তাসবীহ্ – অদিতি শিমুল

""অন্ধকারও প্রেরণা হতে পারে""- আমি কিছু " স্বরচিত অন্ধকার" তোর জন্য রেখে যাব - যাতে করে তুই আলো চিনে নিতে পারিস এই সাদা-কালো আর বিচিত্র রঙের গোলকধাঁধায়। একদিন ক্লাস নিতে-নিতে…

Continue Readingতাসবীহ্ – অদিতি শিমুল

কবি তিনি, বিক্রমপুইরা- ফারুক আফিনদী

বিষয় হচ্ছে- একুইশের খেইলটা ভাই আলাদা। চলতাছে নতুন ভাও। বুঝন লাগব, সময় কী চায়। যে তার নিজেরে সময় সময় নবায়ন অর্থাৎ রিন্যু করতে পারল না, এট্টু কাইব্য কইরা কই-একধারা মাডি ও বিষ্টির ভিত্রে দিয়া যাইতে পারল না, -তার ইন্তেকাল করা ভালো।/ মনে রাখবেন, প্রিয় অগ্রজ! জীবনের একটা অমোঘ ইমেজ হইল-/ লাউডগা সাপ / পাতার রঙে, আগারই ভঙ্গিমায়/ উঠে আছে হাওয়ার ঠোঁটে/ দুই নম্বর-/ খাড়া রইদের নিচে / মুড়েমুড়ে শুকাইছে রস/ অজান্তেই সোজা বালক অইয়া আছে। / {আহা রে! মিয়া ভাই!/ পলাপলি খেলা শেষে জোছনারও মায়া ছেড়ে- (জোছনাও এক মায়া, নাইয়াপাড়ার মাইয়াডার নামও) শইলে ঘুমের লাহান কালা কাপড়ের খেতাডা জড়িয়ে নিজ্ঝুম আর নিজ্ঝুমতার আওয়াজ--বালক! তুমি মরে আসছ, বালক! মইরা আইতাছ-}/ প্রিয় অগ্রজ, আপনি ওই বালক। আপনি মরে আসছেন। আপনি কবি হোন, দ্রুত কবি হোনঅই যে চেঙ্গাছোবার ধারে দেখেন, সাপটারে- কেমনে ছোলম ফালায়। / হাপের কথায় পড়ে আই। তার আগে চলেন একটু বায়োস্কোপ দেহাই। একটু বিষ্টি দেখবেন চলেন।বিষ্টি কী তা তো বোঝেন, মেঘবৃষ্টির দেশের মানুষ।/ -লিঙ্গ পুং, মাটি তার বউ। / লাগলো না খটকা? আচ্ছা। মেঘ তো বোঝেন। কমু নাকি? বৃষ্টি হইলো মেঘের.../ অইডা! খাড়া বা তেরছা।/ এখন ঘোর বর্ষাকাল। একটা কচু ফুল এনে দেখাতে পারলে ভালো করতাম। তার আগাÑ পরাণ পরাগ। যেন বাইয়া পড়ে। / এই দিশ্যে চৌখ মেললেন যিনি / মাডি ও বিষ্টির ভিত্তে দিয়া গেলেন জনমভর- / এ আষাঢ়ে, হেই শাওনে / মাথায় মানকচুর পাতা/ তিনি নতুন। / আপনি বরংÑ আটিগাঁয়ের রাস্তায় নেমে সোলোগান ধরুন-/ কবি আছে নি রে/ ................... কোন সে কবি /…

Continue Readingকবি তিনি, বিক্রমপুইরা- ফারুক আফিনদী

মেরাই প্রু পাড়া – হাফিজ রশিদ খান

শংখতীরের সবুজ মেরাই প্রু পাড়া ঘনবৃক্ষের ওপর কালিদাসী মেঘ ভারা-ভারা বাতাস এখানে ঘিয়ে ভাজা প্রীতির পরোটা লতা আর পাতা মাটি ও আকাশে বিজলির ছটা আঁধারের রূপে চোখ ডুবে যায় দূরের…

Continue Readingমেরাই প্রু পাড়া – হাফিজ রশিদ খান

প্রকৃতিপাঠ – আবদুল বাতেন

কিচিরমিচির কথা কয় পাখি লতাপাতায় রোদ মাখামাখি সোনা রোদ পোয়াতি হ্রদ জুড়ে মাছের যা দাপাদাপি লম্বানদীটা নারীর বেণীর মত নীলাকাশে ঈগল কী ক্রমাগত উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে জলজোয়ারে খোঁজে স্বপ্ন…

Continue Readingপ্রকৃতিপাঠ – আবদুল বাতেন

অহম -রেজা শামীম

ওজন মাপবো বলে যতবার ওজন যন্ত্রে দাঁড়াই সূচকের কাটা ততবারই ছাড়িয়ে যায় স্বস্তির সীমা অগত্যা সরিয়ে রাখি যা কিছু বাড়তি সংযোজন ভারী জুতো, কোমরের বেল্ট, চাবির গোছা পেটমোটা ওয়ালেট, ও…

Continue Readingঅহম -রেজা শামীম

রুবিনা পাথর – সাজিদুল হক

স্টুডিও রুবিনায় এখনো আছে তোমার কিশোরী ছবিটা সিনেমা দেখতে গেলে হলের মুখে দাঁড়িয়ে দেখে নিতাম আমার দিকে তাকিয়ে থাকা তোমার মুখ সে প্রায় চল্লিশ বছর আগেকার বিকেলের অস্থিরতা; আজ কুয়াশাকে…

Continue Readingরুবিনা পাথর – সাজিদুল হক

সুরের আমি- বাসব রায়

একটা সুরের পেছনে ছুটছি অনন্তকাল অচেনা অথচ হৃদয়ছোঁয়া সে সুর কানে বাজে, মনকে টেনে নিয়ে চলে অজানা এক দিগন্তে যেখানে নীল মেঘরাশির আদরে দিনের হাসি অস্তাচলে -------- সৃষ্টিরহস্যের পাতায় চোখ…

Continue Readingসুরের আমি- বাসব রায়

ক্যাম্প ফায়ার । ত্রিশাখ জলদাস

জলের ভেতর মাছের মতো নড়ছে তোমার আঙুল আমি ভ্রম দেখি, মিলনমগ্ন চারটি ঘুঙ্গুর আর সান্তাক্রোজ খেলা করছে জলের ভেতর.   জলের মান শূন্য কিংবা সান্তাক্রোজ সমান দুই জোড়া ঘুঙ্গুর  …

Continue Readingক্যাম্প ফায়ার । ত্রিশাখ জলদাস

শিরোনামহীন – শৈবাল আদিত্য

গ'লে যাচ্ছে চোখ দ্যাখো চাঁদের মতন! চোখেরও কলংক আছে? ভাঙতে চায় তমিস্রার ঘোর? আমার কোনো চরকা নেই, তবু থাকি জ্বলজ্বলে মৌনতায়৷ ও মায়াপরী, ও বিষাদদেবী, উড়িয়া উড়িয়া এতটা ছড়াও কেন…

Continue Readingশিরোনামহীন – শৈবাল আদিত্য

কষ্ট -কষ – জেবুন্নেছা জোৎস্না

মাথার ভেতর মস্ত এক বাড়ী বয়ে চলি উদ্দেশ্যহীন; কেন্দ্র হতে যাইনা যতো দূর, মোহের ব্যাসার্ধে কাটছে আমার দিন।   শুন্য আকাশে চেয়েছি ফোঁটা বৃষ্টি অনুঘটক মেঘ আনেনি সুসময়, অন্ধকারে জ্বালিনি…

Continue Readingকষ্ট -কষ – জেবুন্নেছা জোৎস্না