নিমাই জানার কবিতাগুচ্ছ
নিমাই জানার কবিতাগুচ্ছ কার্বোনেটেড বাবা ও কিছু মৃতজীবী অসুখ কার্বোনেটেড বিকারগ্রস্থ শরীরের ভেতর একগুচ্ছ চাঁদ উঠলেই অভিশাপগ্রস্ত হয়ে যায় অধাতব বাবা , কাঠের সরীসৃপ একদিন সব অমুলদ ও যোজ্যতার পাহাড়…
নিমাই জানার কবিতাগুচ্ছ কার্বোনেটেড বাবা ও কিছু মৃতজীবী অসুখ কার্বোনেটেড বিকারগ্রস্থ শরীরের ভেতর একগুচ্ছ চাঁদ উঠলেই অভিশাপগ্রস্ত হয়ে যায় অধাতব বাবা , কাঠের সরীসৃপ একদিন সব অমুলদ ও যোজ্যতার পাহাড়…
ডায়ান সিউস-এর কবিতা বাঙলায়ন: ঋতো আহমেদ [ডায়ান সিউস, ২০২১ সালে প্রকাশিত ‘frank: sonnets’ কাব্যগ্রন্থের জন্য এ বছর (২০২২) কবিতায় পুলিত্জার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি কালামাজু কলেজের দীর্ঘ-দিনের আবাসিক শিক্ষক ও…
পাঁচটি কবিতা / হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ধরে থাকলে ধরে থাকলে বুঝতে পারি আমিও কোথাও যেন একটা বসে আছি। অথচ ভরদুপুরে বেরিয়েছি। কেউ ডাকেনি। আমিও ডাকিনি কাউকে। ছক কি জিনিস জানি না।…
তিনটি কবিতা/ বদরুজ্জামান আলমগীর আয়ুর পরাবাস্তব জালে উঠে আসে গুগলি, শামুকের বদলে স্মৃতি হরিণের দুরঙা শিং, উঠে আসে ধুন রাগ মিরু বিহাগ- মাঝরাতের দোলানো পর্দা। বুক ও…
একগুচ্ছ কবিতা/ রিজোয়ান মাহমুদ অজ্ঞেয়বাদী কারখানা আমি কি আকশটা কে চিনি পোশাকে না স্বভাবে - অথবা একঘেয়েমি অসহ্য পলকা বাতাস ; অন্ধশহর বেজির কাছে ফেরত চাইছে সাপের ঝগড়া- এ-সব খেলা…
দুইটি কবিতা/ মেহেনাজ মুস্তারিন পিছুটান আকাশের নীল রঙ হঠাৎ করে ফ্যাকাসে, কিংবা ফাগুনের রঙ ধূসর হয়ে গেলে কতবার মনে হয়েছে, সবকিছুই আমার মতো বর্ণহীন ; ছাদবাগানের গোলাপ গাছগুলো যখন নেতিয়ে…
কবিতাত্রয় তৌহীদা ইয়াকুব প্রান্তিকে দাঁড়িয়ে মেঘেদের পরিবর্তনের দীক্ষা আর পৌরানিক বুনো ফুলের ফুটে থাকা মনে করা যেতে পারে, কিছুটা নির্ভার নির্জরা প্রেমের আটটি প্রহরও এমনও নয় সব অন্তরায় মুছে…
তানভীর রাসেল-এর তিনটি কবিতা ভাবনার খসড়ায় আত্মহনন শিল্পীর স্কেচে জীবন্ত হাসেন মায়াকোভস্কি। দিন পতনের মহড়া পাশ কাটিয়ে দিব্যি উড়ে যায় বলাকার সারি। ভ্রমণের ক্লান্তিগুলো জমা রেখে প্রিয়তম…
তিনটি কবিতা/ টোকন ঠাকুর পোকা ও প্রজাপতির গল্প এখনো কবিতা পড়ো মানে তুমি মনে মনে ভাবো আচমকা এক ফুরফুরে বিকেলে প্রজাপতি সম্মেলন হবে। সেই সম্মেলনে তুমি স্বাগতিক, তোমার ব্যস্ততা…
জিললুর রহমান-এর গুচ্ছকবিতা দৌড় দৌড় একটা সংক্রামক ক্রিয়া। যখন তটস্থ কেউ ভীত দৌড়ায়, চারপাশের সকলের মধ্যে সঞ্চারিত হয় ভয়। তারপর দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য সকলে দৌড়ায়, জানে না, জানতে চায় না কেন——কি কারণে এই দৌড়। তারপর একসময় সকলেই ভুলে যায় দৌড়েকে প্রথম হয়েছে কিংবা প্রথম কে দৌড় শুরু করেছে। সব দৌড় প্রতিযোগিতার নয়, কিছু কিছু ভীতযোগিতারও। ২. আমরা শৈশবে বেহুদা দৌড়েছি, বাবার মারের ভয়ে, পাড়ার জাঁদরেল মুরব্বির ভয়ে,মিউনিসিপালিটির টিকাদিদির ভয়ে…. দৌড়াতে দৌড়াতে বেয়ে উঠেছি সুউচ্চ সুপারী গাছ, দেয়াল টপকে পালিয়েছি মনিরদের বাসার পেছনে। শৈশব মানেই দৌড়, কখনওবা পুকুরে লাফাবো বলে। এখন বার্ধক্যে দেখি দৌড় চলছে অনন্তকাল——জীবনের দৌড়, জীবিকারদৌড়, অর্জনের দৌড়। দৌড়াতে দৌড়াতে তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে এলেও ফরেস্ট গাম্পের মতো কদর করে না কেউ। কেমন চোরের মতো মনে হয়, দৌড়ে যাচ্ছি জীবনের কাছে ধরা পড়ে যাবো বলে… ৩. ইশকুলে বার্ষিক প্রতিযোগিতা জিনিষটা দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া দরকার। এখানেই প্রথম জেনেছি সহপাঠীরা বন্ধু নয়, শত্রু—প্রতিযোগী—প্রতিদ্বন্দ্বী। তারপর ক্লাস টেস্ট কিংবা বার্ষিক পরীক্ষায় মৃত্যুঞ্জয় আমাকে ডিঙিয়ে প্রথম হলেই বাবা রেগে কাঁই। আমিওদিলাম ভোঁ দৌড়——পালাই পালাই। আর সেই মৃত্যুঞ্জয় যখন পরীক্ষার খাতা শূন্য রেখে মৃত্যুর কাছে পরাজয় মেনে নেয়, তখনও কি আমি তার সাথে পেরেছিপ্রতিযোগিতায়? সে আমার ঢের আগে পৌঁছে গেল জীবনের শেষ সীমানায়… ৪. দৌড়ে যাচ্ছি রাস্তা পেরোতে, দৌড়ে যাচ্ছি গাড়িটা ধরতে, দৌড়ে যাচ্ছি ব্রিজের ওপরে স্রোতের সাথে পাল্লা দিতে। দৌড়ে চলেছিধরতে সময়, মনের ভেতর টম মরিসন। সময় ছুটছে পাগলপারা——আমরা কেবল দৌড়ে সারা। ৫. চন্দ্র ছুটেছে মাস কাবারি, পৃথিবী ছুটেছে বছর গড়াতে, সূর্য কেবল মিল্কি পথে দুলকি চলেছে নিজের খেয়ালে। দৌড়ে সবাই যে যারগতিতে, মাপছি কেবল আলোক-কণার। কৃষ্ণবিবর হা করে আছে আসবে কখন আলোর কুমার——কখন সে কোন আলোকতারকা হারায় গহীন অন্ধকারে। আমরা তবু অনন্তকাল ছুটছি হুদাই কার খেয়ালে… ৬. দৌড়ে ভীষণ নাম করেছে কোভিড এবং উসাইন বোল্ট। মানুষের গতি বাতাসের সাথে যুদ্ধ করেই এগিয়ে যাবার। ভাইরাস ছোটেবাতাসের বেগে হাওয়ায় হাওয়ায় উড়ে উড়ে। ভাইরাস খুব নাম করেছে আজ মানুষের ঘরেদোরে। মানুষ জানে না, জান বাঁচাতেইছুটছে কোভিড——মানুষের বুকে ঠাঁই গড়ে নিলে জমে ওঠে তার কুরবানির ঈদ। ৭.…