে আসছেন। আপনি কবি হোন, দ্রুত কবি হোনঅই যে চেঙ্গাছোবার ধারে দেখেন, সাপটারে- কেমনে ছোলম ফালায়। / হাপের কথায় পড়ে আই। তার আগে চলেন একটু বায়োস্কোপ দেহাই। একটু বিষ্টি দেখবেন চলেন।বিষ্টি কী তা তো বোঝেন, মেঘবৃষ্টির দেশের মানুষ।/ -লিঙ্গ পুং, মাটি তার বউ। / লাগলো না খটকা? আচ্ছা। মেঘ তো বোঝেন। কমু নাকি? বৃষ্টি হইলো মেঘের.../ অইডা! খাড়া বা তেরছা।/ এখন ঘোর বর্ষাকাল। একটা কচু ফুল এনে দেখাতে পারলে ভালো করতাম। তার আগাÑ পরাণ পরাগ। যেন বাইয়া পড়ে। / এই দিশ্যে চৌখ মেললেন যিনি / মাডি ও বিষ্টির ভিত্তে দিয়া গেলেন জনমভর- / এ আষাঢ়ে, হেই শাওনে / মাথায় মানকচুর পাতা/ তিনি নতুন। / আপনি বরংÑ আটিগাঁয়ের রাস্তায় নেমে সোলোগান ধরুন-/ কবি আছে নি রে/ ................... কোন সে কবি /…