You are currently viewing নিশাত জাহান রানার কবিতা

নিশাত জাহান রানার কবিতা

নিশাত জাহান রানার কবিতা


শুন্য


এই সত্য তবে!

শুন্য থেকে জেগে উঠেছিলাম তোমার হৃদয়ে!

প্রতিমূহুর্তের রক্তসিঞ্চনে নেচেছিলাম আনখশির!

যেমন নাচে সুফীর বিপুল আলখাল্লা হাওয়ার ঘূর্ণনে।

এই সত্য তবে!

বিপরীত স্রোতে উজান বেয়েছিলাম প্রতিমূহুর্তে!

মাধ্যাকর্ষণের মতোই গুণ টেনেছিলে তুমি তীব্র!

সৃষ্টি-ধ্বংস স্থিতি-প্রলয় সব ছিল প্রেমে সমাসন্ন।

এই সত্য তবে!

শুন্যতায় ফিরে যায় বিচূর্ণ হৃদয়ের টুকরোসমূহ!

পূণর্জন্ম হয় অন্য কোনো প্লাতা নদীর ধারে!

আকাশে ঝোলানো হ্যাঙ্গারে থাকে অগণ্য হাহাকার।

এই সত্য তবে!

 

দ্রবীভূত


কিছু জল উপচে পড়ে যদি
ভেবোনা। মাটিরও তো সিক্ত হতে হয়!
তোমার চোখের পেয়ালা থেকে
কিছু জল দিও আর্ত উষর ভূমিকে।

বিনিময়ে সে তোমাকে দেবে ছায়ার সবুজ।

উপচে পড়া জলবিন্দুগুলি হয়তো
তাদের নোনা স্বভাব নিয়ে মৌলিক
তোমাকে কখনো দেবে কর্ডেলিয়ার আশ্রয়।

১৩/০৬/২০২২

 

অভিমান


তোমারই অভিমান হলো শুধু
আমার কি স্বাভিমানও নেই কোনো!

তোমারই যাতনা কাঁপে প্রবল হু-হু
বাউলিয়ানা আমার যন্ত্রণাকে বোনো!

ছেড়ে দিয়ে নগ্ন নির্জন হাত
কবে তুমি চলে গেছো দূরে
আমি মিকেলএঞ্জেলোর মত
এক পাথরখন্ড খুড়ে খুড়ে
তুলে আনতে চেয়েছি তবুও সেই তুমি
দিন মাস ক্ষণ বছর দন্ড পল অনুভূমি।

কুসুমিত সময়ভান্ড থেকে সুনিপুণ
ঝরে যেতে দিয়েছি বিন্দুপাতী জল ও মধু
ডেকে ডেকে হয়রান আমি
দিনশেষে জেনেছি নিতান্ত নিরুপায় শুধু
এ অরণ্যে এ পাহাড়ে এ জলে
এ ক্যাকটাসল্যান্ডে এ নভস্থলে
খড়ের পুতুলের ভীড়ে আমি একা, এই-ই
তুমি আছো সর্বত্র অথচ কোথাও তুমি নেই!

৩১/৫/২২

**==**==**==**==**==**