সাজিদুল হক
সম্রাটের প্রতিকৃতি
আমি বুঝি না চিত্রকর্মের কিছুই;
স্বপ্নাদেশে আঁকতে চেয়েছি সম্ভাব্য সম্রাটের ছবি!
বলাবলি করে অজস্র দেহের ছায়া,
জোছনায় ভেজা পৃথিবীর সামনে
হতে পারে ক্ষুধার্ত শিশুর চোখের জল
অপেক্ষাকৃত গুরুত্বপূর্ণ চিত্রকল্প;
এই মুহূর্তে চিত্রকর রবীন্দ্রনাথ যদি স্বর্গ থেকে ফিরে
ব্যস্ত হতেন সম্রাটের হাসিমুখ চেহারার তৈলচিত্র নিয়ে!
অতিমানবের একটি প্রতিকৃতির জন্য
মানুষ নয় পাখিদের আগ্রহ বহুদিনের
যারপরনাই বিব্রত আমি অনুভব করি চিরায়ত তাগিদ;
গোধূলির গান গেয়ে ফিরছে
নীলাম্বরী আকাশের সবপাখি
কোথায় যাবে ক্লান্তিতে ন্যুব্জ এইসব অস্থির পাখিরা?
হাস্যেজ্জ্বল একটি প্রতিকৃতির বদলে
সম্রাটের অভয়ারণ্যে যদি জুটে আশ্রয় পাখিদের!
রক্তমাংসের মানবী
নিষিদ্ধ গন্ধম খাওয়ার অপরাধে স্বর্গচ্যুত
আদমের গুনাহের গর্ভে জন্ম আমার!
পরম করুণাময়,
তোমার পবিত্র ওয়াদা সমূহের অছিলায়
জানিয়ে রাখছি নাদান বান্দার আকুলতা
তোমার আটটি নির্ধারিত জান্নাতের
মামুলি একটিতে কবুল করো অধমকে
বিশেষ কোনো চাওয়া নেই স্বর্গলাভে
সত্তুর হুরপরীদের নিয়েও নেই আবদার।
অধমের করুণ প্রার্থনা:
নি:সঙ্গ অনাগত পরমায়ুর জীবনে
আমার সঙ্গিনী যেন হয়
গাছের লতাপাতায় বেড়ে ওঠা
রক্তমাংসের আরাধ্য মানবী
অপূর্ণ জীবনভর জমেছে যার চোখের পাতায়
আড়ি দেয়া মেঘের সকল অভিমান।
নশ্বর মানব আমি বহু পাপে অভিযুক্ত
প্রভু, কতো গোপন পাপের কথা তোমার জানা
হলপ করে বলতে পারি
মানুষ খুনের মতো অপরাধ করিনি।
===================